সুইচ টিপে দেশ পরিবর্তন অসম্ভব- নতুন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী স্টারমার
ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হলেন লেবার পার্টির নেতা কিয়ার স্টারমার। জাতীয় নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় পাওয়ায় তাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেন রাজা তৃতীয় চার্লস। প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেয়ার পরই মন্ত্রিসভা গঠনে কাজ শুরু করেন স্টারমার।
ভূমিধস জয় পেলো লেবার পার্টি। ১৪ বছরের খরা কাটিয়ে দলটি থেকে যুক্তরাজ্য পেলো নতুন প্রধানমন্ত্রী। শুক্রবার বাকিংহাম প্রাসাদে কিয়ার স্টারমারকে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেন রাজা তৃতীয় চার্লস। সেখানে রাজা চার্লস স্টারমারের সঙ্গে করমর্দন করেন। এর আগে রাজা চার্লস প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে কনজারভেটিভ পার্টির নেতা ঋষি সুনাকের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেন।
এদিকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পেয়েই স্টারমার জনগণ সুচিন্তিত সিদ্ধান্তের প্রশংসা করেন। তারা যুক্তরাজ্যের পরিবর্তন এবং সেবামূলক রাজনীতির জন্য ভোট দিয়েছেন বলে মন্তব্য করেন তিনি। এছাড়া কিয়ার বলেন, কোনো দেশকে পরিবর্তন করা সুইচ টেপার মতো বিষয় নয়। এর জন্য সময় প্রয়োজন। তবে পরিবর্তনের জন্য অবিলম্বে কাজ শুরু করা হবে।
নতুন প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি আনন্দিত। আপনারা এই বিজয়ের জন্য প্রচারণা চালিয়েছেন, লড়াই করেছেন, ভোট দিয়েছেন এবং এখন সেটি আমাদের হাতে এসেছে। এখান থেকেই পরিবর্তনের সূচনা হলো। মনে রাখবেন, কোনো দেশকে পরিবর্তন করা সুইচ টেপার মতো বিষয় নয়। সময় নিয়ে আমি দেশকে নতুন করে সাজাতে চাই।
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগে স্টারমারকে পাড়ি দিতে হয়েছে দীর্ঘ পথ। ১৯৬২ সালে লন্ডনে জন্ম নেন কিয়ার। বেড়ে ওঠেন দক্ষিণ-পূর্ব ইংল্যান্ডের সারেতে। শ্রমজীবী শ্রেণির সঙ্গে তার জীবনের যোগের কথা প্রায়শই বলতে শোনা যায় স্টারমারকে। তার বাবা একটা কারখানার সরঞ্জাম প্রস্তুতকারক হিসেবে কাজ করতেন এবং মা ছিলেন নার্স।
১৬ বছর বয়সে লেবার পার্টির স্থানীয় যুব শাখায় যোগ দেন কিয়ার স্টারমার। কিছু সময়ের জন্য উগ্র বামপন্থি একটি পত্রিকার সম্পাদনাও করেছিলেন। ২০০৮ সালে কিয়ার পাবলিক প্রসিকিউশনের ডিরেক্টর ও ক্রাউন প্রসিকিউশন সার্ভিসের প্রধান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০১৩ সাল পর্যন্ত তিনি চাকরি করেন। ২০১৪ সালে তাকে নাইট উপাধি দেয়া হয়েছিল। তিনি প্রথমবার সংসদে যান ২০১৫ সালে। ২০১৯ সালের সাধারণ নির্বাচনের পর লেবার পার্টির নেতা হওয়ার সুযোগ পান স্যার কিয়ার স্টারমার।