এবার তৃতীয় বিয়ের ব্যাপারে মুখ খুললেন শাকিব খান
আগামী নভেম্বর মাসে মুক্তি পাবে ঢাকাই সিনেমার সুপারস্টার শাকিব খানের প্রথম প্যান ইন্ডিয়ান সিনেমা ‘দরদ’। এরই মাঝে চলতি মাসেই মুম্বাইয়ে ‘বরবাদ’-এর শুটিং শুরু করবেন তিনি। অন্যদিকে বিপিএল-এ দল কিনেছে নায়ক, সেই সঙ্গে ব্যস্ত আছেন নিজের ব্যবসা নিয়েও। এসবের পরও বারবার সামনে আসে তার ব্যক্তিগত জীবন। সম্প্রতি কাজ, তৃতীয় বিয়ে এবং সন্তানদের নিয়ে নিজের ভাবনা জানিয়েছেন ভারতীয় এক গণমাধ্যমের কাছে।
সেখানে তাকে প্রশ্ন করা হয়, শাকিবকে বাংলাদেশে ‘কিং খান’, ভারতে শাহরুখ খানকে এই নামে ডাকা হয়। আপনি তার সঙ্গে নিজের কোনও মিল খুঁজে পান?
উত্তরে শাকিব বলেন, শাহরুখ খান একজন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন মহাতারকা। এশিয়া মহাদেশের তারকাদের কাছে উনি অনুপ্রেরণার আর এক নাম। আমি মনে করি, শুধু ভারত নয়, সমগ্র মহাদেশের গর্ব তিনি। তাঁর সঙ্গে তুলনার প্রশ্নই ওঠে না, আমি চিন্তাও করিনি কখনও এমন। তবে মানুষ একটু হলেও তাঁর মতো করে আমাকে ভালবাসেন; বোধহয় এই মিলটুকু খুঁজে পাই। এটাই ভালো লাগার জায়গা।
আরও জানতে চাওয়া হয়, দুই ছেলের ভবিষ্যৎ নিয়ে কী পরিকল্পনা আছে? এ প্রশ্নে শাকিবের সহজ উত্তর, ওরা এখনও অনেক ছোট। বুঝতে শেখেনি। ওরা স্কুলে যাচ্ছে, লেখাপড়া করছে। বাবা হিসেবে আমি ওদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ চাই। আমি চাই ওরা আমার চেয়েও অনেক বড় হোক। ওদের সুন্দর ভবিষ্যৎ দেয়ার জন্য যা যা করতে হয় বাবা হিসেবে আমি করে যাব।
প্রশ্ন: বার বার আপনার ব্যক্তিগত জীবন, আর ভাল ভাবে বললে বিয়ে নিয়ে নানা কাটাছেঁড়া হয়েছে, মানুষ শাকিবকে কতটা আঘাত দেয় এসব?
শাকিব: আঘাত তো দিয়েছেই। কোনও ভাঙনই তো সুখের নয়। যতটুকু হয়েছে, হয়তো সেটুকুই হওয়ার ছিল। ‘লাইফ ইজ় আ জার্নি’। এই যাত্রায় অনেকের সঙ্গে দেখা হয়, পরিচয় হয়। আমার জীবনে দু’জন (অপু-বুবলী) মানুষ অতীত, এটা আগেও বলেছি। অতীত হিসেবে তারা থাকুক। এসব নিয়ে আমার আক্ষেপ-ভ্রুক্ষেপ কিছুই নেই। যা হয়েছে হয়তো ভালোর জন্য হয়েছে। আমার দুই সন্তান, বাবা-মা, বোন ও তার পরিবার, কিছু কাছের আপন মানুষ, আমার ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান এবং দেশ-বিদেশের কোটি কোটি ভালবাসার মানুষ রয়েছে, যারা আমাকে অঢেল ভালবাসা দেন; তাদের সবাইকে নিয়ে আমি খুব ভালো আছি।
প্রশ্ন: শোনা যাচ্ছে শাকিব খান নাকি ফের বিয়ে করবেন, তা-ও আবার সম্বন্ধ করে, পাত্রী নাকি চিকিৎসক! সত্যিই কি কখনও ফের সংসারী হবেন?
শাকিব: মানুষ একা থাকতে পারে না। পরিবার এবং সমাজ নিয়ে বেঁচে থাকে। দেখা যাক, কোনও তাড়াহুড়ো নেই যে নির্দিষ্ট কোনও বছরের মধ্যে বিয়ে করতে হবে। যদি তেমন কিছু হয় পারিবারিক ভাবে হবে এবং সেটা বিয়ের পর্যায়ে যাবে। আমার বাবা-মার যেহেতু বয়স হয়েছে সন্তান হিসেবে তারা আমাকে সংসারী দেখতে চান।