বিগত ১৫ বছরে বাংলাদেশ-ভারত চুক্তিসমূহ

হাসিবুর রহমান:
এটা মোটেও অস্বাভাবিক নয় যে ভারত চায় বাংলাদেশ যেন ভারতীয় রাষ্ট্রের নিরাপত্তার জন্য হুমকী না হয়ে উঠে। কিন্তু শুধু এটুকুই নয়, একেবারে প্রথম থেকেই ভারতেরা পড়ার ছিল বাংলাদেশকে তার সুরক্ষা (security) ব্যবস্থার অংশে রূপান্তরিত করা। বাংলাদেশ হবে ভারতীয় রাষ্ট্রব্যবস্থার ঘনিষ্ট অংশীদার এবং বর্ধিত একটি অংশ (extended part of the Indian state)। বাংলাদেশের সরকার, জাতীয় সংসদ, সেনাবাহিনী, পুলিশ বাহিনী, বিচারব্যবস্থা, প্রশাসনব্যবস্থার উপর তারা শুধু প্রভাব বিস্তার করে থাকতে চায় তা নয়, চায় যথাসম্ভব নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে। তারা চায় বাংলাদেশের অর্থনীতি, বাণিজ্য নীতি, বৈদেশিক নীতি, প্রতিরক্ষা নীতি, শিক্ষা নীতি, সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডল ইত্যাদি থাকবে ভারতের নিয়ন্ত্রণে। এ কথায় বাংলাদেশে সরকারে কারা থাকবে সেটা ভারত রাষ্ট্রের প্রায় নিজস্ব ব্যাপার বলেই তারা মনে করে।এই লক্ষ্য অর্জনে বাংলাদেশের রাজনীতি ক্ষেত্রে প্রকাশ্য ও গোপন হস্তক্ষেপকে ভারত তার নীতিতে পরিণত করেছে। ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের পরপর তিনটি ভোটারবিহীন ভূয়া ও জালিয়াতির জাতীয় নির্বাচনে ভারতের ভূমিকা তাদের এই নীতি অনুসরণের প্রমাণ।২০১১ সালে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী প্রণয়নে ভারতের সম্মতি ছিল বলে আমরা বিবেচনা করি। এই সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করা হয় এবং সংবিধানে আরো অনেক কিছু যুক্ত করা হয়, এবং আওয়ামী লীগকে কার্যত চিরস্থায়ীভাবে ক্ষমতায় রাখার ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু এটা একেবারেই অনালোচিত যে এর দ্বারা ভারতের স্বার্থ কিভাবে রক্ষিত হয়েছে।ভারত বাংলাদেশের রাষ্ট্রব্যবস্থার উপর তার নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠায় যতটুকু সাফল্য অর্জন করেছে, এক্ষণে তা স্থায়ী এবং আইনসিদ্ধ করতে বাংলাদেশের সংবিধানে নতুন কোন সংশোধনী যুক্ত হলে আমরা অবাক হব না। কেননা একটি নতুন আইন যা ইতিমধ্যেই ঘটে চলেছে বা যা বিরাজমান অধিকাংশ ক্ষেত্রে সেটিকেই আইনসিদ্ধ করে।সুনির্দিষ্ট সাক্ষ্য প্রমাণ ও আলোচনা ছাড়া সরাসরি এসব কথা বললে তা গ্রাহ্য করা মুশকিল। আমরা তাই ভারতের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ককে বোঝার একটি পদ্ধতি হিসেবে দুই রাষ্ট্রের মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তি, সমঝোতা স্মারক ও গুরুত্বপূর্ণ যৌথ ঘোষণার একটি তালিকা করে সেগুলোর উপর প্রয়োজনীয় আলোচনা করবো। আশু প্রয়োজনীয় কাজ হিসেবে ২০০৯ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত এই পনেরো বছরে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে স্বাক্ষরিত চুক্তি, সমঝোতা স্মারক, অন্যান্য ডকুমেন্ট ও গুরুত্বপূর্ণ যৌথ ঘোষণার একটি তালিকা আমরা এখানে হাজির করছি। তালিকাটি নিঃসন্দেহে পূর্ণাঙ্গ নয়। এটি সম্পূর্ণ করার পাশাপাশি ১৯৭১ থেকে ২০০৮ সময়কালের তালিকাও আমরা করবো। চুক্তির উপর আলোচনা আমরা পরবর্তীকালে করবো। সকল চুক্তিই সমভাবে গুরুত্বপূর্ণ নয়, বা প্রতিটি চুক্তিই বাংলাদেশের স্বার্থ বিরোধী এমন নয়। সুতরাং চুক্তি পর্যালোচনার সময় তা করা হবে বাছাই করে। আরেকটি বিষয় হলো সকল চুক্তি উন্মুক্ত নয়, সুতরাং অনেক চুক্তির উপর আলোচনা জরুরী হলেও তা হয়তো আমরা করতে পারব না।চুক্তির এমন একটি তালিকা পাঠ করা ক্লান্তিকর মনে হলেও তা করা দরকার। বাংলাদেশে ভারতের আগ্রাসী তৎপরতা প্রতিরোধের কৌশল নির্ধারণে এর প্রয়োজন রয়েছে। তালিকাভুক্ত চুক্তিগুলির বাংলা নামের পাশাপাশি ইংরেজি নামগুলি আমরা দিচ্ছি যাতে করে পরবর্তীকালে এ বিষয়ে তদন্তে সকলের সুবিধা হয়।
