অবিলম্বে ছাত্র জনতার হত্যার বিচার করতে হবে এবং শহীদদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে- গণসংহতি

আজ ১৬ আগস্ট, (শুক্রবার) বিকাল ৪টায় নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে গণসংহতি আন্দোলনের সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে মিছিলটি শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে প্রেসক্লাবের সামনে সমবেত হয়।

গণসংহতি আন্দোলনের জেলা সমন্বয়কারী তরিকুল সুজনের সভানেতৃত্বে ও নির্বাহী সমন্বয়কারী অঞ্জন দাস সঞ্চালনা করেন।

সমাবেশে তরিকুল সুজন বলেন মানুষের জান-মালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এই সময়ের গুরুত্বপূর্ণ কাজ। পরাজিত শক্তি এখন নানা রকমভাবে ফন্দিফিকির করে দেশকে উত্তপ্ত করার চেষ্টা করছে। প্রশাসনকে মাঠে আরও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। জেলা প্রশাসককে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে নিহতদের হত্যার বিচার, ক্ষতিপূরণ এবং আহতদের চিকিৎসার দায়িত্ব নিতে হবে এবং শহীদদের স্মরণে নামফলক নির্মাণসহ স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করতে হবে। এটা আমাদের প্রাণের দাবি।
একই সাথে পরিবহনখাতে চাঁদাবাজ এবং দখলদার উচ্ছেদ করে নারায়ণগঞ্জ টু ঢাকা বাস ভাড়া ৪৫ টাকা করতে হবে। অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জকে সন্ত্রাসমুক্ত করতে হবে। আমরা চাই জেলার সকল সরকারী অফিস-দপ্তর দুর্নীতি এবং সিণ্ডিকেট মুক্ত হবে। এব্যবপারে জেলা প্রশাসককে যথাযথ উদ্যোগ নিতে হবে।

সমাবেশে মহানগরের সমন্বয়কারী নিয়ামুর রশিদ বিপ্লব বলেন – ষড়যন্ত্রকারীরা এখনোও সক্রিয় রয়েছে। কোন ষড়যন্ত্র করেই এই অভ্যত্থানের অর্জনকে পরাজিত করা যাবে না। রক্তের দাগ শুকায় নাই, সকল ষড়যন্ত্রকে শক্ত হাতে মোকাবেলা করবো। প্রয়োজনে যদি আবার জীবন দিতে গণসংহতি আন্দোলনের নেতা কর্মীরা প্রস্তুত।

সমাবেশে মহানগরের নির্বাহী সমন্বয়ক পপি রাণী সরকার বলেন সংখ্যালঘু ইস্যুকে সামনে এনে আওয়ামীলীগ রাজনৈতিক ভাবে ফায়দা লুটতে চাচ্ছে। সনাতনীদের মিছিল থেকে সরাসরি আওয়ামী নেতাদের নাম ধরে শ্লোগান দেয়া হচ্ছে। তবে এসব করে কোন লাভ হবে না। সাধারণ হিন্দুরা তাদের এই ফাঁদ বুঝতে পেরে গেছে। বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিক নয়। রাষ্ট্রের ধর্মীয় এবং জাতিগত যে নিপীড়ন তা অবসানে এই সরকারকে যথাযথ উদ্যোগ গ্রহনের দাবি জানান। আমরা নারায়ণগঞ্জবাসীকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও ঐক্যতা ধরে রাখার জন্য আহ্বান জানাই। আমাদের নারায়ণগঞ্জ সম্প্রীতির নারায়ণগঞ্জ। ঐক্যতার নারায়ণগঞ্জ। এই নারায়ণগঞ্জে কোনভাবেই অরাজকদের স্থান হবে না।

সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন জেলা কমিটির অন্যতম নেতা আলমগীর হোসেন আলম, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের জেলা কমিটির সভাপতি ফারহানা মানিক মুনা, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা কমিটির সম্পাদক জিয়াউর রহমান, সোনারগাঁ থানা কমিটির আহ্বায়ক ইব্রাহীম খলিল, ১৮ নং ওয়ার্ড কমিটির আহ্বায়ক জুয়েল সরকার, ছাত্র ফেডারেশনের সহ-সভাপতি সাইদুর রহমান, কুমুদিনী কলোনীর নেত্রী লায়লা প্রমুখ। এছাড়াও সমাবেশে আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা কমিটির সদস্য আওলাদ হোসেন, এস এম রাব্বি, রাকিবুল হাসান দিপু, শুভ দেব, নাজমা বেগম, আব্দুল আল মামুন, ছাত্র ফেডারেশনের জেলার সাধারণ সম্পাদক সৃজয় সাহা প্রমুখ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *