সিদ্ধিরগঞ্জে গৃহবধুকে সাড়ে ৪ ঘন্টা আটক রেখে গণধর্ষণ, গ্রেপ্তার ২
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে এক গৃহবধু গণধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগে পাওয়ায় গেছে। রোববার (১০ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টায় কদমতলী পশ্চিমপাড়া খালপাড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভূক্তভোগী গৃহবধু নিজে বাদী হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার চারজনকে আসামী করে একটি মামলা করেছেন। পরে পুলিশ ঘটনায় জড়িত দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় সদ্য যোগদান করা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবু বক্কর সিদ্দিক। তিনি লাইভ নারায়ণগঞ্জকে জানান, ভূক্তভোগী মামলা দায়েরের পর তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের সাহায্যে জড়িত দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অপর আসামীদের গ্রেপ্তারে আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে।
গ্রেপ্তাররা হলেন, সিদ্ধিরগঞ্জের কদমতলী কালপাড় এলাকার মৃত নবী হোসেনের ছেলে মো. নাবিল হোসেন পলাশ (৩৫) ও মুন্সিগঞ্জ লৌহজং উপজেলার পয়সা গ্রামের মৃত আওলাদ হোসেনের ছেলে মো. হৃদয় হোসেন রুবেল (২৯)।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিদ্ধিরগঞ্জ পুলিশের পুলিশ পরিদর্শক মো. মোজাম্মেল হক বলেন, নির্যাতনের শিকার গৃহবধূ (২৫) ভাড়াটিয়া বাসার সন্ধান বের হয়েছিলেন। এ সময় বখাটে যুবকরা তাকে ভাড়া ঘর দেখানোর নাম করে একটি বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে একটি কক্ষে গৃহবধুকে ঢুকিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং পলাতক আরও দুইজনকে গ্রেপ্তারের অভিযান অব্যাহত আছে।
পলাতক ব্যক্তিরা হলেন, সিদ্ধিরগঞ্জ কদমতলী গ্যাসলাইন এলাকার মো. রাকিব হোসাইন (৩৮) ও কদমতলী খালপাড় এলাকার মো. টেডি মফিজ এর ছেলে মো. মহাসিন (২৮)।
মামলার এজাহার ঘেটে দেখা যায়, সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার নারী আদমজী ইপিজেড এর একটি পোশাক কারখানায় কর্মরত ছিলেন। রোববার দুপুর ১২টার দিকে একটি নতুন ভাড়া বাসার সন্ধানে বের হন তিনি। পরে পূর্বপরিচিত রাকিব হোসাইন নামে ব্যক্তির সাথে যোগাযোগ হয় তার। এ সময় রাকিব গৃহবধূকে জানায় তার কাছে পরিচিত বাসা আছে, তবে সেখানে সরেজমিনে গিয়ে দেখতে হবে এই বলে গৃহবধুকে কদমতলী পশ্চিমপাড়া খালপাড় এলাকার একটি বাসায় নিয়ে সে। একটি রুমে প্রবেশ করতেই গৃহবধুকেসহ রাকিব ও তার আরও তিন সহযোগী ভিতর থেকে দরজা বন্ধ করে দেয়। হত্যার হুমকি দিয়ে দুপুর ১২টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টার পর্যন্ত ৪ জন মিলে গৃহবধুকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এ সময় সম্ভ্রম রক্ষায় ৪জনের হাত-পায়ে ধরে আকুতি মিনতি করেও শেষ রক্ষায়নি তার।