বিদেশি বন্ধুরা ক্ষমতায় আনতে পারবে না: খোকন সাহা
১৭ই এপ্রিল ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে মহানগর আওয়ামী লীগের পক্ষে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেছেন সাধারণ সম্পাদক এড. খোকন সাহা। সোমবার সকাল ১০টায় খোকন সাহার ব্যক্তিগত কার্যালয়ে অবস্থিত বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে এই পুস্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এড. হান্নান আহমেদ দুলাল, সহ-সভাপতি রবিউল হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জিএম আরমান, সংগঠনিক সম্পাদক এড. মাহমুদা বেগম মালা, যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন মৃধা, দপ্তর সম্পাদক এড. বিদ্যুৎ কুমার সাহা, মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য ও ১৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি এস এম পারভেজ, মহানগর আওয়ামী লীগের শিখন সরকার শিপন, মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য ও বীর মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল আবেদীন টুলু, ১২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, ১২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন জসিম, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও ১১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা সেলিম আহমেদ হেনা, মতিউর রহমান মতি, খাজা রহমান, ২৫ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা কবীর হোসেন, ১৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা মির্জা রুহুল আমিন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর তাঁতি লীগের আহবায়ক চৌধুরী এইচ এম শাহেদসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
অনুষ্ঠানে মহান মুজিবনগর সরকারের ভূমিকা সংক্ষিপ্তভাবে তুলে ধরে মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট খোকন সাহা বলেন, ‘মুজিবনগর সরকার গঠন হওয়ার পর থেকে বঙ্গবন্ধুর নির্দেশনা অনুযায়ী মহান মুক্তিযুদ্ধ যাতে সঠিকভাবে পরিচালিত হইতে না পারে তার জন্য খন্দকার মোস্তাক আহমেদ যথেষ্ট চেষ্টা করেছিলেন। খন্দকার মোশতাকেরা কোনদিনই চান নাই বাংলাদেশ স্বাধীন হোক। মোস্তাক চেয়েছিল পাকিস্তানের সাথে কনফেডারেশন করতে কিন্তু খন্দকার মোস্তাক ব্যর্থ হয়েছে। মোস্তাকদের জন্ম যুগে যুগে হয়। মুস্তাকদের বংশধররা অর্থাৎ তার অনুসারীরা কখনো বাংলাদেশকে মেনে নিতে পারে নাই। মুস্তাকের বংশধরদের চিনে রাখতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘জননেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশ থেকে উন্নত রাষ্ট্রের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। এটা জামাত-বিএনপি ও তাদের দোসরের মেনে নিতে পারছেন না। সামনে জাতীয় নির্বাচন। নেত্রী সারাদেশে যে যে উন্নয়ন করেছেন তার সঠিক চিত্র ঘরে ঘরে পৌছে দিতে হবে। সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে সকল ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।’
তিনি আরো বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচনের আরো সাত আট মাস বাকি আছে। দল এখনো মনোনয়নপত্র আহবান করেননি কিন্তু নারায়ণগঞ্জে প্রার্থীর ছড়াছড়ি। দুই এক জন সিনিয়র নেতৃবৃন্দ নিজেকে দলীয় প্রার্থী হওয়ার প্রত্যাশা ব্যক্ত করে সারা আসনে পোস্টার লাগিয়েছেন। তাদের কাছে অনুরোধ করি আপনারা দয়া করে এই কাজ থেকে বিরত থাকুন। কারণ নেত্রী মনোনয়ন দেওয়ার একমাত্র মালিক। আমাদের সকলকে একযোগ নেত্রীকে কথা দিতে হবে, নেত্রী দলের স্বার্থে, জোটের স্বার্থে এবং নেত্রীর মনোনীত প্রার্থীকে আমরা জয়যুক্ত করাবো, এটাই আমাদের প্রতিজ্ঞা করা উচিত। দলের আসন গুলিতে একাধিক প্রার্থী থাকলে দল ক্ষতিগ্রস্ত হবে, দলে বিভক্তির সৃষ্টি হবে; যা মঙ্গল জনক নয়। সকলকে চাওয়া পাওয়ার হিসাব বাদ দিয়ে, ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। আমাদের সকলের মনে রাখা উচিত জিয়াউর রহমানের দুঃশাসন, খালেদা জিয়ার দুঃশাসন ও তারেক জিয়া রক্তের হোলি খেলা আমরা দেখেছি। আমরা ওদের আগুন সন্ত্রাস দেখেছি, ওরা কিভাবে জনদুর্ভোগ এর কারণ হয়েছিল। মানুষ ওদের দুশ্মাসনের কথা, ওদের অত্যাচারের কথা ভুলে নাই।’
সরকার পরিবর্তনের একমাত্র রাস্তা নির্বাচন উল্লেখ করে বিএনপির প্রতি আহ্বান জানিয়ে খোকন সাহা বলেন, ‘আসুন সকলে মিলে ঐক্যবদ্ধভাবে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করি। বিদেশি বন্ধুরা আমাদের ক্ষমতায় আনতে পারবেন না, আমাদের ক্ষমতায় আনবে বাংলাদেশের জনগণ। আপনারা জনতার কাছে যান। নাশকতা করে, মানুষ হত্যা করে ক্ষমতার পট পরিবর্তন করা সম্ভব না। আপনারা যদি আবারও অতীতের মত আচরণ করেন, বাংলাদেশের জনগণ সময়মতো আপনাদের অপকর্মের জবাব দেবে। অতীতে আপনারা যে অত্যাচার জুলুম নির্যাতন আমাদের উপর করেছেন, আমরা ভুলি নাই। দয়া করে আপনাদের অতীতের কথা আমাদের স্মরণ করিয়ে দিবেন না। আমরা চাই আপনারা নির্বাচনে আসুন।’
তিনি নেতা কর্মীদের পবিত্র ঈদের পরে যে কোন পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানান।