হরতাল-অবরোধে পর্যটকশূন্য কাপ্তাই, বোট চালক মালিকদের মাথায় হাত
রাঙামাটির কাপ্তাই লেক পর্যটকদের কাছে সবসময় আর্কষনীয়। কাপ্তাই লেকের স্বচ্ছ জলরাশি উপভোগ করতে করতে লেক পাহাড়ের সৌন্দর্য অবলোকন এবং বিলাইছড়ি উপজেলার ঝর্ণা পাহাড়ের সৌন্দর্য উপভোগ করতে সারাবছরই পর্যটকের আনাগোনা থাকে কাপ্তাই জেটিঘাট – বিলাইছড়ি নৌ রুটে।
বিশেষ করে শীত মৌসুমে বেশী পর্যটকের আনাগোনা হয়। তবে বিএনপি সহ সমমনা দলের টানা হরতাল এবং অবরোধে আশাঙ্কজনক হারে পর্যটক কমেছে এই নৌ রুটে। ফলে মাথায় আকাশ ভেঙে পড়েছে এই নৌ রুটের উপর নির্ভরশীল বোট মালিক এবং চালকদের।
বুধবার (৬ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৮ টায় কাপ্তাই জেটিঘাট পল্টুনে গিয়ে দেখা যায়, প্রায় যাত্রী শূন্য ব্যস্ততম এই ঘাঁট। শুধুমাত্র ৪-৫ জন যাত্রী অপেক্ষামান একটি বোটে বসে আছে বিলাইছড়ি যাবার উদ্যেশে। কথা বলে জানা যায়, তারা সকলে স্থানীয় অধিবাসী।
এসময় পল্টুনে কথা হয় বোট চালক নুরুল আমিন ও নুর আহমেদ এর সাথে। তাঁরা বলেন, সারাবছর পর্যটক আসেন এই রুটে। অনেকেই কাপ্তাই লেক এবং পাহাড়ের সৌন্দর্য উপভোগ করেন আবার অনেকেই বিলাইছড়ি উপজেলার ঝর্ণা আর পাহাড় দেখতে যান। কিন্তু বিগত ১ মাস ধরে হরতাল আর অবরোধে পর্যটকরা আসেন নাই। যেখানে আমরা বোট চালকরা প্রতিদিন গড়ে ৫০০ হতে ১০০০ টাকা আয় করতাম, এখন বেকার বসে আছি। কেউ আমাদের খোঁজ খবর রাখেন না।
বোট মালিক রিপন মিয়া এসময় বলেন, আমার ৩ টি বোট প্রতিদিন পর্যটকদের নিয়ে ব্যস্ত থাকতো। প্রতিটি বোট হতে গড়ে ১ হাজার টাকা আয় হতো। এখন ঘাঁটে বোট আছে কিন্তু পর্যটক নেই।
বোট মালিক মো: জাহাঙ্গীর বলেন, আমার ২ টি বোটের চালকরা পর্যটক কম থাকায় বেকার হয়ে বসে আছে। কি করবো বুঝতে পারছি না।
জেটিঘাট বোট মালিক সমিতির লাইনম্যান শীতল চন্দ্র সরকার বলেন, রতাল অবরোধ না থাকলে প্রতিদিন গড়ে ৫০০ পর্যটক এই নৌ রুটে চলাচল করতো। বেশ জমজমাট ছিল এই নৌ রুট। কিন্তু হরতাল অবরোধের কারনে বিগত এক মাস ধরে আমরা সকলেই মানবেতর জীবন যাপন করছি।