ফারদিন হত্যায় কেউই জড়িত নন: ডিবি

ফতুল্লার ছেলে ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশ (২৪) হত্যা মামলাটি তথ্যগত ভুলে করা হয়েছে দাবি মহানগর গোয়েন্দা সংস্থার (ডিবি)। মামলার তদন্ত সংস্থাটি মনে করে ফারদিন হত্যায় কেউই জড়িত নন। শিগগির আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে। সব প্রস্তুতি সম্পন্ন।

এদিকে, ফারদিন আত্মহত্যা করেছেন, তা মানতে চায়নি তার বাবা। চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হলে তার ওপর নারাজি দেবেন তিনি।

গোয়েন্দা মতিঝিল বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) শাহিদুর রহমান রিপন বলেন, আপাতদৃষ্টিতে মনে হচ্ছে, এটি একটি আত্মহত্যা। আমরা ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলেছি, পোস্টমর্টেম রিপোর্ট দেখেছি। সার্বিক দিক দেখে মনে হয়েছে, এটি আত্মহত্যা।

এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ইয়াসিন শিকদার গণমাধ্যমকে বলেন, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশ হত্যা মামলাটি তথ্যগত ভুলে করা হয়েছে। তদন্তে ফারদিন আত্মহত্যা করেছেন বলে আমরা আপাতদৃষ্টিতে পেয়েছি। এ মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রস্তুত করা হয়েছে। শিগগির আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করবো।

ফারদিনের বাবা নূর উদ্দিন রানা গণমাধ্যমকে বলেন, বর্তমান তদন্ত সংস্থা যেসব কথা বলছে তা আষাঢ়ে গল্প। বুশরা আমার ছেলেকে হত্যা করেননি। তিনি হত্যার ইন্ধনদাতা। বুশরা পরিকল্পনা করেছেন আমার ছেলেকে হত্যা করার। বুশরা একজন নারী। বুশরাকে রাত ১০টায় আমার ছেলে গাড়ি থেকে নামিয়ে দেয়। এরপর তাকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। তদন্ত সংস্থা ফারদিন হত্যা মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করলে আমি তার বিরুদ্ধে নারাজি দেবো।

বুশরার আইনজীবী মোখলেসুর রহমান বাদল বলেন, বুশরা ফারদিনের একজন ভালো বন্ধু ছিলেন। তিনি কোনোভাবে এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত না। তদন্ত সংস্থা এরই মধ্যে সংবাদ সম্মেলন করে বলেছে, ফারদিন আত্মহত্যা করেছেন। বুশরা মেধাবী ছাত্রী। তিনি নির্দোষ।

উল্লেখ্য, গত ৭ নভেম্বর সন্ধ্যা ৬টার দিকে নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ফারদিন নূর পরশের মরদেহ উদ্ধার করে নৌ-পুলিশ। এ ঘটনায় বান্ধবী বুশরাসহ অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ‘হত্যা করে লাশ গুম’ করার অভিযোগে রামপুরা থানায় মামলা করেন ফারদিনের বাবা নূর উদ্দিন রানা।

ফারদিনের বাবা নূর উদ্দিন রানা বিজনেস পত্রিকা ‘দ্য রিভারাইন’র সম্পাদক ও প্রকাশক। তিনি দীর্ঘ ৪৫ বছর ধরে সাংবাদিকতা করছেন। ফারদিনের মা ফারহানা ইয়াসমিন গৃহিণী। তাদের গ্রামের বাড়ি নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা উপজেলার নয়ামাটিতে। তিন ভাইয়ের মধ্যে ফারদিন ছিলেন সবার বড়। তার মেজ ভাই আবদুল্লাহ নূর একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছেন। ছোট ভাই তামিম নূর এ বছর এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button