ভর্তি বা পূনঃভর্তি নামে শিক্ষার্থীদের কেন ফি দিতে হবে?
সম্পাদকীয় মতামতঃ
একজন শিক্ষার্থীকে বার্ষিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে অন্য শ্রেণিতে ভর্তি বা পূনঃভর্তির নামে কেন ফি দিতে হবে?
একশ্রেণিতে সারা বছর পড়ার পর বার্ষিক পরীক্ষায় উক্তীর্ণ হওয়া শিক্ষার্থী থেকে পুনঃভর্তির নামে ফি কেন নিতে হবে! দূরমূল্যের এই বাজারে বর্তমান সময়ে একজন সন্তানকে লেখাপড়া করাতে একজন অভিভাবকে যথেষ্ট হিমশিম খেতে হচ্ছে। দৈনন্দিন জীবনের চাহিদা মিটিয়ে সন্তানের লেখাপড়ার খরচ যোগানো একজন ব্যক্তির জন্য সত্যিই কষ্টসাধ্য। প্রতিমাসের স্কুলের বেতন, খাতা কলম, টিউশন ইত্যাদির পেছনে ব্যয় করতে করতে অভিভাবকগণ এর কষ্টের সীমা নেই।
ডিসেম্বর আসলেই মধ্যবিত্ত পরিবারকে পড়তে হয় বড় ধরনের বিপাকে। স্কুলের বকেয়া বেতন পরিশোধ, পরীক্ষার ফি, নতুন জামা-কাপড়, জুতো, বই, গাইড, খাতা এসব কিনতে হয় চড়াদামে। এর মধ্যে আবার ভাবতে হয় স্কুলের পুনঃভর্তি ফি নিয়ে। যার পরিমাণ স্কুল ভেদে ৩ থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।
প্রশ্নহচ্ছে, একই স্কুলে পড়ে বার্ষিক পরীক্ষায় উক্তীর্ণ হয়ে পরের শ্রেণিতে আবার নতুন করে ভর্তি হতে হবে কেন? শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এ রকম ব্যবসায়িক মন মানসিকতা ছেড়ে শিক্ষাকে সেবার পর্যায়ে বিবেচনায় রাখাটা প্রয়োজন।
আশাকরি, এ ব্যাপারে সরকারের কঠোর বিধিনিষেধ মানতে বাধ্য হবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি। একই স্কুলে এক শ্রেণি থেকে অন্য শ্রেণিতে উক্তীর্ণ হওয়া শিক্ষার্থী থেকে পুনঃভর্তির নামে ফি আদায়, পুরোটা অযৌক্তিক বলে মনে করি।
জাহিদুল আলম আল-জাহিদ
সম্পাদক ও প্রকাশক
দৈনিক ন্যায়ের আলো