বিদ্যুৎ শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়, এটি জনগনের সম্পদ: বাসদ
গ্যাস বিদ্যুতের বর্ধিত মূল্য প্রত্যাহার এবং নিত্যপণ্যের দাম কমানোর দাবিতে, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার উদ্যোগে মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়েছে। শনিবার (২৮ জানুয়ারি) সকাল ১১ টায় নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাব ভবনের সামনে ওই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
বাসদের জেলা আহ্বায়ক নিখিল দাসের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, জেলা বাসদের সদস্যসচিব আবু নাঈম খান বিপ্লব, গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্টের জেলা সভাপতি সেলিম মাহমুদ, সোনারগাঁ উপজেলা বাসদের সমন্বয়ক বেলায়েত হোসেন প্রমুখ।
নেতৃবৃন্দ বলেন, সরকার গ্যাস, বিদ্যুতের দাম বাড়িয়ে জনগণের ভোগান্তি আরো বাড়িয়েছে। একদিকে নিত্যপণ্যের দাম প্রতিনিয়ত বাড়ছে। ৬৮% মানুষ খাদ্য কিনতে হিমশিম খাচ্ছে। আবার গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বাড়ায় আরেক দফা জিনিসপত্রের দাম বাড়বে। গ্যাস-বিদ্যুতের সিস্টেম লসের নামে চুরি, দুর্নীতি, অনিয়ম বন্ধ হলে দাম বাড়ানোর প্রয়োজন হতো না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, যারা কুইক রেন্টালের বিরোধিতা করবে তাদের বিদ্যুৎ দেয়া হবে না। বিদ্যুৎ তো প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়, এটি জনগনের সম্পদ। ফলে এভাবে বলা অনুচিত। গত ১৪ বছর ধরে ক্যাপাসিটি চার্জের নামে কুইক রেন্টাল কোম্পানিগুলোকে বসিয়ে বসিয়ে ৯৬ হাজার কোটি টাকা দেয়া হয়েছে। ফলে এ বোঝা জনগনের উপর চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে। একদিকে জনগন গ্যাস পাচ্ছে না, আবার গ্যাসের দাম দফায় দফায় বাড়ানো হচ্ছে। আমরা বার বার বলেও গ্যাস ক্ষেত্রগুলো থেকে সরকার গ্যাস উত্তোলন করেনি। শুধুমাত্র লুটপাটের প্রয়োজনে বিদেশ থেকে গ্যাস আমদানির সিদ্ধান্ত নেয়।
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, আইএমএফের ৪৫০ কোটি ডলার ঋনের শর্ত পুরণে সরকার গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে। বর্তমান ফ্যাসিস্ট ভোট ডাকাতির সরকারের জনগনের প্রতি দায় নেই। ফলে জনগনের বিরুদ্ধে একটার পর একটা পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। নেতৃবৃন্দ ক্ষমতাসীন ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলার জন্য জনগনের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান।