রাজকে ডিভোর্সের চিঠি পরীমণির
শেষ পর্যন্ত বিবাহ বিচ্ছেদ হচ্ছে পরীমণি এবং শরীফুল রাজের। এই জন্য রাজকে নোটিশ পাঠিয়েছেন পরীমণি। জানা গিয়েছে গত ১৮ তারিখেই শরীফুল রাজকে ডিভোর্স লেটার পাঠিয়েছেন পরীমণি। এই নিয়ে অবশ্য এখনও পরিষ্কার করে কিছু জানাননি রাজ এবং পরী। তবে, পারিবারিক সূত্রে খবর, বিবাহ বিচ্ছেদ করার জন্য রাজকে একটি নোটিশ পাঠিয়েছেন পরীমণি।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালে গিয়াসউদ্দিন সেলিমের ‘গুণিন’ সিনেমার শুটিং করতে গিয়ে শরিফুল রাজের সঙ্গে পরিচয় হয় পরীমণির। মাত্র কয়েকদিনের পরিচয় এবং প্রেমের পরে গোপনে বিয়ে করেন তারা। গত বছরে ১০ জানুয়ারি প্রকাশ্যে আসে রাজ এবং পরীর সম্পর্কের খবর। তখনই পরীমণি জানান যে তিনি সন্তানসম্ভবা। গত বছর ২২ জানুয়ারি দুই পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে ১০১ টাকার দেনমোহরে ঘরোয়া আয়োজনে তাঁদের বিবাহ সম্পন্ন হয়।
গত বছর ১০ জন্মগ্রহণ করে রাজ এবং পরীর পুত্র শাহীম মুহাম্মদ রাজ্য। চলতি বছরে রাজ্যের প্রথম জন্মদিন, ঢাকার একটি অভিজাত হোটেলে ধুমধাম করে পালন করেন পরীমণি। রাজকীয় সেই অনুষ্ঠানে দেখা যায়নি রাজকে। প্রসঙ্গত, মে মাসে অভিনেত্রী সুনেরাহ বিনতে কামালের সঙ্গে রাজের কিছু বিশেষ মুহূর্তের ছবি এবং ভিডিও প্রকাশ্যে আসে।
তারপরে জানা যায়, ভালো যাচ্ছে না রাজ-পরীর সংসার জীবন। আলাদাভাবে থাকতে শুরু করেন রাজ ও পরী। দুজনেই জানান যে একসঙ্গে থাকছেন না তারা। রাজ্যের প্রথম জন্মদিন পালনের পরেই একটি অনুষ্ঠানে এক সঙ্গে দেখা যায় রাজ এবং পরীকে। পুত্রকে সঙ্গে নিয়ে কেক কাটেন তাঁরা। তারপরেই রাজ ফিরে যান পরীর কাছে। তার একদিন পরেই ফের আলাদা হন তাঁরা। জানা যায়, সেই সময়ে দুজনের মধ্যে হাতাহাতিও হয়।
একে অপরের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগও আনেন তাঁরা। যদিও পরীমণি দাবি করেন যে তিনি অনেক সমস্যার পরও রাজের সঙ্গে সংসার টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত রাজের কাছ থেকে মুক্তি পান তিনি। স্পষ্ট করেই পরীমণি জানান, সংসারজীবনের অশান্তি এবং ‘ব্লেম গেম’ থেকে পরিত্রাণ চান তিনি। রাজের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক টেনে নিতে চাননা তিনি।
রাজও জানান যে তিনিও ওই সম্পর্ক থেকে মুক্তি পেতে চান। তারপরেও এক সঙ্গে দেখা গিয়েছিল তাদের। কিন্তু এবার পাকাপাকি এবং আইনিপথেই বিচ্ছেদের পথে হাঁটছেন দুজনেই।