মে দিবসে নারায়ণগঞ্জ জেলা ট্রেড ইউনিয়নের সমাবেশ
মহান মে দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির উদ্যোগে শ্রমিক সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে। সোমবার (১ মে) বিকালে নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে ওই শ্রমিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির সভাপতি আ. হাই শরীফ। সমাবেশ শেষে একটি বিশাল লাল পতাকা মিছিল নারায়ণগঞ্জ শহর প্রদক্ষিণ করে।
বক্তব্য রাখেন গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি এড. মন্টু ঘোষ, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের কেন্দ্রীয় কমিটির সংগঠক হাফিজুল ইসলাম, নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক বিমল কান্তি দাস, গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য দুলাল সাহা, জেলা কমিটির সহ-সভাপতি তপন কুমার রায়, জেলা কমিটির সহ-সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন, জেলা কমিটির সদস্য এম. এ. শাহীন, মোঃ শাহজাহান, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক কিশোর লালসহ জেলা নেতৃবৃন্দ।
সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, গত কয়েক বছরে দ্রব্যমূল্য বেড়েছে প্রায় শতভাগ। শ্রমজীবী মানুষ চরম অবস্থায় জীবন যাপন করছে। শ্রমিকদের মজুরি বাড়ানোর ক্ষেত্রে সরকার ও মালিক গোষ্ঠীর তালবাহানা চলছে। এর সর শ্রমিক স্বার্থবিরোধী নতুন নতুন কালো আইন করে আন্দোলন দমনের চেষ্টা করা হচ্ছে। মে দিবসের ১৩৭ বছর পার হয়েছে, অথচ আজও আমাদের দেশের শ্রমিকদের জীবনে তার সুফল আসেনি। আজও দৈনিক ৮ ঘণ্টা কাজ, ন্যায্য মজুরি ও অন্যান্য ন্যায়সঙ্গত অধিকার থেকে শ্রমিকরা বঞ্চিত। আজও তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার, ট্রেড ইউনিয়ন অধিকার নেই। কর্মস্থলে পেশাগত স্বাস্থ্য নিরাপত্তা নেই। এমনকি বকেয়া মজুরি চাইতে গিয়ে জীবন দিতে হচ্ছে।
তারা বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ভুলুণ্ঠিত করে একদিকে শোষন- নির্যাতন, লুটপাট এবং সস্তা শ্রমের উপর দাড়িয়ে এক নব্য লুটেরা ধনিক শ্রেণি গড়ে উঠেছে, অপরদিকে শ্রমজীবী মেহনতি মানুষের খেয়ে পরে বেঁচে থাকা দুষ্কর হয়ে পড়েছে । এই মহান মে দিবসের সমাবেশ থেকে আমরা দাবি করছি, দেশের সকল শ্রমিকদের জন্য জাতীয় ন্যূনতম মজুরি ২০ হাজার টাকা ঘোষনা করতে হবে। গার্মেন্ট শ্রমিকদের জন্য ন্যূনতম মজুরি ২৫ টাকা ঘোষণা করতে হবে। আইএলও কনভেনশন ৮৭ ও ৯৮ মোতাবেক অবাধ ট্রেড ইউনিয়ন অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। আইএলও কনভেনশন অনুসারে শ্রম আইন ও শ্রম বিধিমালা সংশোধন করতে হবে। গণতান্ত্রিক শ্রম আইন প্রণয়ন করতে হবে। শ্রমিকদের জন্য বাসস্থান ও রেশনিং এর ব্যবস্থা করতে হবে।