গণসংহতি আন্দোলনের ২২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জে সমাবেশ
আজ ২৯ আগস্ট, ২০২৪ (বৃহস্পতিবার) দুপুর ১২ টায় নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গণসংহতি আন্দোলনের ২২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সমাবেশ ও শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হয়।
সংক্ষিপ্ত সমাবেশে জেলার সমন্বয়কারী তরিকুল সুজনের সভাপতিত্বে ও প্রচার সম্পাদক শুভ দেবের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন জেলা কমিটির অন্যতম নেতা আলমগীর হোসেন আলম ও মহানগর কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক তাকবীর হোসেন।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন জেলার নির্বাহী সমন্বয়কারী অঞ্জন দাস, মহানগর কমিটির সমন্বয়কারী নিয়ামুর রশীদ বিপ্লব, নির্বাহী সমন্বয়কারী পপি রাণী সরকার, নারী সংহতি জেলার আহ্বায়ক নাজমা বেগম, বাংলাদেশ গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতির সম্পাদক আব্দুল আল মামুন, অর্থ সম্পাদক মেহেদি হাসান উজ্জ্বল, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি ফারহানা মানিক মুনা, সাধারণ সম্পাদক সৃজয় সাহা সহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
তরিকুল সুজন বলেন, সারাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির কারণে আমরা সংক্ষিপ্ত পরিসরে এবারের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন করছি। ২০০২ সালে জনগণের বৃহত্তর রাজনৈতিক শক্তি গড়ে তোলার আহ্বান নিয়ে গণসংহতি আন্দোলনের যাত্রা শুরু হয়। এসময় আমরা যেমন একদিকে আমাদের রাজপথের লড়াই অব্যাহত রেখেছি। তেমনি অন্যদিকে রাষ্ট্র মেরামতের গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলোকে চিহ্নিত করেছি। এদেশের সংকটের স্থায়ী সমাধানের প্রশ্নে সংবিধানের গণতান্ত্রিকতা যে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তা আমরা ২০১০ সাল থেকেই বলে আসছি। বিগত নির্বাচনের আগেও আমরা আমাদের রাজনৈতিক ৩১ দফা জনগণের সামনে উপস্থাপন করেছি। আমরা মনে করি এই ৩১ দফার সমাধান ছাড়া বাংলাদেশ রাষ্ট্র এগুতে পারবে না। এক স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতা লড়াই করে বিজয় অর্জন করেছে। তবে বিদ্যমান সংবিধান বলবৎ থাকলে এমন অনেক স্বৈরাচার মুহূর্তের মধ্যেই গড়ে উঠবে।
তিনি আরো বলেন, আমরা আমাদের সামর্থ্যের সবটুকু দিয়ে এই বিগত বছরগুলোতে সংগ্রাম করেছি। আগামীতেও করবো৷ নারায়ণগঞ্জকে একটি বাসযোগ্য জেলায় রূপান্তরিত করার যে সংগ্রাম আমরা দীর্ঘদিন ধরে করে আসছি। সেই লড়াইয়ে আপামর জনসাধারণকে যুক্ত হবার আহ্বান জানাই। নারায়ণগঞ্জে আলোচিত ত্বকী হত্যাকাণ্ড, সেভেন মার্ডার সহ আশিক, ভুলু, চঞ্চল সকল হত্যাকাণ্ডের সুষ্টু বিচার আমরা দাবি করছি। এবং পরিশেষে শামীম ওসমানের মতো গডফাদাররা যাতে আর নারায়ণগঞ্জে মাথা চাড়িয়ে উঠতে না পারে, নারায়ণগঞ্জ শহরকে সন্ত্রাস ও ত্রাসের নগরীতে পরিণত করতে না পারে সেজন্য নারায়ণগঞ্জবাসীকে সজাগ থাকার আহ্বান আমরা জানাচ্ছি। এর জন্য প্রয়োজন জনগণের নিজস্ব শক্তিকে বিকশিত করা। ছাত্র-জনতা জীবন দিয়ে আমাদেরকে যে নতুন দেশ উপহার দিয়ে গেছে তা আমাদের রক্ষা করতে হবে। আসুন আমরা আমাদের সংহতি ও ঐক্যতাকে মজবুত করি। আজকের এই দিনে জনগণের মুক্তি সংগ্রামে আত্মাহুতি দেয়া প্রতিটি মানুষকে আমরা গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি।