লেবাননের বৈরুতে হিজবুল্লাহ ও হামাস নেতার বৈঠক
সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহ এবং হামাসের নেতা বৈরুতে এক বৈঠকে মিলিত হয়েছেন। অবৈধ সন্ত্রাসী রাষ্ট্র ইসরাইলের বিরুদ্ধে ‘প্রতিরোধের অক্ষের প্রস্তুতি’ নিয়ে তারা বৈঠকটি করেন।রোববার হিজবুল্লাহর এক বিবৃতি থেকে এ কথা বলা হয়েছে।
গাজা শাসনকারী ফিলিস্তিনের ইসলামী আন্দোলন হামাসের প্রধান ইসমাইল হানিয়া বুধবার থেকে লেবাননের রাজধানী বৈরুতে অবস্থান করছেন। এর পরদিনই ইরান সমর্থিত হিজবুল্লাহর শক্ত ঘাঁটি দক্ষিণ লেবানন থেকে ইসরাইলের ভূখন্ডের দিকে ৩৪টি রকেট নিক্ষেপের জন্যে হামাসকে দায়ী করেছে। উপকূলীয় ছিটমহল থেকে ইসরাইলকে লক্ষ্য করে রকেট ছোঁড়ার পর শুক্রবার ভোরে তেলআবিব বাহিনী প্রতিশোধ হিসেবে দক্ষিণ লেবানন ও গাজা উভয়দিকে হামলা চালায়।
এদিকে হিজবুল্লাহ প্রধান হাসান নসরুল্লাহের সাথে বৈঠককালে ইসমাইল হানিয়া উভয় গ্রুপের সদস্যদের মধ্যে সহযোগিতা এবং সাম্প্রতিক ঘটনাবলীর প্রেক্ষিতে ইসরাইলের বিরুদ্ধে ‘প্রতিরোধের অক্ষের প্রস্তুতি’ নিয়ে আলোচনা করেন।
‘প্রতিরোধের অক্ষ’ বলতে লেবানিজ, ফিলিস্তিনী,সিরীয়সহ ইসরাইলের বিরোধিতাকারী ইরান সমর্থিত অন্যান্য গ্রুপকে বুঝনো হয়েছে।
উভয়ে ঠিক কখন বৈঠক করেছেন সে কথা উল্লেখ না করে বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, দুজনেই জেরুজালেমের আল আকসা মসজিদে ইসরাইলী হামলা এবং পশ্চিম তীর ও গাজায় প্রতিরোধ আরো জোরদার করার বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন।
উল্লেখ্য, ইসরাইলী বাহিনী বুধবার মুসলমানদের তৃতীয় পবিত্র স্থান আল আকসা মসজিদে হামলা চালায়। তারা বলছে, ভোরের আগে মসজিদের ভেতরে ব্যারিকেড তৈরি করা ‘আইনলঙ্ঘনকারী তরুন ও মুখোশধারী আন্দোলনকারীদের’ বের করে দেয়ার জন্যই তারা এ হামলা চালিয়েছে।