রূপগঞ্জে কৃষি জমির মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে ভূমিদস্যুরা
রূপগঞ্জে মুড়াপাড়া ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড মিরকুটিরছেও গ্রামের মৃত সৈয়দ আলীর দুই ছেলে ভূমিদস্যু কিবরিয়া ও রিপন দুই ভাই জোর পূর্বক অসহায় কৃষকদের জমির ওপর দিয়ে রাস্তা বানিয়ে প্রায় ১০বিঘা ফসলি জমির মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ফসলি জমিতে বেকু দিয়ে ট্রাক বোঝাই করে মাটি কেটে নেওয়ায় এসব জমির বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। মাটি কেটে নেওয়ায় ওই ১০ বিঘা কৃষি জমির ফলন বন্ধের হুমকির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। কিন্তু ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে ভয়ে মুখ খুলতে পারছেন না। মাটি কেটে নেয়া ওইসব জমিতে এবার ফসল ফলাতে পারছেন না স্থানীয় কৃষকরা ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় কয়েকজন কৃষক বলেন, বর্ষায় বিলে প্রচুর পানি থাকে। আর বর্ষার পানি শুকানোর সঙ্গে সঙ্গে তারা কেউ সবজি, আবার কেউ ধান চাষের জন্য প্রস্তুতি নেন। কিন্তু মিরকুটিরছেও গ্রামের মৃত সৈয়দ আলীর দুই ছেলে ভূমিদস্যু কিবরিয়া ও রিপন দুই ভাইয়ের নেতৃত্বে জোর করে গত ২-৩ মাস ধরে এক্সকাভেটর (বেকু) লাগিয়ে মাহফুজ ও ইলিয়াসসহ চার-পাঁচজন শ্রমিক নিয়োগ করে জোর করে কৃষি জমির মাটি কেটে নেওয়া হচ্ছে। এই চক্রটি শুধু এবারই না বিগত কয়েক বছর ধরে এই কাজ করে যাচ্ছে।
তারা প্রতিদিন ১৮-২০টি লড়ি মাটি টানার কাজে লাগানো হয়েছে। আর দিনে একটি লড়ি কমপক্ষে ৮-৯ লড়ি মাটি বিভিন্ন এলাকা ও ইটভাটায় সরবরাহ করছে। দশ বিঘা জমির কৃষি উৎপাদনও বন্ধ রয়েছে। মাটি কেটে বিক্রি করে দেওয়ায় প্রভাবশালীরা লাভবান হলেও কৃষিজমির ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। এবার তারা ওইসব কৃষি জমিতে কোনো চাষাবাদ করতে পারেননি বলেও জানান কৃষকরা।
তারা আরো বলেন, এসব ভূমিদস্যুদের অবৈধ ট্রাক্টর গ্রামীন রাস্তা দিয়ে প্রতিনিহিত চলাচলের ফলে এলাকা সাইটের জমি ও রাস্তা-ঘাট ভেঙ্গে যাওয়ার পরিণত হয়েছে। কিন্তু ভূমিদস্যুরা গত মাসখানেক ধরে ফসলি জমির মাটি কেটে পুরো এলাকায় পুকুরে পরিণত করে ফেলেছে। তাই জরুরী ভিত্তিতে বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য সংশিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন এলাকাবাাসী।
এবিষয়ে রূপগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ফয়সাল হক বলেন, ফসলি জমির মাটি কাটার বিষয়ে কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। কেউ যদি ভূমিদস্যুদের বিরুদ্ধে আমাদের কাছে লিখিত অভিযোগ দেয় তাহলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।