চট্টগ্রামে অপহৃত যুবককে উদ্ধার ও অপহরনকারীকে আটক
চট্টগ্রামের কর্ণফুলির এক যুবককে অপহরন পূর্বক নির্যাতন করে মুক্তিপন আদায় চক্রের মূলহোতাকে ভুজপুর থানাধীন ভারতীয় সীমান্তবর্তী এলাকা হতে আটকসহ অপহৃত ভিকটিমকে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম কর্তৃক উদ্ধার।
অপহৃত ভিকটিম চট্টগ্রামের জোরারগঞ্জ থানাধীন অর্থনৈতিক অঞ্চল মডার্ন সিনটেক প্রতিষ্ঠানে চাকুরী করতেন। সেখানে চাকুরী করার সুবাধে আসামী মোঃ মামুন এবং মোঃ জসিম এর সাথে তার পরিচয় হয়। গত ২৮ এপ্রিল ২০২৩ খ্রিঃ তারিখ বেলা আনুমানিক ১২০০ ঘটিকায় আসামী মোঃ জসিম তাকে ফোন করে করেরহাট এলাকায় যাওয়ার জন্য বলে। জসিম ভিকটিমের পূর্ব পরিচিত হওয়ায় ভিকটিম তার সাথে দেখা করার জন্য রওনা দেয়। ভিকটিম করেরহাট এলাকায় পৌছালে সেখানে অপেক্ষমান একটি সিএনজি ড্রাইভার তাকে সিএনজিতে করে চট্টগ্রামের ভুজপুর থানাধীন কৈলারছড়া এলাকায় জসিমের বাসায় নিয়ে যায়। সেখানে অপেক্ষমান আসামী আল মামুন এবং অজ্ঞাত ৪-৫ জন সহযোগী ভিকটিমকে অপহরণ করে ভুজপুর থানাধীন ভারতীয় সীমান্তবর্তী একটি অজ্ঞাত এলাকায় নিয়ে যায় এবং শারীরিক নির্যাতন করে।
পরবর্তীতে অপহরণকারীরা ভিকটিমের পরিবারের কাছে ১ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবী করে এবং টাকা না দিলে ভিকটিমকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। এছাড়া অপহরণকারীরা ভিকটিমকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করে তার পরিবারের লোকদেরকে মোবাইলের মাধ্যমে শুনাত। ভিকটিমের পরিবার অপহৃত ভিকটিমকে উদ্ধার এবং অপহরণকারীদের গ্রেফতারের জন্য র্যাব-৭, চট্টগ্রামের নিকট অভিযোগ দায়ের করেন। র্যাব-৭, চট্টগ্রাম বর্ণিত অপহরণের বিষয়টি গুরুত্বের সাথে আমলে নিয়ে অপহৃত ভিকটিমকে উদ্ধার ও অপহরণকারীদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরধারী ও ছায়াতদন্ত অব্যাহত রাখে।
এরই ধারাবাহিকতায় গত ০১ মে ২০২৩ তারিখ ভোর ০৪৩০ ঘটিকায় র্যাব-৭, চট্টগ্রামের একটি আভিযানিক দল চট্টগ্রাম জেলার ভুজপুর থানাধীন রহমতপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে অপহৃত ভিকটিমকে উদ্ধার এবং উক্ত অপহরণ চক্রের মূলহোতা আসামী মোঃ মামুন (৩৭), পিতা- আব্দুল ছোবহান, সাং- করেরহাট, থানা- মীরসরাই, জেলা- চট্টগ্রামকে আটক করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে উপস্থিত স্বাক্ষীদের সম্মুখে জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামী স্বীকার করে সে ভিকটিমকে ভ‚জপুর এলাকার রাবার বাগানে আটক করে তার পরিবারের লোকদের নিকট বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি ও মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে ১ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবী করেছিল। গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।