কাঞ্চন পৌরসভা নির্বাচনের দিন হামলা হতে পারে: মেয়র প্রার্থী বাদশা

কাঞ্চন পৌরসভা নির্বাচনে পুরো দমে প্রচার প্রচারনা চালাচ্ছেন মেয়র প্রার্থী আবুল বাশার বাদশা। গণসংযোগকালে তিনি বলেন, নিশি রাতে বহিরাগত অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের নিয়ে রফিক ও তার ভাই শফিক, মোগল অস্ত্রের মহড়া দিয়ে ভোটারদের মাঝে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে। হিন্দু ভোটারদের অস্ত্রের ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। আমার লোকদের হুমকি দিচ্ছে। রাতে কালো গাড়ি নিয়ে শফিকের বিশাল সন্ত্রাসী বাহিনী ঘুরে বেড়াচ্ছে। ভোটের দিন রফিকের সন্ত্রাসী বাহিনী ভোট কেন্দ্রে হামলা, ভাংচুর, কেন্দ্র দখল করতে পারে।

সোমবার (২৪ জুন) রূপগঞ্জের কাঞ্চন পৌরসভায় কাঞ্চন বাজার, ইসলামপুর, রানীপুরা এলাকায় গণসংযোগ করেন বাদশা। গণসংযোগ শেষে এ বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

এসময় তিনি আরও বলেন, মোবাইল ফোন বিপুল ভোটে বিজয়ী হবে। আমার প্রতিপক্ষ আমার লোকজন সহ ভোটারদের ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। প্রশাসনের কাছে আমি এর প্রতিকার চাই। আমার কোন সন্ত্রাসী বাহিনী নাই। এবারের নির্বাচন কাঞ্চন থেকে ভূমিদস্যুদের প্রতিহত করার নির্বাচন। আপনারা আমাকে ভোট দিয়ে ভূমিদস্যুদের প্রতিহত করুন। আমি কারও জমি দখল করি নাই। রফিকের দ্বারা যারা জমি হারিয়েছে আমি নির্বাচিত হলে তা ফিরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবো। কাঞ্চনের জনগণ আমার শক্তি। রফিক ৪ টা হত্যা মামলার আসামি। আমি ১০ বছর চেয়ারম্যান এবং ৫ বছর মেয়র ছিলাম, আমার দ্বারা কোন লোক নির্যাতিত হয় নাই । রফিকের বিরুদ্ধে অস্ত্র, সন্ত্রাসী, ছিনতাই ও চাঁদাবাজির মামলা রয়েছে। গত ৫ বছর ধরে তার ভাই মুঘল ও শফিকসহ তাদের লোকজন এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। ইতোপূর্বে তাদের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে পুলিশ ১০০ দেশী ও বিদেশী অস্ত্র উদ্ধার করেছে এবং তাদের বিরুদ্ধে মামলাও হয়েছে। সমস্ত এলাকায় তাদের সন্ত্রাসী বাহিনীর কারণে মানুষ শান্তিতে বাস করতে পারছে না। অস্ত্রের মুখে অনেক নিরীহ মানুষের সম্পত্তি দখল করেছে। তারা রাতের বেলায় যেসব কালো গ্লাসের গাড়িগুলো ব্যবহার করে, সেসব গাড়িতে পুলিশ তল্লাশি করলে অস্ত্র পাওয়া যাবে বলে আমার বিশ্বাস।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মোবাইল ফোন মার্কার এই প্রার্থী বলেন, এসব বিষয়ে রিটার্নিং অফিসার, জেলা প্রশাসক, জেলা পুলিশ সুপার, থানা পুলিশসহ সবাইকে লিখিতভাবে অবগত করলেও উল্লেখযোগ্য কোনো তৎপরতা দেখতে পাচ্ছেন না। ভোটাররা ভয় পাচ্ছে। ধীরে ধীরে তারা ভীত হয়ে যাচ্ছে। নির্বাচনের দিন হামলা হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে। আমি নিজেও কিছুটা আতঙ্কিত’, যোগ করেন দেওয়ান আবুল বাশার।

তিনি আরও বলেন, দু-একদিনের মধ্যে প্রশাসনের পদক্ষেপ কেমন হয় তা বলে দিবে ভোটের দিনের পরিস্থিতি। আগেও আমি ছয়টা নির্বাচন করেছি, এটি আমার সপ্তমবার। আমি যেখানেই যাচ্ছি লোকজন আমাকে সমর্থন দিচ্ছেন। জনগণের ভাষা আমি বুঝি। তাদের পক্ষ থেকে ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি।’ পরিবেশ শান্তিপূর্ণ থাকলে ৮০ শতাংশ ভোটার কেন্দ্রে উপস্থিত হবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করে এ মেয়র প্রার্থী বলেন, ‘এই স্থানীয় নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী যেমন আছে কাউন্সিলর প্রার্থীও আছে। সুতরাং ৮০ শতাংশ ভোটার কেন্দ্রে উপস্থিত হবে বলে আমার ধারণা। কিন্তু ভয়ভীতি দেখালে এই সংখ্যা কমতে পারে। প্রশাসন তৎপর হলে এবং ভোটরদের যদি শান্তিপূর্ণ পরিবেশ পাবে, এমন আশ্বস্ত করতে পারলেই ভোটাররা নির্বিঘ্নে ভোটকেন্দ্রে যাবে।’

এসময় উপস্থিত ছিলেন রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক এমায়েত হোসেন,কাঞ্চন পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রসুল কলি, রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডাঃ ফয়সাল আহম্মেদ।

প্রসঙ্গত, কাঞ্চন পৌরসভা নির্বাচনে চলছে শেষ মূহূর্তের প্রচারণা। আগামী ২৬ জুন ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) পদ্ধতিতে কাঞ্চন পৌরসভার ১৯টি ভোট কেন্দ্রে ৪০ হাজার ৭৯৮ জন ভোটার ভোট দিবেন। এ নির্বাচনে দুই মেয়র প্রার্থী, ২৭ জন সাধারণ কাউন্সিলর ও ৪ জন সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থী রয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button