নারায়ণগঞ্জ মহানগরীতে সপ্তাহের ব্যবধানে কমেছে মাছ-মুরগি-সবজির দাম
রমজানের শুরুতেই পণ্যের দামে অস্বস্তি শুরু হলেও সপ্তাহের ব্যবধানে নগরীর বাজার গুলোতে ট কমেছে সব ধরনের মুরগি, সবজি ও মাছের দাম। শনিবার (১ এপ্রিল) নগরীর প্রধান কাঁচাবাজার দিগুবাবুর বাজারসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে এসব চিত্র দেখা গেছে।
গত শুক্রবার ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ২৮০ টাকা পর্যন্ত। এখন সে মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২১০ টাকায়। সোনালী মুরগি ৩৮০ টাকায় বিক্রি হলেও এখন ৩২০ থেকে ৩৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর ৪৭০-৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে দেশি মুরগি।
একই বাজারের মাছ ব্যবসায়ী সিদ্দিকুর রহমান জানান, বাজারে প্রথম রোজার তুলনায় মাছ কেজি প্রতি ২০ থেকে ৫০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে। এখন যে চাহিদা তার চেয়ে বাজারে প্রচুর মাছ এসেছে। যে কারণে দাম আগের চেয়ে কিছুটা কমেছে।
মাছ ব্যবসায়ী আবুল মিয়া জানান, যে বোয়াল মাছ কয়েক দিন আগেও ৮০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে তা এখন বিক্রি হচ্ছে ৭০০ টাকায়। একইভাবে রুই, কাতলা, মৃগেল ও কার্ফু মাছ ২৮০ থেকে ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা গত সপ্তাহে ৩০০ টাকা থেকে ৩৪০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
এছাড়াও বাজারে বড় বড় পাঙাশ ও তেলাপিয়া মাছ দেখা গেছে দোকানে দোকানে। যা বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২২০ টাকা কেজি দরে।
দিগুবাবুর বাজারের সবজী বিক্রেতা আলম মিয়া জানান, সপ্তাহের ব্যবধানে বিভিন্ন সবজী ১০ থেকে ৩০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে।
ভালো মানের বেগুণ রোজার প্রথম দিকে ১০০ টাকায় বিক্রি হলেও এখন সেটা ৪০ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এর কমেও বিক্রি হচ্ছে কোথাও কোথাও। আবার ৮০ টাকার শসা এখন ৩০ টাকা হয়েছে। ৬০ টাকা লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে এখন ৩০ টাকায়।
বিভিন্ন বাজারে দেখা গেছে, এখন প্রতি কেজি সজিনা, বরবটি ও কচুর লতি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৯০ টাকায়। পটোল, ভেন্ডি, ঝিঙা, চিচিংগা, বেগুন, শসার দাম ৬০ থেকে ৭০ টাকা। আর শিম, মুলা ও টমেটো প্রতিকেজি ২০ থেকে ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারে আগের দামেই ৭৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে গরুর মাংস।