মিলে যাচ্ছে মহানবীর (স) কথা! সৌদিতে বৃষ্টি, সবুজ হচ্ছে মরুভূমি

সবুজে ছেয়ে যাচ্ছে আরবের ভূমি। শুধু তাই না, কিছুদিন আগেও তুষারপাত হলো সৌদি আরবের রাজধানীতে। ১৪০০ বছর আগে এমন ভিবিষ্যতবাণী করেছিলেন মহানবী (স)। তবে কি কাছাকাছি চলে এসেছে পৃথিবীর শেষ সময়?

সাম্প্রতিক বছরগুলিতে, আরবের শুষ্ক মরুভূমির বিস্তীর্ণ অংশ সবুজ হতে শুরু করেছে। বিভিন্ন নতুন প্রযুক্তির পেছনে কোটি কোটি ডলার খরচ করছে এ অঞ্চলের সরকার প্রধানরা। বিভিন্ন সরকারী-বেসরকারী উদ্যোগে শুরু হয়েছে এই সবুজ বিপ্লব। শুধু তাই না দুবাইয়ে শুরু হয়েছে কৃত্রিম মেঘ দিয়ে বৃষ্টিপাতও। অর্থাৎ, প্রচুর টাকা খরচ করে বদলে ফেলা হচ্ছে এই আরবীয় উপদ্বীপের চেহারা।

আজ থেকে প্রায় ১৪০০ বছর আগে মহানবী (স) এমনই এক ভিবিষ্যতবাণী করেছেন। তিনি বলেন, “ততক্ষণ পর্যন্ত কেয়ামত সংগঠিত হবে না, যতক্ষন না সম্পদের প্রাচুর্য এত বেশি হবে যে কেউ যাকাদ দিতে চাইবে কিন্তু তা গ্রহণ করার মতো কাউকে খুঁজে পাওয়া যাবে না। আর আরব অঞ্চল ভরে উঠবে সবুজ অরন্যে ও নদীতে।” [সহীহ মুসলিম]

হাদিসটিতে উল্লেখযোগ্য বিষয় হচ্ছে মহানবী (স) শুরুতে সম্পদের প্রাচুর্যের কথা বলেন। এত বেশি সম্পদ ও অর্থ আসবে মানুষের কাছে যে যাকাত দেয়ার মত লোকও খুঁজে পাওয়া যাবে না। এর পরেই তিনি বলেন আরব অঞ্চলের সবুজে ছেয়ে যাওয়ার কথা। বর্তমান পরিস্থিতির দিকে তাকালে দেখা যায় আরব আওঞ্চল সবুজে ছেয়ে গেছে এবং এর পেছনে কারণ হচ্ছে সম্পদ।

মহানবী (স) এর আরও একটি বিখ্যাত হাদিস রয়েছে তিনি বলেন, “কেয়ামতের আগে তোমরা দেখবে খালি পায়ের বেদুঈনরা একে অন্যের সাথে উঁচু দালান নির্মাণে প্রতিযোগিতা করবে।” [সহীহ মুসলিম] এই হাদিসটি থেকেও একটা বিষয় বোঝা যায় যে, একসময় যে আরবরা একেবারে বেদুঈন জীবন যাপন করতো, অর্থের অভাবে একেবারে নিঃস্ব ছিলো, তারা এখন একে অপরের সাথে প্রতিযোগিতায় নেমেছে কে কত বড় দালান তৈরি করতে পারে। অর্থাৎ, গত শতাব্দির শুরুতেও যারা অন্য রাষ্ট্রের অনুদানের দিকে চেয়ে থাকতো তাদের এখন এতই সম্পদ যে তারা বড় বড় স্থাপনা তৈরি করছে, বিভিন্ন গবেষণায় বিনিয়োগ করছে। এমনকি এই সম্পদের জেরে তারা তাদের জলবায়ু প্যাটার্নও পরিবর্তন করে ফেলছে।

দুবাইয়ে সম্প্রতি কৃত্রিম মেঘ দিয়ে ঘটানো হয়েছে বৃষ্টিপাত। ড্রোনের সাহায্যে আকাশে কৃত্রিম মেঘ পাঠিয়ে যেখানে ইচ্ছা সেখানে বৃষ্টিপাত করাতে পারছে তারা। আর এর ফলে খুব দ্রুতই বদলে যাচ্ছে আরব্য অঞ্চলের চেহারা। একসময় যেখানে উত্তপ্ত বালু ছাড়া কিছুই ছিলো না এখন বৃষ্টিপাত, শিলা বৃষ্টি এমনকি তুষারপাতও অনেকটা নিয়মিত ঘটনা। তবে কি আরবের এসব পরিবর্তন পৃথিবী ধ্বংস বা কেয়ামতের ইঙ্গিত দিচ্ছে?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button