গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারীদের ধারাবাহিক হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গণসংহতি’র উদ্বেগ,
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারীদের ধারাবাহিক হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় উদ্বেগ, হত্যাকারীদের বিচার ও আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি গণসংহতি আন্দোলন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা’র।
বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) গণসংহতি আন্দোলন চট্টগ্রাম জেলা সদস্য সচিব জাহিদুল আলম আল-জাহিদ সাক্ষরিত বিবৃতিতে এই দাবি জানান।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম নগরীতে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা, ৩৬জুলাই অভ্যুত্থানে সরব শিক্ষার্থী জসিমউদ্দীনকে মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) রাতে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে । জসিমউদ্দীন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কর্মী হিসেবে ছাত্রদলের রাজনীতিতে যুক্ত ছিলেন বলে জানা গেছে। জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত করতে চট্টগ্রামে জসিম উদ্দিনের নেতৃত্ব স্বীকৃত। গণসংহতি আন্দোলন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা শহীদ জসিমউদ্দীনের খুনের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। দ্রুত রাষ্ট্রের দায়িত্ব খুনীদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনতে হবে।
এতে আরও বলা হয়, বিভিন্ন মহল থেকে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পরাজিত শক্তি অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারীদের টার্গেট করে গুপ্ত হত্যার মিশনে নেমেছে বলে আশংকা করা হচ্ছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থানের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবার জীবনের নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি হয়েছে।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীদের যথাযথ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ধারাবাহিক ভাবে ব্যর্থ হয়েছে। দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণেও চরমভাবে ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে। গণহত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত আসামিরা বহাল তবিয়তে পালিয়ে থেকে একে একে দেশ ছেড়েছে। কিন্তু সরকার নির্বিকার। ক্যাম্পাসে, আবাসিক হলে, রাস্তাঘাটে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা জনসম্মুখে অবস্থান করছে, মিছিল-মিটিং করছে। কিন্তু সরকার তাদেরকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনতে সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে। নেতারা অবিলম্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ এবং ছাত্রজনতার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানান।