শামসুজ্জামানের নামে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মিথ্যা মামলা ও গ্রেপ্তারের ঘটনায় তীব্র নিন্দা

সম্পাদকীয়ঃ ২৯ মার্চ ২০২৩, বুধবার, দৈনিক ন্যায়ের আলো’র সম্পাদক প্রকৌশলী জাহিদুল আলম আল-জাহিদ এক বিবৃতিতে প্রথম আলোর সাভার প্রতিনিধি শামসুজ্জামানের নামে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মিথ্যা মামলা ও গ্রেপ্তারের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান এবং অবিলম্বে মামলা প্রত্যাহার ও তার মুক্তির দাবি জানান।

তিনি বলেন বাজারে উর্দ্ধগতির কারণে জনমনে চরম নাভিশ্বাস বিরাজ করছে। দেশের শ্রমজীবী-মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানুষও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বাড়াতে চরম সংকটে পড়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে হলগুলোতে খাবারের দাম বেড়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় মেসে ও হলগুলোতে খাবারের দাম বাড়ায় শিক্ষার্থীরাও পর্যাপ্ত খাবার খেতে পারছে না। যার ফলে ক্ষোভ দেখা যাচ্ছে, সাম্প্রতিক সময়ে শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ জানাচ্ছে। অস্বাভাবিকভাবে খাদ্য দ্রব্যের দাম বাড়াতে জনপরিসরে এটিই প্রধান আলোচ্য বিষয়ে পরিণত হয়েছে। গণমাধ্যমেও সেই আলোচনা এসেছে।

খাবারের দাম বাড়ার প্রেক্ষিতে ২৬শে মার্চ স্বাধীনতা দিবসে প্রথম আলো “মাছ-মাংস ও চাউলের স্বাধীনতা লাগবে” শীর্ষক শিরোনামে যে সংবাদ প্রকাশ করে তাতে রাষ্ট্রের আপত্তির কথা বলে প্রথম আলোর প্রতিনিধি শামসুজ্জামানকে রাতের আধারে গ্রেপ্তার করা হয়। আমরা এই গ্রেফতারের ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই এবং অবিলম্বে তার নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও তাকে নিঃশর্তভাবে মুক্তি দেবার আহ্বান জানাই।”

সংবাদ মাধ্যম রাষ্ট্রের দর্পণ, সমালোচনা করা কিংবা দ্বিমত পোষণ অথবা দূর্নীতির বিরুদ্ধে গণমাধ্যমই সবচেয়ে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখে। গণমাধ্যমই আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে জনগণের কাছে বার্তা পৌঁছে দিয়েছে। সামরিক শাসন, স্বৈরাচারের মসনদ কাপিয়ে দিয়েছে। সকল অপশক্তির বিরুদ্ধে গণমাধ্যম কর্মীরা সব সময় সোচ্চার থাকেন। আজ তাদের কন্ঠ রোধ করার জন্য ডিজিটাল সিকিউরিটি এক্ট নামক কালো আইন ব্যবহার করা হচ্ছে।

অবিলম্বে এই কালো আইন বাতিল করে গণমাধ্যম ও জনগণের বাক স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে।

“বর্তমান সরকার তার অবৈধ শাসনকে দীর্ঘায়িত করতে দীর্ঘদিন ধরেই গণমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণ করছে। বর্তমান সময়ে সরকার আরো শক্তভাবে গণমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণ করতে চায়। তারই প্রমাণ আমরা বিভিন্ন ঘটনায় দেখতে পাচ্ছি। প্রথম আলোর সাংবাদিক শামসুজ্জামানকে গ্রেপ্তার সেসকল প্রক্রিয়ারই অংশ। দেশে গণতন্ত্র, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও ভোটাধিকারের দাবিতে ছাত্র-জনতাকে ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের আহ্বান জানাচ্ছি।