২০১০ সালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১০ জানুয়ারি ভারত সফরে যান। এ সময় বহু সংখ্যক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় যেগুলিকে একত্রে হাসিনা-মনমোহন চুক্তি নামে উল্লেখ করা হয়ে থাকে। সফরকালে শেখ হাসিনাকে ২০০৯ সালের জন্য ‘ইন্দিরা গান্ধী শান্তি পুরস্কার’ প্রদান করা হয়। বাংলাদেশ ভারত সম্পর্ক কেমন চেহারা নেবে তার রূপরেখা ছিল এই সফর।
১১ জানুয়ারি দুই প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে ৫টি চুক্তি সই হয়। এগুলি হলো-
১. অপরাধমূলক বিষয়ে পারস্পরিক আইনী সহযোগিতা চুক্তি (Agreement on Mutual Legal Assistance on Criminal Matters)
২. সাজাপ্রাপ্ত কয়েদীদের ফেরত পাঠানোসংক্রান্ত চুক্তি (Agreement on the Transfer of Sentenced Persons)
৩. আন্তর্জাতিক সন্ত্রাস, সংগঠিত অপরাধ এবং বেআইনী মাদক পাচার নিরোধসংক্রান্ত চুক্তি (Agreement on Combating International Terrorism, Organized Crime and Illicit Drug Trafficking)
৪. বিদ্যুৎখাতে সহযোগিতা বিষয়ক সমঝোতা স্মারক (MoU on Cooperation in Power Sector)
৫. সাংস্কৃতিক বিনিময় চুক্তি (Cultural Exchange Programme)।
যৌথ ঘোষণা থেকে আরো কয়েকটি চুক্তি ও স্মারকের কথা জানা যায় যেগুলি শেখ হাসিনার ভারত সফরকালে বা তার আগে-পরে স্বাক্ষরিত হয়েছে।যৌথ ঘোষণা থেকে জানা যায় যে, দুই প্রধানমন্ত্রী দ্বিপাক্ষিক, আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ‘অভিন্ন একটি রূপকল্পের’ বিষয়ে একমত পোষণ করেন। উন্নয়নশীল দেশগুলির অংশগ্রহণ রয়েছে এমন বহুপাক্ষিক প্রতিষ্ঠানের ‘শক্তিশালীকরণ এবং সংস্কারের বিষয়ে’ তাঁরা একমত হন। বাংলাদেশের নিজস্ব কোন আঞ্চলিক বা আন্তর্জাতিক ‘রূপকল্প’ এবং বহুপাক্ষিক প্রতিষ্ঠানের ‘শক্তিশালীকরণ এবং সংস্কারের’ কোন প্রস্তাবের অনুপস্থিতিতে এসব বিষয়ে একমত হওয়ার অর্থ আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ভারতের নীতি ও কৌশলকে মান্য করবে। সোনাদিয়ায় গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণে বাংলাদেশ চীনের সাথে সব কিছু চূড়ান্ত করার পরও ভারতের বিরোধিতার কারণে যেভাবে সেখান থেকে সরে আসে এতই বোঝা যায় এই মান্যতার মাত্রা।যৌথ ঘোষণায় বলা হয় যে, ভারতের পক্ষ থেকে দুই দেশের ‘অভিন্ন ভবিষ্যতের রূপকল্প’ বাস্তবায়নে ‘উন্নয়নের জন্য সহযোগিতার ফ্রেমওয়ার্ক চুক্তি’র (Framework Agreement on Cooperation for Development) যে প্রস্তাব দেয়া হয় বাংলাদেশ তাতে সম্মতি জানিয়েছে। এই চুক্তির আওতায় পানি, বিদ্যুৎ, পরিবহন ও কানেক্টিভিটি, শিক্ষা, পর্যটন প্রভৃতি রয়েছে বলে যৌথ ঘোষণা থেকে জানা যায়। এক বছর পর ২০১১ সালে এই চুক্তিটি স্বাক্ষর হয়।