গণসংহতি আন্দোলন , চট্টগ্রাম জেলা শাখার প্রথম সম্মেলন অনুষ্ঠিত
প্রেস রিলিজ :অদ্য ৩ মার্চ , শুক্রবার বিকাল ৩.০০ চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ মার্কেটসহ সামনে গণসংহতি আন্দোলন , চট্টগ্রাম জেলা শাখার ১ম সম্মেলন অনুষ্টিত হয় ।
চট্টগ্রাম জেলার আহ্বায়ক হাসান মারুফ রুমি’র সভাপত্বিতে সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন গণসংহতি আন্দোলন এর প্রধান সম্মনয়ক জননেতা জোনায়েদ সাকি ।
আরো বক্তব্য রাখেন , অধ্যাপক আমির উদ্দীন , গণসংহতি আন্দোলনর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ডা: অপূর্ব নাথ, জেলা কমিটির অন্যতম নেতা ও শ্রমিক নেতা মির্জা আবুল বশর এড. ফাহিম শরীফ খান , নাসির জোশি, গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতি’র কেন্দ্রীয় নেতা শহিদ শিমুল , গণসংহতি আন্দোলনের অন্যতম নেতা মোজাফফর আহম্মেদ , মো হারুন ,পাঁচলাইশ শাখার আহ্বায়ক ও মহানগর কমিটি সদস্য সচিব মিজানুর রহিম চৌধুরী , ডবলমুরিং শাখার আহ্বায়ক হাসান মুরাদ শাহ , কোতোযালী শাখার সদস্য সচিব এড. শাহাদাত হোসেন মানিক, চান্দগাঁও শাখার আহ্বায়ক মাসুদ ইকবাল , সীতাকুন্ড শাখার আহ্বায়ক প্রকৌশলী জাহিদুল আলম আল জাহিদ , বাকলিয়ার সংগঠক মোর্শেদুল আলম , বহুমুখী শ্রমজীবী ও হকার সমিতি নেতার সাধন দত্ত ,মংসাই মারমা
আহ্বায়ক ,থানচি উপজেলা, গার্মেন্ট শ্রমিকনেতা মো সোহাগ প্রমুখ ।
সম্মেলনে বক্তারা বলেন , বর্তমান কর্তৃত্ববাদী শাসকের লুণ্ঠন নির্যাতন-নিপীড়িত, অপমানের পরাধীন জীবনই দেশের মানুষের নিত্য নিয়তিতে পরিণত হয়েছে । এই পরিস্থিতি একদিনে পরিণত হয় নাই । ২০১৪ সালে বিনাভোটের সরকার ও ২০১৮ সালে মধ্যেরাতের ভোট ডাকাতির মাধ্যমে জবরদস্তি করে মাধ্যমে জবরদস্তি করে সরকারের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার মধ্যে এ সংকট নিহিত । জনগণের ম্যান্ডেটহীন এ সরকারের সাথে জনগণের কোন সম্পর্ক নাই । দফায় দফায় অযৌক্তিক গ্যাস ও বিদ্যুৎ এর দাম বৃদ্ধি , ব্যাংক থেকে হাজার কোটি টাকা লুটপাট- পাচার , দখলদারিত্ব , গুম -খুন এখন স্বাভাবিক ঘটনায় পরিণত হয়েছে । নারী নিপীড়ন যেকোন সময়ের চেয়ে বেড়ে গেছে বহুগুন ।
সরকার এ সকল লুটপাঠের ও ঘটনার রাস্তার তৈরী করছে ও বৈধতা নিচ্ছে উন্নয়নের নামে । ক্ষমতা কুক্ষিগত করার নাম দিয়ে দিয়েছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা , ধর্মনিরপেক্ষতা ও নারীর ক্ষমতায়ন । এর ফলে জনগনের উপর নেমে আসছে এক ভয়াবহ বিপর্যয় । আয়ের সাথে ব্যয়ের কোন সামনঞ্জস নাই । দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন উধ্বগতি মানুষকে ঠেলে দিয়েছে নীচু মাত্রার দূর্ভিক্ষের দিকে ।
বক্তারা আরো বলেন , চট্টগ্রামে বিপুল ব্যয়ে টানেল, ফ্লাইওভার, এলিভেটেড এক্সপ্রেস নির্মাণ করেছে । যার অধিকাংশ ঘোড়া আগে গাড়ি জুড়ে দেওয়ার মত অবস্থা । চট্টগ্রামে মহানগরের অভ্যন্তরে উত্তর ও দক্ষিণ চট্টগ্রামে। যাতায়তের কোনো সুপিকল্পিত জনবান্ধব পরিবহন ব্যবস্থা গড়ে উঠেনি । চিকিৎসার দিক বিবেচনা করলে চট্টগ্রামের অবস্থা আরো নাজুক । গত ৫০ বছরে এখানে কোন সরকারী উল্লেখযোগ্য চিকিংসা স্থাপনা বা হাসপাতল গড়ে প্রতিষ্ঠা হয় নাই ।
প্রধান অতিথি জোনায়েদ সাকি বলেন , আজকে বাংলাদেশের সমস্ত প্রতিষ্ঠান আওয়ামী শাসক গোষ্টি নিজেদের পকেটে রেখেছে । নিজেদের পকেটে আয়ত্ব করা মধ্যে দিয়ে শাসক গোষ্টি সমস্ত জুলুম -নির্যাতন , লুটপাট, অর্থ পাচার সবকিছু অনায়াসে করছে । যারা এসব বিরুদ্ধে কথা তাদেরকে নানাভাবে হুমকি-ধমকি , মামলা এবং রাষ্ট্রীয় বাহিনী দ্বারা নির্যাতন করছে । এই রাষ্ট্রীয় বাহিনী দিয়ে নির্যাতন করার যে কতটা ভয়াবহভাবে হাজির হয়েছে সেটা আমরা দেখি এই বাহিনীকে আন্তর্জাতিকভাবে নিষেধাজ্ঞায় পড়তে হয়েছে । যেটা দেশ হিসাবে আমাদের জন্য খুবই লজ্জাজনক ।
তিনি আরো বলেন , আজকে বাংলাদেশ চলছে একটা মাফিয়াতন্ত্রে আর এই সমস্ত মাফিয়াতন্ত্র লুকিয়ে আছে আমাদের সংবিধানে । এই সংবিধানে সমস্ত ক্ষমতা এক ব্যাক্তির হাতে তুলে দেয়া হয়েছে যার ফলে ক্ষমতার কোন ভারসাম্য নাই । ফলে সে ব্যাক্তি যেভাবে বলে সেভাবে দেশ চলছে । আমাদের আজকে এই ব্যবস্থার পরিবর্তন করতে হবে । এই ব্যবস্থার পরিবর্তনের জন্য যে লড়াই সেই লড়াইয়ে জনগণকে সংগঠিত হতে হবে , গণসংহতি জনগণকে রাজপথে সংগঠিত করার সে সংগ্রাম করে যাচ্ছে । সে সংগ্রামে জনগণের সকল অংশে ঐক্যবদ্ধ অংশগ্রহন করার আহ্বান রইল ।
সম্মেলনে হাসান মারুফ রুমী কে সম্মনয়কারী ও ফরহাদ জামান জনি কে নির্বাহী সম্মনয়কারী করে গণসংহতি আন্দোলন চট্টগ্রাম জেলার ২৯ সদস্য কমিটি ঘোষণা করা হয় ।
সম্মেলন শেষে একটি র্যালি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে ।