বিএম ডিপো বিস্ফোরণ ১ বছরেও ক্ষতিপূরণ পায়নি আহত শ্রমিকরা
বিএম ডিপো বিস্ফোরণ ১ বছরেও দূর্ঘটনায় ক্ষতিপূরণ পায়নি আহত অঙ্গ হারানো ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকরা; দুর্ঘটনায় ক্ষতিপূরণ প্রদানে আঞ্চলিকতা অভিযোগে গণসংহতি আন্দোলন চট্রগ্রাম উত্তর জেলা ৪ জুন ২০২৩ চট্রগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে সংবাদ সম্মলেন করে।
স্মার্ট গ্রুপের মালিকধীন বিএম কনটেইনার ডিপোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোস্তাফিজুর বাড়ি চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলায়। ফলে ক্ষতিপূরণে দেওয়ার ক্ষেত্রেও আঞ্চলিকতার অভিযোগ তুলছেন ভুক্তভোগীরা।
বিগত-৫/৬/২০২২ইং তারিখে বি এম ডিপো তে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে সংঘটিত হয়। এর প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসকের দারেদারে
গত এক বছর যাবত ঘুরার পড়েও ক্ষতিপূরণ পাইনি নিম্ন ক্ষতিগ্রস্থরা। অগ্নিকাণ্ডের শিকার শ্রমিকরা তাঁদের কারো চোখ, কারো
হাত, কারো পা, কারো মেরুদন্ড, কারো সারা শরীর অগ্নি দগ্ধ হয় করো আবার নাড়িবুড়ি হাত নিয়ে হাঁটতে দেখেছি আমরা।
তাঁদের সকলেই বিএম ডিপোর কেমিক্যালের বিষক্রিয়ায় অধিকাংশই যৌন ক্ষমতা হারিয়েছেন। এমতাবস্থায় বর্তমানে বিএম
ডিপোতেও তাঁদের অবাঞ্চিত করা হয়েছে। ডিপোর গেইটে গেলে তাঁদের ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়া হয়। গত ১টা বছর
মৃত্যু চেয়েও ভয়াবহ মানবতার জীবনযাপন করছে তারা। এখন সাংবাদিকদের মাধ্যমে বিষয়টি সারা বাংলাদেশের মানুষের
কাছে বিশেষত মাননীয় প্রধানমন্ত্রীসহ যথযত কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপের মাধ্যমে ১ জীবনের সমপরিমাণ ক্ষতিপূরণ পরিশোধ ও বিচার দাবি জানান।
নিচে ক্ষতিগ্রস্ত অঙ্গ হারানো শ্রমিকদের তালিকাঃ
নাম:-
মোঃ অলিউল ইসলাম
মোঃ আজিম উদ্দিন
মোঃ নুরুল আফসার
নয়ন বড়ুয়া
মোঃ নুর হোসেন (দিদার)
মোঃ আমিরুল ইসলাম
মোঃ কবির
মোঃ আনোয়ার
মোঃ জাহাঙ্গীর
মোঃ মহি উদ্দিন
মোঃ মিরাজ
মোঃ মামুন
মোঃ তারেক
বিধান দে
এছাড়া সংবাদ সম্মেলন করার জন্য চট্রগ্রাম প্রেসক্লাব বুকিং করা হলেও বিএম ডিপোর মালিকানাধীন পূর্ব দেশ পত্রিকায় সহ-সম্পাদক পদে কর্মরত চট্টগ্রাম জেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক দেব দুলাল বিশ্বাস মালিকপক্ষের টাকা খেয়ে বুকিং বাতিল করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।