মেঘনায় জাহাজে সন্ত্রাস-চাঁদাবাজি বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন, কর্মবিরতির হুঁশিয়ারী

মেঘনা নদীতে জাহাজে শ্রমিকদের হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার ও বিচারের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ জাহাজী শ্রমিক ফেডারেশন এবং নৌ-যান শ্রমিক ও কর্মচারী ইউনিয়ন এর নেতাকর্মীরা। সেই সাথে দাবি আদায় না হলে কর্মবিরতিসহ কঠোর কর্মসূচী পালনের হুশিয়ারী দিয়েছেন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুরে মেঘনা নদীতে বাল্কহেড আটকে চাঁদাবাজি, সন্ত্রাস, ডাকাতি ও শ্রমিক হয়রানি বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শীতলক্ষ্যা নদীর সারুলিয়া ঘাট এলাকায় মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ জাহাজী শ্রমিক ফেডারেশনের আওতাধীন বাংলাদেশ নৌ-যান শ্রমিক ও কর্মচারী ইউনিয়ন সারুলিয়া ঘাট শাখার নেতৃবৃন্দ মানববন্ধনের আয়োজন করেন।

সংগঠনের সারুলিয়া ঘাট শাখার সভাপতি মো. শামীমের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক হুমায়ন কবির পান্না, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ রায়হান, জহির, শাওন, মিজান, সাইফুল, সোহাগ, উপদেষ্টা রুবেল আহমেদ, মিরাজ, তুহিন প্রমুখ। মানববন্ধনে সন্ত্রাসী চাঁদাবাজদের হামলার শিকার শ্রমিকরাও নির্যাতনের চিত্র তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, মেঘনা নদীর নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া, ষাটনল, মোহনপুর, মতলব, কাচিকাটায়, মরিচা লঞ্চঘাট, নরসিংদী, মহিষের চর, আড়াইহাজারসহ বেলতলী, দশানী, নরিয়াসহ বিভিন্ন স্থানে অবৈধ বালু মহল রয়েছে। বিভিন্ন স্থানে অবৈধ বালু মহল এর লোক চলন্ত বাল্কহেডের গতিরোধ করে জোরপূর্বক টোকেনের নামে চাঁদাবাজী সন্ত্রাস শ্রমিক হয়রানিসহ নির্যাতন করছে। চাঁদা না দিলে শ্রমিকদের মারধর করে নগদ টাকা ও মোবাইল লুটে নেয়া হচ্ছে। প্রতিদিনই বাল্কহেড শ্রমিকরা নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। নৌযান শ্রমিকরা অবৈধ বালুমহলের ইজারাদার ও তাদের পালিত সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ ও ডাকাতদের কবল থেকে মুক্তি চায়। এসব সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ ও ডাকাতদের বিরুদ্ধে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে প্রশাসনের উর্ধ্বতনদের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন ভুক্তভোগীরা।

সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক সবুজ শিকদার গণমাধ্যমকে জানান, গতকালও মেঘনা নদীতে বেশ কয়েকটি বাল্কহেডে ও জাহাজে সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে সুকানী গ্রীজারদের মারধর করে নগদ টাকা ও মোবাইল লুটে নিয়েছে। মেঘনা নদীর মাঝেরচর এলাকায় সোমবার দুপুরে আল বাকার নামে একটি জাহাজে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। সেখানে অন্তত ৯ জনকে কুপিয়েছে ডাকাতরা। যার মধ্যে ইতোমধ্যে ৭ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে বলে আমরা জানতে পেরেছি। আমরা এই নৃশংস হত্যাকান্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। অবিলম্বে খুনীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। দ্রুত খুনীদের গ্রেফতার করা না হলে নৌযান শ্রমিকরা কর্মবিরতি পালনসহ কