বিদেশি ষড়যন্ত্র নিয়ে উদ্বেগ, লেখক-শিল্পীদের বিবৃতি
গত জুলাইয়ের গণ-অভ্যুত্থানে শাসকের পতনের পরও বাংলাদেশে বিদেশি ষড়যন্ত্র এবং দেশের অভ্যন্তরে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির অপচেষ্টার প্রতি লেখক, কবি ও শিল্পী সমাজ তীব্র উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। সম্প্রতি চট্টগ্রামের নিউ মার্কেট এলাকায় জাতীয় পতাকার ওপর ইসকনের ধর্মীয় পতাকা উত্তোলন এবং সহকারী সরকারি কৌঁসুলি সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যার মতো ঘটনা দেশে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা সৃষ্টির গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ বলে তারা মন্তব্য করেছেন। এ সংক্রান্ত এক বিবৃতি থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারীররা কবি, লেখক, শিল্পী, সাংবাদিক, আইনজীবী এবং গবেষকসহ দেশের বিভিন্ন পেশার বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। এদের মধ্যে রয়েছেন- আবদুল হাই শিকদার, কাজল শাহনেওয়াজ, আহমেদ স্বপন মাহমুদ, ফারুক ওয়াসিফ, এ কে এম রেজাউল করিম (কলামিস্ট ও সমাজসেবক), ড. খান সুবায়েল বিন রফিক (গবেষক), এবং এহসান হাবীব (কবি ও ‘অবরুদ্ধ সময়ের কবিতা’র সম্পাদক)*। তারা সবাই দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।
দেশব্যাপী সচেতনতা গড়ে তোলার আহ্বান: লেখক-শিল্পীরা তাদের বিবৃতিতে বলেন, “দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রকারীরা চায় বাংলাদেশে গৃহযুদ্ধ বাধুক। কিন্তু আমরা এটা হতে দেব না। দেশের প্রতিটি পাড়া-মহল্লায় সচেতনতা জাগিয়ে তুলতে হবে। আমাদের একমাত্র শক্তি ধৈর্য, সহনশীলতা এবং ঐক্য।”
সংহতি সপ্তাহকে জাতীয় উদ্যোগে পরিণত করার আহ্বান: গণ-অভ্যুত্থানের চেতনা ধরে রাখতে “সংহতি সপ্তাহ” কর্মসূচিকে জাতীয় সংহতির প্রতীক হিসেবে গড়ে তোলার আহ্বান জানানো হয়েছে। তারা উল্লেখ করেন, “দেশকে শান্ত রাখাই এখন সবচেয়ে বড় প্রয়োজন। রাজনৈতিক দলগুলোকে বিভেদ দূর করে ঐক্যবদ্ধভাবে দেশের শান্তি রক্ষায় কাজ করতে হবে।”
বিবৃতিদাতাদের আশা: বিবৃতিতে লেখক-শিল্পীরা বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি, সমৃদ্ধি এবং জাতীয় সংহতির জন্য শুভকামনা ব্যক্ত করেন। তারা বিশ্বাস করেন, জনগণের সতর্কতা এবং একতাবদ্ধ প্রচেষ্টাই এ ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করতে সক্ষম।