সিদ্ধিরগঞ্জে ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় কিশোর গ্যাংয়ের হামলা
সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধিঃ বোনকে ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় ভাই ও ভাইয়ের বন্ধুদের উপর হামলা কিশোর গ্যাংয়ের উশৃঙ্খল সদস্যরা। ঘটনাটি ঘটেছে সিদ্ধিরগঞ্জের কদমতলী কলেজ গেইট এলাকায় রোববার (২২ জানুয়ারি) দুপুরে।
এ ঘটনায় বিকেলে থানায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে ভুক্তভোগীরা।অভিযুক্তরা হলো- কদমতলী এলাকার বাগু মোল্লার ছেলে আল-আমিন ওইব্রাহিম, মৃত মাজুর ছেলে শাহ-আলম, বাবুলের ছেলে রাহাত, নাদিমের ভাইসোহেল, বাচ্চু মিয়ার ছেলে সাকিব এবং জলিলের ছেলে সোহাগ। অভিযোগে অজ্ঞাত আরো ১০/১২ জনকে অভিযুক্ত করা হয়।
জানা যায়, সিদ্ধিরগঞ্জের সিআই খোলা এলাকার ইসমাইল তার বোনকে ভর্তি করানোর জন্য আদমজীনগর এম.ডব্লিউ কলেজে নিয়ে গেলে কলেজের গেইটের সামনে অভিযুক্তরা ইসমাইলের বোনকে নানা বাজে মন্তব্য করে। এক পর্যায়ে তার মাথার চুল ধরে টান দেয়। এর প্রতিবাদ করলে অভিযুক্তরা ইসমাইলকে মারধর করে। পরে ইসমাইলের বন্ধু ও পরিচিতরা এগিয়ে আসলে কিশোর গ্যাংয়ের ২০/২২ জনের একটি বাহিনী এসে তাদের সকলকে মারধর করে।
শামীম নামে ঐ এলাকার প্রত্যক্ষদর্শী জানান, কলেজে আসা এক মেয়েকে উত্তক্ত করায় মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এসময় কদমতলী এলাকার ইন্টারনেট ব্যবসায়ী মো. নুরুল ইসলামের স্ত্রীকেও মারধর করে কিশোর গ্যাংটির সদস্যরা। পরে নুরুল ইসলাম বাদি হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, অভিযুক্তরা একই এলাকার মৃত আব্দুল করিমের ছেলে মাজহারুল ইসলাম সোহেলের কিশোর গ্যাং বাহিনীর সদস্য।সোহেল ঐ এলাকায় ইন্টারনেট ও ডিশ ব্যবসার ছত্রছায়ায় কিশোর গ্যাং বাহিনীর শেল্টার দেয়। তার নির্দেশে এবং শেল্টারে এই বাহিনী নানা সময় এলাকায় নানা ধরনের অপকর্ম ও বিশৃঙ্খল ঘটনার সৃষ্টি করে। এ বাহিনীর প্রধান সোহলের বিরুদ্ধে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।
এসব মামলায় সোহেল সহ তার বাহিনীর একাধিক সদস্য পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়ে জেল খেটেছে।
এ ঘটনায় অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. হুমায়ুন কবির। তিনি জানান, অভিযোগ পেয়েঘটনাস্থলে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। ঐ এলাকার আল-আমিন এবং নুরুনামে দুই ডিশ ও ইন্টারনেট ব্যবসায়ী গ্রæপের মধ্যে মারামারি হয়েছে।তবে এখানে ইভটিজিংয়ের কোন ঘটনা ঘটেনি।