উভয় রাষ্ট্র সুরক্ষা প্রশ্নে সহযোগিতায় গুরুত্বারোপ করে। ২০০৯ সালে দুই দেশের স্বরাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে দুই প্রধানমন্ত্রী নিজ নিজ দেশের সংশ্লিষ্ট এজেন্সিগুলিকে নির্দেশ প্রদান করেন। সেই বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্তসমূহ অবশ্য জানা যায় না। দুই দেশের সীমান্ত চুক্তি সম্পন্ন করতে তাঁরা একমত হন। উল্লেখ করা দরকার যে, বাংলাদেশ ১৯৭৪ সালেই সীমান্ত চুক্তি অনুমোদন করলেও ভারত তখনো পর্যন্ত তা করেনি। ভারত এটি অনুমোদন করে মাত্র ২০১৫ সালে।বাংলাদেশে আশুগঞ্জ ও ভারতে শিলঘাটকে পোর্ট অব কল হিসেবে ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত হয়। বাংলাদেশের মংলা ও চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর ভারতের ব্যবহারের জন্য খুলে দেয়ার সম্মতি জানায় বাংলাদেশ। এ লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় চুক্তি স্বাক্ষর হয় কয়েক বছর পর ২০১৫ সালে। বাংলাদেশ নেপাল ও ভুটানের জন্য এই দুই বন্দর ব্যবহারের সুযোগ প্রার্থনা করে।যৌথ ঘোষণায় ভারতের পক্ষ থেকে তিস্তা নদীর পানি বণ্টন চুক্তি দ্রুত সম্পন্ন করা হবে বলে আশ্বাস দেয়া হয়। যৌথ নদী কমিশনকে ফেনী, মনু, মুহুরী, খোয়াই, গোমতী, ধরলা ও দুধকুমার নদীর পানি বণ্টন নিয়ে আলোচনা চালিয়ে যেতে বলা হয়। বাংলাদেশে ইছামতি নদী খনন এবং কয়েকটি নদীর তীর সংরক্ষণে পদক্ষেপ গ্রহণের কথা বলা হয়। ভারত বাংলাদেশকে জরুরীভিত্তিতে ড্রেজার দেবে। ভারত নিশ্চিৎ করবে টিপাইমুখে বরাক নদীর উপর বাঁধ নির্মাণের ফলে বাংলাদেশের যাতে কোনো ক্ষতি না হয়। যৌথ ঘোষণায় নদী সম্পর্কিত এসব কথা থেকে মনে হয়, নদী সমস্যায় আক্রান্ত বাংলাদেশকে ভারত নিঃস্বার্থভাবে সহায়তা করতে চাইছে।যৌথ ঘোষণায় দুই দেশের বিদ্যুৎ নেটওয়ার্কের সংযোগ স্থাপনের উপর জোর দেয়া হয়। বিদ্যুৎ খাতে উন্নয়ন ও বিনিময়ে যৌথ কোম্পানী প্রতিষ্ঠার কথা বলা হয়। বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড ও টেস্টিং ইনস্টিটিউটের মানোন্নয়নে, বিশেষ করে সার্টিফিকেশনের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে, ভারত সহায়তা করবে বলে বলা হয়।যৌথ ঘোষণায় দুই দেশের ব্যক্তিগতখাতে যৌথ বিনিয়োগকে বিশেষ সুবিধা প্রদানের কথা বলা হয়। দুই দেশের সীমান্তে বিশেষ ব্যবস্থাধীনে হাট চালুর সিদ্ধান্ত হয়।যৌথ ঘোষণায় উল্লেখ করা হয় যে, ভারত বাংলাদেশে রেলপথ অবকাঠামো উন্নয়ন এবং ভারত থেকে লোকোমোটিভ ও যাত্রীবাহী বগি, সৈয়দপুর রেল কারখানা উন্নয়ন, যাত্রী গাড়ি এবং নদী খনন ড্রেজার ক্রয়ে ১০০ কোটি ডলারের একটি ক্রেডিট লাইন উন্মুক্ত করেছে। সুতরাং এ সংক্রান্ত একটি চুক্তি সে সময় বা পরবর্তীকালে করা হয়েছিল। আখাউড়া-আগরতলা রেল সংযোগ নির্মাণের সিদ্ধান্ত হয়। এই সংযোগ বর্তমানে চালু হয়েছে। বাংলাদেশ রহনপুর-সিঙাবাদ রেল লিংক ব্যবহার করে নেপাল এবং বিরল-রাধিকাপুর লিংক ব্যবহার করে ভুটান পর্যন্ত রেল সংযোগ প্রার্থনা করে।

ভারত বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য প্রতি বছর ৩০০ বৃত্তি দেবে বলে ঘোষণা করা হয়।

BIMSTEC (Bay of Bengal Initiative for Multi-Sectoral Technical and Economic Cooperation) এর সদর দপ্তর ঢাকায় স্থাপনে বাংলাদেশ ভারতকে অনুরোধ জানায়। ভারতের সহায়তায় ২০১৪ সালে তা বাস্তবায়িত হয়।
২০১১ সালের ৩০ জুলাই ভারতীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী চিদম্বরমের বাংলাদেশ সফরকালে ‘সমন্বিত সীমান্ত ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা’ (Coordinated Border Management Plan) চুক্তি স্বাক্ষর হয়। সে সময় ঢাকায় এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ভারতীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ভারত সীমান্ত নিয়ন্ত্রণে বহুবিধ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে এবং আমরা আমাদের সীমান্তকে বাংলাদেশের সহযোগিতায় অবৈধ তৎপরতা হতে রক্ষা করতে অঙ্গীকারাবদ্ধ।’ ভারতীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কার্যত এটাই বলে দেন যে, ‘সমন্বিত সীমান্ত ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা’ চুক্তির অধীনে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সীমান্তের বাংলাদেশ প্রান্তে অবস্থান করে ভারতের স্বার্থে সীমান্ত পাহারা দেবে এবং ভারতের সীমান্তকে ‘অবৈধ তৎপরতা’ হতে রক্ষা করবে।
এ বছর ৭ সেপ্টেম্বর ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং ঢাকা সফর করেন। এ সফরের সময়েও বহু সংখ্যক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
১.উন্নয়ন সহযোগিতার ফ্রেমওয়ার্ক চুক্তি (Framework Agreement on Cooperation for Development)
২. ভারত-বাংলাদেশ স্থলসীমান্ত চিহ্নিতকরণ ও সম্পর্কিত বিষয়াদি চুক্তি সংশ্লিষ্ট প্রটোকল (Protocol to the Agreement Concerning the Demarcation of the Land Boundary between India and Bangladesh and Related Matters)
৩বাংলাদেশ-নেপাল পরিবহণ ট্রানজিট বিষয়ে ভারত-বাংলাদেশ সমঝোতা স্মারকের সংযোজনী (Addendum to the MoU between India and Bangladesh to Facilitate Overland Transit Traffic between Bangladesh and Nepal)
৪.নবায়নযোগ্য শক্তি সহযোগিতায় সমঝোতা স্মারক (MoU on Renewable Energy Cooperation)
৫.সুন্দরবন সংরক্ষণে সমঝোতা স্মারক (MoU on Conservation of the Sundarbans)
৬. সুন্দরবনের বাঘ রক্ষায় সমঝোতা স্মারক (Protocol on Conservation of the Royal Bengal Tiger of the Sunderbans)
৭. মৎস ক্ষেত্রে সহযোগিতায় সমঝোতা স্মারক (MoU on Cooperation in the field of Fisheries)
৮. পরস্পরের টিভি অনুষ্ঠান সম্প্রচারে সমঝোতা স্মারক (MoU on Mutual Broadcast of Television Programmes)
৯. জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সমঝোতা স্মারক (MoU between Jawaharlal Nehru University and Dhaka University)
১০. ন্যাশনাল ফ্যাশন টেকনোলজি ইনস্টিটিউটস, ভারত ও বিজিএমইএ ইনস্টিটিউট অব ফ্যাশন টেকনোলজি, বাংলাদেশ এর মধ্যে সমঝোতা স্মারক (MoU on Academic Cooperation between National Institute of Fashion Technology (NIFT), India and BGMEA Institute of Fashion and Technology (BIFT), Bangladesh)
দুই দেশের ‘অভিন্ন ভবিষ্যতের রূপকল্প’ বাস্তবায়নে উন্নয়ন সহযোগিতার ফ্রেমওয়ার্ক চুক্তি (Framework Agreement on Cooperation for Development) সম্পাদনে ভারত অত্যন্ত আগ্রহী ছিল। ২০১০ সালে শেখ হাসিনার ভারত সফরকালেই বাংলাদেশ সরকার ‘অভিন্ন ভবিষ্যতের’ ভারতীয় প্রস্তাব শিরোধার্য করে চুক্তি সম্পাদনে সম্মতি জানিয়েছিল। এবার সেটা স্বাক্ষর করা হলো।ফ্রেমওয়ার্ক চুক্তিতে বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা; নৌ- পথ ও
বন্দর ব্যবহার; সড়ক ব্যবহার; পানি সম্পদ: প্রাকৃতিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা; বিদ্যুৎ উৎপাদন, সঞ্চালন ও বিতরণ; বিদ্যুৎ নেটওয়ার্কের আন্তঃসংযোগ, কৃষি, শিক্ষা ও সংস্কৃতি, স্বাস্থ্য, পর্যটন, ক্রীড়া, বিজ্ঞান জনগণের মধ্যে পারস্পরিক বিনিময় (People-to-people exchanges): পরিবেশ রক্ষা প্রযুক্তি ইত্যাদি ক্ষেত্রে সহযোগিতা এবং ও জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা। সুরক্ষা ক্ষেত্রে সহযোগিতা বৃদ্ধি ইত্যাদি অনেক কিছুই রয়েছে। বলা চলে, এটি প্রায় উন্মুক্ত একটি চুক্তি যার আওতায় সর্ববিধ ‘সহযোগিতা’ চালিয়ে যাওয়া যাবে। ও
এসব যে কোন কথার কথা নয় তা বোঝা যায় বিদ্যুৎ খাতের দিকে তাকালে।
‘বিদ্যুৎখাতে সহযোগিতা বিষয়ক সমঝোতা স্মারক’ স্বাক্ষর হয়েছিল ২০১০ সালে। তার তিন বছরের মাথায় ২০১৩ সালে ভেড়ামারা ও বহরমপুরের মধ্যে বিদ্যুৎ সঞ্চালন নেটওয়ার্কের সংযোগ স্থাপিত হয়েছে এবং এখন সেখান দিয়ে ১০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আনা যায়। ২০১৬ সালে ত্রিপুরার সাথে কুমিল্লা অঞ্চলের বিদ্যুৎ সংযোগ স্থাপিত হয়েছে।
বর্তমানে সেখানে থেকে সর্বোচ্চ ১৮০ মে.ও. বিদ্যুৎ আনা হয়। বাগেরহাটের রামপালে
যৌথমালিকানায় স্থাপিত ১৩২০ মে.ও. কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র ২০২২ সালে চালু হয়েছে।
এটা নিশ্চিতভাবে ধরে নেয়া যায় যে ফ্রেমওয়ার্ক চুক্তির অধীনে অন্যান্য প্রতিটি ক্ষেত্রেই বহুবিধ কাজ হয়েছে এবং হচ্ছে।২০১১ সালে স্বাক্ষরিত ফ্রেমওয়ার্ক চুক্তির অধীনে ভারত-বাংলাদেশ যৌথ পরামর্শক কমিশন (India-Bangladesh Joint Consultative Commission) গঠিত হয়। এই কমিশনের প্রথম বৈঠক ২০১২ সালের ৭ মে দিল্লিতে অনুষ্ঠিত হয়। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি বাংলাদেশের পক্ষ থেকে অংশগ্রহণ করেন।বৈঠক শেষে একটি যৌথ বিবৃতি প্রদান কর হয়। বিবৃতিটিতে কয়েকটি উপশিরোনামযুক্ত অংশ রয়েছে। শুরুতেই ‘রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা সহযোগিতা’ শীর্ষক অংশে দুই দেশের মধ্যে নিয়মিত উচ্চ পর্যায়ের সফরের উল্লেখ করে বলা হয় যে, এর ফলে পারস্পরিক ‘বোঝাপড়া ও বন্ধুত্ব গভীর’ হচ্ছে এবং এক্ষেত্রে সহযোগিতার বিস্তৃতি ঘটেছে। এসব উচ্চ পর্যায়ের সফর করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র সচিব, বিজিবি প্রধান প্রমুখ। প্রেস রিলিজে উল্লেখ করা হয় যে, ২০১১ সালে স্বাক্ষরিত ‘সমন্বিত সীমান্ত ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা’ (Coordinated Border Management Plan) সন্তোষজনকভাবে বাস্তবায়ন হচ্ছে। সীমান্তে ১৮৫টি অরক্ষিত স্থানে ভারত কর্তৃক কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণে অগ্রগতি হওয়ায় কমিশন সন্তোষ প্রকাশ করে। অর্থাৎ, আওয়ামী লীগ সরকারও কাঁটাতারের বেড়ায় বেজায় সন্তুষ্ট। দুই দেশের মধ্যে প্রত্যার্পণ চুক্তি (Extradition Treaty) স্বাক্ষরিত হলে দ্বিপাক্ষিক সুরক্ষা (security) সহযোগিতার জন্য প্রয়োজনীয় ‘আইনী কাঠামো’ (legal framework) সম্পন্ন হবে বলে কমিশন মনে করে। বোঝা যাচ্ছে ভারত তার রাষ্ট্রীয় সুরক্ষায় প্রত্যার্পণ চুক্তি প্রয়োজনীয় বলে মনে করে। এর অনুপস্থিতিতে বাংলাদেশে তারা যে বেআইনী কার্যকলাপ পরিচালনা করে এসেছে চুক্তিটি থাকলে তা আর করতে হবে না
‘রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা সহযোগিতা’ আরও জোরদার করতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র সচিবদের মধ্যে বাৎসরিক, এবং মহাপরিচালক বা যুগ্মসচিব পর্যায়ে দ্বিবার্ষিক বৈঠককে প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ করতে দুই পক্ষ একমত হয়।তাহলে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতের ‘রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা’ নজরদারি ও খবরদারির অধীন হলো।
যৌথ বিবৃতির অন্যান্য উপশিরোনামগুলি হলো বাণিজ্য ও সংযোগ, উন্নয়ন সহযোগিতা, পানি সম্পদ ও বিদ্যুৎ খাতে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা, উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতা, জনগণের মধ্যে পারস্পরিক বিনিময়। বিদ্যুৎ খাতে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার অংশ হিসেবে বাগেরহাটে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের মতো চট্টগ্রামে যৌথ বিনিয়োগে আরেকটি বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনে সমীক্ষা দ্রুত সম্পন্ন করার জন্য বলা হয়।
জনগণের মধ্যে পারস্পরিক বিনিময়ের উদাহরণ হিসেবে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৫০তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন, নজরুলের ‘বিদ্রোহী’ কবিতার প্রকাশনার ৯০ বছর উদযাপন, দুই দেশে যাতায়াতে ভিসা ব্যবস্থা সহজীকরণ, মৈত্রী এক্সপ্রেসের সেবামান বৃদ্ধি ইত্যাদির উল্লেখ করা হয়।২০১৩ এ বছরের ২৮ জানুয়ারি ভারতের সাথে বন্দী প্রত্যর্পণ চুক্তি (Extradition Treaty) স্বাক্ষরিত হয়।১৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় ভারত-বাংলাদেশ যৌথ পরামর্শক কমিশন (India- Bangladesh Joint Consultative Commission) দ্বিতীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় তিনটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
১. বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠায় সমঝোতা স্মারক (MoU for Establishment of Bangladesh-India Foundation)
২. আখাউড়া-আগরতলা রেল সংযোগ স্থাপনে সমঝোতা স্মারক (MoU on establishment of Akhaura Agartala Rail link)
৩. ট্যাক্স সংক্রান্ত সংযোজনী প্রটোকল (Protocol amending the Convention for the Avoidance of Double Taxation and the Prevention of Fiscal Evasion with respect to Taxes on Income)
৪. যৌথ বিবৃতিতে আরো কয়েকটি চুক্তির উল্লেখ রয়েছে।
৫. সংশোধিত যাতায়াত ব্যবস্থা (Revised Travel Arrangements)
৬. ব্যুরো অব ইন্ডিয়ান স্ট্যান্ডার্ডস্ এবং বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস এন্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের মধ্যে সহযোগিতা চুক্তি (Agreement on
Cooperation between the Bureau of Indian Standards and the Bangladesh Standards and Testing Institution (BSTI))
৭ . মোটর যান চুক্তি (Motor Vehicle Agreement)
৮. তিস্তা ও ফেনী নদীর পানি ভাগাভাগির অন্তবর্তীকালীন চুক্তি (Interim Agreement for sharing of the waters of the Teesta and Feni rivers)
৯. বাংলাদেশ ফরেন সার্ভিস একাডেমী ও ভারতের ফরেন সার্ভিস ইনস্টিটিউটের মধ্যে সমঝোতা স্মারক (MoU on Cooperation between the Foreign Service Academy of Bangladesh (FSA) and the Foreign Service Institute of India (FSI))
১০. স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা বিজ্ঞানে সহযোগিতায় সমঝোতা স্মারক (MoU on Cooperation in the fields of Health and Medical Sciences)।
স্বামী বিবেকানন্দের ১৫০ তম জন্মবার্ষিকী যৌথভাবে পালন করায় বিবৃতিতে সন্তোষ প্রকাশ করা হয়। দ্রুত একটি নতুন সাংস্কৃতিক বিনিময় কর্মসূচী চালুর ব্যাপারে উভয় পক্ষ একমত হয়।ফেব্রুয়ারি মাসেই ক্ষুদ্র উন্নয়ন প্রকল্প সমঝোতা স্মারক (MOU on Small Development Projects (SDPs)) স্বাক্ষরিত হয়।২০১৪ সালের ৯ সেপ্টেম্বর তারিখে প্রথাগত ও হোমিওপেথি চিকিৎসা পদ্ধতি ক্ষেত্রে সহযোগিতায় সমঝোতা স্মারক (MoU on Cooperation in the Field of Traditional Systems of Medicine and Homeopathy) স্বাক্ষর করা হয়।২০ সেপ্টেম্বর নয়া দিল্লিতে ভারত-বাংলাদেশ যৌথ পরামর্শক কমিশন (India- Bangladesh Joint Consultative Commission) তৃতীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় কয়েকটি চুক্তি স্বাক্ষর করা হয়।
১. আভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন ও বাণিজ্য প্রটোকল (Protocol on Inland Water Transit and Trade (PIWTT))
২. উপকূলীয় শিপিং চুক্তি (Coastal Shipping Agreement)
৩. নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় সমঝোতা স্মারক (MoU on the Establishment of Nalanda University)।
২০১৪ সালের ২০ থেকে ২৫ আগস্ট নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ের বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেয়া হয় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ভারতের বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের (বিএসএফ) কাছে বর্ডার ব্যবস্থাপনার ট্রেনিং নবে।
বাংলাদেশে ভারতের বিজ্ঞান ও গবেষণা ফেলোশিপ কর্মসূচী সমন্বয়ে সমঝোতা স্মারক (MoU Between Department of Science and Technology (DST), India and Bangladesh Academy of Sciences (BAS) for coordination of Indian Science and Research Fellowship (ISRF) Programme in Bangladesh) স্বাক্ষর করা হয় ১৬ অক্টোবর তারিখে।
২০১৫ সালের৬-৭ জুন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঢাকা সফর করেন। এ সময় ‘নয়া প্রজন্ম- নতুন দিশা’ শিরোনামে এক উচ্ছ্বসিত দীর্ঘ যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করা হয়। এ দফায় বাংলাদেশ সরকার চট্টগ্রাম ও মংলা সমুদ্র বন্দর ভারতকে ব্যবহার করতে সম্মতি প্রদান করে। সফরকালে স্বাক্ষরিত চুক্তিসমূহ:
১. ভারতে পণ্য চলাচলে চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর ব্যবহারে সমঝোতা স্মারক (MoU on the use of Chittagong and Mongla Ports for the movement of Goods to and from India)

  • ২. সমুদ্র অর্থনীতি ও বঙ্গোপসাগরে সামুদ্রিক ক্ষেত্রে সহযোগিতায় সমঝোতা স্মারক (MoU on Blue Economy and Maritime Cooperation in the Bay of Bengal and the Indian Ocean)
    ৩. কোস্ট গার্ডের মধ্যে সমঝোতা স্মারক (MoU between Coast Guards)
    ৪. উপকূলীয় নৌ-চলাচল চুক্তি (Agreement on Coastal Shipping)
    ৫. আভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন ও বাণিজ্য প্রটোকল (নবায়ন) (Protocol on Inland Water Transit and Trade (renewal))
    ৬. ভারতীয় অর্থনৈতিক অঞ্চল বিষয়ক সমঝোতা স্মারক (MoU on Indian Economic Zone)
    ৭. দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি (নবায়ন) (Bilateral Trade Agreement (renewal))
    ৮. ২ বিলিয়ন ডলার লাইন অব ক্রেডিট সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক (MoU between Bangladesh and India for Extending a New Line of Credit (LoC) of US$ 2 billion)
    ৯. বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস এন্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন ও ব্যুরো অব ইন্ডিয়ান স্ট্যান্ডার্ডসের মধ্যে প্রমিতকরণ ক্ষেত্রে সহযোগিতা চুক্তি (Bilateral Cooperation Agreement between Bangladesh Standards &Testing Institution (BSTI) and Bureau of Indian Standards (BIS) on Cooperation in the field of Standardization)
    ১০. ইন্টারনেট ব্যান্ডউইডথ ব্যবহারকল্পে বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল কোম্পানী ও ভারত সঞ্চার নিগম লিমিটেডের মধ্যে লীজ চুক্তি (Agreement between Bangladesh Submarine Cable Company Limited (BSCCL glade Bharat Sanchar Nigam Limited (BSNL) for leasing of international bandwidth for internet at Akhaura)
    ১১. সাংস্কৃতিক বিনিময় চুক্তি (২০১৫-২০১৭) (Cultural Exchange Programme for the years 2015-17)
    ১২. বাংলাদেশ-ভারত শিক্ষা সহযোগিতা অভিপ্রায়পত্র (Statement of Intent on Bangladesh-India Education Cooperation)
    ১৩. বঙ্গোপসাগরে যৌথ সমুদ্রবিদ্যা গবেষণায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যায় ও কাউন্সিল অন সায়েন্টেফিক এন্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ, ইন্ডিয়ার মধ্যে সমঝোতা স্মারক (MoU between University of Dhaka, Bangladesh and Council of Scientific and Industrial Research, India for Joint Research on Oceanography of the Bay of Bengal)
    ১৪. রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সমঝোতা স্মারক (MoU between University of Rajshahi, Bangladeshand University of Jamia Milia Islamia, India)
    ১৫. মানব পাচার রোধে সমঝোতা স্মারক (MoU on Prevention of Human Trafficking)
    ১৬. জাল নোট পাচার ও প্রচলন রোধে সমঝোতা স্মারক (MoU on Prevention of Smuggling and Circulation of Fake Currency Notes)
    ১৭. জলবায়ু পরিবর্তনে ভারতের তহবিল একটি প্রকল্পে ব্যবহার সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক (MoU for a Project under IECC (India Endowment for Climate Change) of SAARC)
    ১৮. ঢাকা-শিলং-গুয়াহাটি বাস সার্ভিস চুক্তি ও প্রটোকল (Agreement on Dhaka-Shillong-Guwahati Bus Service and its Protocol)
    ১৯. কোলকাতা-ঢাকা-আগরতলা বাস সার্ভিস চুক্তি ও প্রটোকল (Agreement on Kolkata-Dhaka-Agartala Bus Service and its Protocol)।
    উপকূলীয় নৌ-চলাচল চুক্তি কার্যকর করার লক্ষ্যে ১৫ নভেম্বর তারিখে Standard perating Procedure (SOP) স্বাক্ষর করা হয়।

(বাকী অংশ পরবর্তী সংখ্যায়)
(হাসিবুর রহমান নির্বাহী সম্পাদক, সংস্কৃতি)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button