ত্বকী হত্যার দশ বছর পেরিয়ে গেলেও ঘাতক বিচারের আওতায় আসে না
সন্ত্রাস নির্মূল ত্বকী মঞ্চের আহবায়ক রফিউর রাব্বি বলেছেন, সংবিধান ‘রাষ্ট্রের চোখে সকল নাগরিক সমান’ বললেও সরকারের চোখে তা নয়। সরকার সংবিধানের অনেক কিছুকেই তোয়াক্কা করে না। ভোটের বিষয়ে সরকার সংবিধানের দোহাই দিলেও প্রতিনিয়ত তারা সংবিধান লঙ্ঘন করে চলেছে। মানুষের ভোট ও গণতন্ত্রসহ বহু সাংবিধানিক অধিকারকে ভূলুন্ঠিত করেছে। আর তাই ত্বকী হত্যার দশ বছর পেরিয়ে গেলেও ঘাতক বিচারের আওতায় আসে না। তৈরী করে রাখা অভিযোগপত্রটি পর্যন্ত আদালতে পেশ করা হয় না।
তানভীর মুহাম্মতদ ত্বকী হত্যার ১২২ মাস উপলক্ষে সোমবার (৮ মে) সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোটের উদ্যোগে আলী আহাম্মদ চুনকা নগর মিলনায়তন প্রাঙ্গণে আলোক প্রজ্বলন কর্মসূচিতে তিনি এসব কথা বলেন।
রফিউর রাব্বি সরকারের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা দ্ব্যার্থহীন ভাবে বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল হবে না- আমরাও দ্ব্যার্থহীন ভাবে বলেতে চাই এ আইন বাতিল হবে, বাতিল হবে, বাতিল হবে। আর এ আইন বহাল থাকলে আমাদের এ কারাগারগুলো আগামীতে আপনাদের দ্বারাই পূর্ণ হবে। আপনাদের প্রত্যেককে অবশ্যই বিচারের আওতায় আসে হবে।
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর ইন্ডেমনিটি করে বিচার বন্ধ করা হয়েছিল। আমরা তার প্রতিবাদ করেছি। বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার চেয়েছি। কিন্তু আপনারা ক্ষমতায় এসে অঘোষিত ইন্ডেমনিটির মাধ্যমে ত্বকী হত্যার বিচার বন্ধ করে রেখেছেন। ত্বকীর ঘাতকদের পক্ষ নিয়েছেন, তাদের পুরস্কৃত করেছেন। আমরা এ বৈষম্যমূলক, গণবিরোধী বিচার-ব্যবস্থার পরিবর্তন চাই। সংবিধানে উল্লেখিত জনগণের অধিকারগুলোর বাস্তবায়ন চাই। সাগর-রুনী, তনু সহ, নারায়ণগঞ্জে সংঘটিত সকল হত্যা ও গুম খুনের বিচার চাই।
সন্ত্রাস নির্মূল ত্বকী মঞ্চের সদস্য সচিব হালিম আজাদ বলেন, তদন্ত সংস্থা র্যাব বলেছে আজমেরী ওসমানের টর্চার সেলে ১১ জন মিলে ত্বকীকে হত্যা করেছে। অথচ আজমেরী ওসমানকে গ্রেপ্তার করা হয় নাই। আমরা দ্রুত আজমেরী ওসমানের গ্রেপ্তার চাই। এবং এ হত্যার নির্দেশদাতা শামীম ওসমানের গ্রেপ্তার চাই।
সন্ত্রাস নির্মূল ত্বকী মঞ্চের যুগ্ম আহবায়ক মাহাবুবুর রহমান মাসুম শামীম ওসমানের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা বলেন নারায়ণগঞ্জের সবাই ওসমান পরিবার। নারায়ণগঞ্জের মানুষ কখনো ঘাতকদের পক্ষে নয়। তিনি ত্বকী সহ সকর হত্যার বিচার দাবি করেন।