সিরিয়ার জন্য প্রায় ৪০ কোটি ডলার প্রয়োজনঃ জাতিসংঘ
সিরিয়ায় ভয়াবহ ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্য করার জন্য জাতিসংঘ মঙ্গলবার ৩৯ কোটি ৭০ লাখ ডলারের আবেদন জানিয়েছে। দেশটিতে এ দুর্যোগে কয়েক হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছে এবং লাখো মানুষের একেবারে জরুরি ভিত্তিতে সাহায্যের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। খবর এএফপি’র।
নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদরদপ্তরে এমন আবেদনের ঘোষণা দিয়ে সংস্থাটির মহাসচিব বলেন, সিরিয়ার প্রায় ৫ লাখ নাগরিকের জন্য ‘জীবন রক্ষা ত্রাণ’ জোগাবে এ তহবিল এবং তা দিয়ে তিন মাস চলা যাবে।
তিনি আরো বলেন, বিশ্ব সংস্থাটি তুরস্কের জন্য অনুরূপ আবেদনের চূড়ান্ত ধাপে রয়েছে।
গুতেরেস সাহায্যের অনুরোধ জানিয়ে বলেন, ‘বিধ্বংসী ভূমিকম্পের এক সপ্তাহ পর এই অঞ্চল জুড়ে লাখ লাখ মানুষ গৃহহীন অবস্থায় প্রচ- শীতের মধ্যে বেঁচে থাকার জন্য লড়াই করছে। আমরা সেখানকার এমন পরিস্থিতি পরিবর্তনের জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাচ্ছি। তবে, এক্ষেত্রে আরো অনেক কিছু প্রয়োজন।’
তিনি সদস্য দেশগুলোকে ‘বিলম্ব না করে এই প্রচেষ্টাকে এগিয়ে নিতে যথাসাধ্য অর্থায়ন করার জন্য এবং লাখো শিশু, মহিলা এবং পুরুষদের সাহায্য করার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন।’
১২ বছরের গৃহযুদ্ধে ইতোমধ্যে ভেঙ্গে পড়া সিরিয়ায় ত্রাণ কর্মীদের অবাধে কাজ করার অনুমতি দেওয়ারও আহ্বান জানিয়েছেন গুতেরেস।
এদিকে সিরিয়ার উত্তরপশ্চিমে অবস্থান করা ত্রাণ কর্মীরা এবং জরুরি দলের সদস্যরা বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত এলাকায় ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্যে জাতিসংঘের ধীর প্রক্রিয়ার সমালোচনা করেছে।
এক্ষেত্রে বলা হয়, ভূমিকম্প আঘাত হানার আগে সিরিয়ার উত্তরপশ্চিমের বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত এলাকায় বসবাস করা ৪০ লাখেরও বেশি মানুষের জন্য প্রায় সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ মানবিক সাহায্য মাত্র একটি ক্রসিংয়ের মাধ্যমে বিতরণ করা হয়েছিল।
এদিকে গুতেরেস সোমবার বলেছেন, সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ সাহায্যের অনুমতি দেওয়ার জন্য উত্তরপশ্চিম সিরিয়ায় আরো দুটি সীমান্ত ক্রসিং খুলতে সম্মত হয়েছেন।
জাতিসংঘ প্রধান বলেন, ‘এমন ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগে ত্রাণ প্রবেশ, অর্থায়ন এবং সরবরাহের ক্ষেত্রে মানসৃষ্ট বাধায় পরিস্থিতি আরো খারাপ করা উচিত নয়।’
তিনি বলেন, ‘এক্ষেত্রে কোন ধরনের বাধা ছাড়া অবশ্যই সাহায্য সব দিক থেকে, সব রুট হয়ে যেতে হবে।’
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন মঙ্গলবার গুতেরেসের সাথে সম্ভাব্য সহায়তার বিষয়ে কথা বলেন এবং সীমান্ত ক্রসিংগুলো খোলার ব্যাপারে আন্তর্জাতিক চাপের আহ্বান জানিয়েছেন।
জাতিসংঘ ইতোমধ্যে তাদের কেন্দ্রীয় জরুরি প্রতিক্রিয়া তহবিলের মাধ্যমে ৫ কোটি ডলার প্রদান করেছে।