জেলা প্রশাসক আমাকে ধমক দিয়েছেন: সেলিম ওসমান

নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য একেএম সেলিম ওসমান বলেছেন, আমরা এই মার্চ মাসে বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে ‘যার যা কিছু আছে তাই নিয়ে প্রস্তুত হও, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’। এই কথা শুনেই যুদ্ধে গিয়েছিলাম। যুদ্ধ করেছি সম্মান পেয়েছি। আমরা কিন্তু দেশটাকে সোনার বাংলা গড়ার জন্য যুদ্ধ করেছিলাম। আমাদের কিন্তু বলা হয় নাই, তুমি যুদ্ধ যাও তোমাকে ভাতা দিবো। তখন আমরা ভাবিও নাই আমরা ফিরে আসবো, ভালো মতো খেতে পারবো। ধর্মে বলা আছে যারা যুদ্ধ থেকে ফিরে আসে তারা গাজীর সম্মান পায়, আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেই সম্মানটুকু আমাকে দিয়েছেন। যুদ্ধের সময় কেউ ভাবে নাই যে তার মৃত্যুর পর তার লাশের উপর বাংলাদেশের পতাকা জরানো হবে, তার মৃত্যুর পর তাকে গার্ড অব অনার দিয়ে সম্মান জানানো হবে। রমজান মাসে মুক্তিযোদ্ধাদের দিয়ে এমন একটা আয়োজন জেলা প্রশাসন করবে এটা ভাবতে পারিনি। রমজানের কারণে আজ অনেক প্রোগ্রাম বন্ধ করা হয়েছে, তবুও জেলা প্রশাসক বলেছে এই অনুষ্ঠানটা হতেই হবে, করতেই হবে। আজকের এই প্রোগাম করার জন্য জেলা প্রশাসক আমাকে ধমক দিয়েছেন, যেভাবে একটা সন্তান তার বাবাকে সম্মান করে ধমক দেয়। তিনি বলেছে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান দিয়েই আমাদের বেচেঁ থাকতে হবে।

রবিবার (২৬ মার্চ) বিকালে নারায়ণগঞ্জ শিল্পকলা একাডেমিতে, স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে, নারায়ণগঞ্জ জেলার শহিদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবার, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সদর উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধণা ও ইফতার মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।

সেলিম ওসমান বলেন, আজকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কারণে আমরা এতো সম্মান পেয়েছি। আজ তার কারণে আমরা এভাবে দোয়া করতে পারছি। পৃথিবীতে খাদ্যর দাম যেভাবে বেড়েছে তার দুই ভাগও বাংলাদেশে বাড়ে নাই। একেবারে সব লেভেলে আছে। হ্যাঁ এটা ঠিক, সাধারণ মানুষের জন্য অসুবিধার হয়েছে। তবে দ্রব্য কিন্তু পাওয়া যাচ্ছে। যুদ্ধের সময়ে যারা রাজাকার-আল বদর ছিলো, তেমনি আমাদের মধ্যে কিছু লোভী ব্যবসায়ী পণ্যের মধ্যে আকাল লাগাচ্ছে, আর এইসব জিনিস পত্রের দাম বাড়ছে। সেখান থেকে আমাদের সরে থাকতে হবে। নারায়ণগঞ্জে যানজট নিরসনের জন্য পুলিশ সুপার দায়িত্ব নিয়েছেন, কিন্তু দায়িত্বটা আমাদেরও নিতে হবে। সবাই যদি সহযোগীতা না করে তাহলে আরও খারাপ অবস্তায় যাবে। আজকে হকাররা রাস্তায় বসছে, তারা না বসে যাবে কোথায়, চলবে কিভাবে। তারপরেও যদি শৃঙ্খলাবদ্ধ ভাবে বসে তাহলে চলে।

এ সময় নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মঞ্জুরুল হাফিজের সভাপতিত্বে এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) গোলাম মোস্তফা রাসেল, নারায়ণগঞ্জ জেলা ইউনিটের কমান্ড’র সাবেক কমান্ডান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী, নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাইসহ আগত বীর মুক্তিযোদ্ধাবৃন্দ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button