নারায়ণগঞ্জে ওসমানীয় রাজত্ব চলে: মেয়র আইভী
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র সেলিনা হায়াত আইভী বলেছেন, আমরা আমাদের সন্তানের বিচার চাই, কিন্তু সেই বিচারটাই পাচ্ছি না। আমরা ১০ বছর যাবৎ ত্বকী হত্যার বিচার চেয়ে আসছি। ঘাতক কে আমরা জানি, তার বাড়ি, তার গুষ্ঠি অব্দি চিনি; কেনো তাদের বিচার হবে না। এই শহরের মানুষ জেগে উঠেছে। এরা নিজের অধিকার চাইতে পারে, খুনিকে খুনি বলতে পারে। এই সাহস টা হরণ করা হয়েছিলো। ত্বকী আমাদের শিখিয়ে দিয়ে গেছে কিভাবে প্রতিবাদ করতে হবে। এই ত্বকী হত্যার বিচার নারায়ণগঞ্জের মানুষ একদিন করবে।
সোমবার (৬ মার্চ) বিকালে ত্বকী হত্যার দশ বছর উপলক্ষে আয়োজিত সন্ত্রাস নির্মূল মঞ্চের চিত্রাংকন প্রতিযোগিতায় উপস্থিত হয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
মেয়র বলেন, সারা বাংলাদেশে ৬৪ জেলা, সারা বাংলাদেশে ৬৪ জেলা, নারায়ণগঞ্জকে বাদ দিলে হয় ৬৩ জেলা। সব জেলা চলে একইরকম ভাবে, নারায়ণগঞ্জে চলে ওসমানীয় রাজত্ব। এ রাজত্বের মধ্যে প্রশাসন এখানে কিছুই না। প্রশাসনের কোনো কর্মকান্ড নাই, ভূমিকা নাই। যেভাবে প্রেসক্রিপশন দেওয়া হয় ঠিক সেভাবেই কাজগুলো হয়। আমি এখনো বুঝে উঠতে পারি না, এ শহরে যারা আসে প্রশাসনের লোকজন তারা কার হুকুম পালন করে? সরকারের নাকি স্থানীয় গডফাদারদের?
তিনি আরও বলেন, পুরো শহর হয়ে গেছে ওসমানীয় সাম্রাজ্য। আমরা গুটি কয়েকজন মানুষ সকরকে একত্রিত করে যেভাবে প্রতিবাদ করে যাচ্ছি, আমরা মনে হয় হত্যাকারীদের সাম্রাজ্য খুব দ্রুত ভেঙ্গে পরবে। আজ একটি সত্যাকে চাপা দিতে ১০০টি মিথ্যার জন্ম দেয়া হয়। এই মিথ্যা শুরু হয়েছে ১৯৯৬ সাল থেকে। টাকার বিনিময়ে পোষা কুত্তা গুলাও মিথ্যা কথা বলে বেড়াচ্ছে। আমি সরকারে কাছে অনুরোধ জানাবো, আপনারা অনেক হত্যার বিচার করেছেন; দয়া করে ত্বকী হত্যার বিচার করেন। সবাই জানে এই হত্যা কারা করেছে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘরের ট্রাস্টি লেখক গবেষক মফিদুল হক, নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি ও খবরের পাতার সম্পাদক এড. মাহাবুবুর রহমান মাসুম, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও নিহত ত্বকীর বাবা রফিউর রাব্বি, কবি ও সাংবাদিক হালিম আজাদ, রথিন চক্রবতি, জিয়াউল ইসলাম কাজল প্রমুখ।