এরদোয়ানকেই সমর্থন দিলেন সিনান
প্রথমে দোনোমনা করলেও শেষ পর্যন্ত বর্তমান প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ানকেই সমর্থন দিচ্ছেন এটিএ অ্যালাইন্সের নেতা সিনান ওগান। এতে করে তুরস্কের প্রেসিডেন্টের মসনদে ফের জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টির (একে পার্টি) শক্তিমান নেতা এরদোয়ানকেই দেখা যেতে পারে।
এর আগে গত ১৪ মে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তৃতীয় অবস্থানে ছিলেন সিনান ওগান।
সোমবার (২২ মে) আঙ্কারায় এক সংবাদ সম্মেলনে রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ানকে সমর্থনের ঘোষণা দেন সিনান। তিনি বলেন, আমি ঘোষণা করছি, আমরা প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দ্বিতীয় দফায় রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ানকেই সমর্থন করবো।
আনাদোলু এজেন্সি জানিয়েছে, আগামী রোববার (২৮ মে) রান অফে প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানকেই সমর্থনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিনান ওগান। তিনি সাংবাদিকদের বলেছেন, শেষ সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে আমরা সব ধরনের পরামর্শ নিয়েছিলাম। আমরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি কারণ, আমরা বিশ্বাস করি আমাদের দেশ ও জাতির জন্য এটি সঠিক।
এর আগে এদিকে, বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া এ সাক্ষাৎকারে সিনান ওগান বলেছিলেন, ২৮ তারিখ দ্বিতীয় দফা ভোটের আগে তিনি কাকে সমর্থন দেবেন সে ব্যাপারে চিন্তা করবেন। কিন্তু তার আগে তিনি তার ভোটার বেসের সঙ্গে পরামর্শ করবেন।
তিনি বলেছিলেন, আমরা ইতোমধ্যেই স্পষ্ট করে দিয়েছি, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই ও শরণার্থীদের ফেরত পাঠানোই আমাদের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত (রেড লাইন)। আমার লক্ষ্য ছিল তুরস্কের রাজনৈতিক সমীকরণ থেকে দুটি প্রধানত কুর্দি দলকে সরিয়ে দেওয়া ও তুর্কি জাতীয়তাবাদী এবং ধর্মনিরপেক্ষতাবাদীদের শক্তিশালী করা।
এ থেকে ধারণা করা যাচ্ছিল সিনান হয়ত কামাল কিলিচদারোগলু সমর্থন দেবেন। যদি তা হতো এবং রান অফে এরদোয়ান ভোট কম অর্জন করতেন, ২০ বছরের ক্ষমতা হারাতেন।
২৮ মে রান অফে এরদোয়ান মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন তার প্রধান বিরোধী রিপাবলিকান পিপলস পার্টির (সিএইচপি) নেতা ও ছয় দলের বিরোধী দল নেশন অ্যালায়েন্সের প্রার্থী কামাল কিলিচদারোগলু।
গত ১৫ মে ভোটের ফল পেয়ে তিনি টুইটারে একটি পোস্ট করেছিলেন। জনগণের উদ্দেশ্যে কিলিচদারোগলু লিখেছিলেন, আপনারা নিরাশ হবেন না। আমি আরও শক্ত হয়ে দাঁড়াবো। শেষ পর্যন্ত লড়বো। যা কিছু ঘটেছে সে ব্যাপারে নিজের স্পষ্ট অবস্থান ব্যাখ্যা করব। এরপর আমরা একসাথে দাঁড়াবো, এ নির্বাচন একসঙ্গে জয় করবো। তবে সব কিছু শেষে আমাদের জাতি যে সিদ্ধান্ত নেবে, তা-ই হবে।
এর আগে তিনি সাংবাদিকদের বলেছিলেন, যদি আমাদের দেশ দ্বিতীয় দফা নির্বাচনের কথা বলে, আমরা অবশ্যই দ্বিতীয় দফায় জিতব।
এদিকে, সোমবার সিনানের সিদ্ধান্ত ঘোষণার পর কামাল কিলিচদারোগলুর কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। এরদোয়ানের কার্যালয় থেকেও কোনো বিবৃতি আসেনি।
আগের পর্বের ভোটে এরদোয়ান ৪৯ দশমিক ৫২ শতাংশ ভোট পেয়েছিলেন। কিলিচদারোগলু ৪৪ দশমিক ৮৮ ও সিনান পেয়েছিলেন ৫ দশমিক ১৭ শতাংশ ভোট।