র্যাব-৭ এর অভিযানে ফেনীতে ১৩হাজার ইয়াবা সহ ৪ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার
র্যাব-৭, চট্টগ্রাম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী ফেনী জেলার ফেনী মডেল থানাধীন রামপুরস্থ পাকা রাস্তার উপর মাদকদ্রব্য ইয়াবা ক্রয় বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে অবস্থান করছে।
উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম এর একটি আভিযানিক দল গত ১৮ মার্চ ২০২৩ খ্রিঃ তারিখ ১২০০ ঘটিকার সময় বর্ণিত স্থানে অভিযান পরিচালনা করে আসামী ১। মোঃ সোহেল (২০), পিতা- নবী হোসেন, সাং- নয়া বাজার, থানা- টেকনাফ, জেলা- কক্সবাজার, ২। আয়েশা বেগম (৩৯), পিতা- মৃত হাবিবুর রহমান, সাং- নয়া বাজার, থানা-টেকনাফ, জেলা- কক্সবাজার, ৩। জাহানারা বেগম (৩৫), পিতা- নূর আহাম্মদ, সাং- খারাংখালী, থানা-টেকনাফ, জেলা- কক্সবাজার এবং ৪। জহুরা বেগম (৩৩), পিতা- মৃত হাবিবুর রহমান, সাং- শিকদারপাড়া, থানা- টেকনাফ, জেলা- কক্সবাজারদেরকে আটক করতে সক্ষম হয়।
পরবর্তীতে উপস্থিত স্বাক্ষীদের সম্মুখে ধৃত আসামীদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ ও তল্লাশী করে ০১ নং আসামী সোহেল এর পরিহিত প্যান্টের পকেট ও অন্যান্য আসামীদের পরিহিত পোষাকের ভিতর হতে মোট ৫২ টি নীল ও সাদা স্বচ্ছ রংয়ের বায়ুরোধক পলি প্যাকেটে সর্বমোট ১৩,৪২৫ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধারসহ আসামীদেরকে গ্রেফতার করা হয়। উল্লেখ্য সিডিএমএস পর্যালোচনা করে গ্রেফতারকৃত ০১ নং আসামী মোঃ সোহেল এর বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম জেলার পটিয়া থানায় মাদকদ্রব্য সংক্রন্তে ০১টি, ০২ নং আসামী আয়েশা বেগম এর বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম জেলার চন্দনাইশ এবং বাঁশখালী থানায় মাদকদ্রব্য সংক্রন্তে ০২টি এবং ০৪ নং আসামী জহুরা বেগম এর বিরুদ্ধে কক্সবাজার জেলার টেকনাফ থানায় ০১ টি অস্ত্র সংক্রান্ত এবং ০১টি মাদকদ্রব্য সংক্রান্ত ০ মামলা পাওয়া যায়। গ্রেফতারকৃত আসামী এবং উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্য সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
বাংলাদেশ আমার অহংকার এই স্লোগান নিয়ে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিভিন্ন ধরণের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে জোরালো ভূমিকা পালন করে আসছে। র্যাব সৃষ্টিকাল থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধ এর উৎস উদঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতারসহ আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির সার্বিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে।
র্যাব-৭, চট্টগ্রাম অস্ত্রধারী সস্ত্রাসী, ডাকাত, ধর্ষক, দুর্ধষ চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, খুনি, ছিনতাইকারী, অপহরণকারী ও প্রতারকদের গ্রেফতার এবং বিপুল পরিমাণ অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ ও মাদক উদ্ধারের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করায় সাধারণ জনগনের মনে আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।