সর্বজনীন পেনশন স্কিম বাধ্যতামূলক করায় শিক্ষকদের ধর্মঘট

সর্বজনীন পেনশনের প্রত্যয় স্কিম বাতিলের দাবিতে দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে চলছে শিক্ষকদের ‘সর্বাত্মক কর্মবিরতি’। বন্ধ রয়েছে সব ধরনের ক্লাস-পরীক্ষা। শিক্ষকদের সঙ্গে কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও এ আন্দোলনে অংশ নেওয়ায় প্রশাসনিক কার্যক্রমও স্থবির হয়ে পড়েছে।
এ সময় শিক্ষক নেতারা বলেন, যৌক্তিক দাবি নিয়ে আন্দোলন চলছে। যতক্ষণ পর্যন্ত সরকার আশ্বস্ত না করবে, ততক্ষণ কর্মসূচি চলবে বলেও জানান তারা। শিক্ষক নেতারা বলেন, পেনশন স্কিম প্রত্যয়ে শিক্ষকদের বাধ্যতামূলক অন্তর্ভুক্ত করা শুধু অধিকার হরণ নয়, মানহানিকরও। এমন একপেশে সিদ্ধান্ত মেধাশূন্যতার আত্মঘাতী কারণ হবে ভবিষ্যতে। একই সময়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরাও একই কর্মসূচি পালন করে।
এদিকে, প্রত্যয় পেনশনে বাধ্যতামূলক অন্তর্ভুক্তির প্রতিবাদে চট্টগ্রাম-রাজশাহীসহ অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়েও চলছে শিক্ষকদের এ ধর্মঘট। বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ফেডারেশনের ডাকে কর্মবিরতি পালন করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি, তাদের সাথে যোগ দিয়েছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় অফিসার এবং কর্মচারী সমিতিও। এতে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি চলবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষকরা।
শিক্ষকরা বলছেন, সার্বজনীন পেনশন ‘প্রত্যয় স্কিম বৈষম্যমূলক ও মর্যাদাহানিকর। প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের সুপার গ্রেডে অন্তর্ভুক্তি এবং শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতন স্কেলের দাবি জানিয়েছেন তারা।
জানা যায়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রাসাশনিক ভবনের সামনে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ও অফিসার সমিতি আলাদা কর্মবিরতি পালন করে। প্রতিদিন বেলা ১১ টা থেকে ১২টা পর্যন্ত এ কর্মসূচি পালন করা হবে। কর্মবিরতির কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাশ পরীক্ষা এবং প্রশাসনিক কাজ বন্ধ রয়েছে। সর্বাত্মক কর্মবিরতী পালন করেছেন সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতিও। ক্লাস পরীক্ষা বর্জনের পাশাপাশি দাপ্তরিক কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়।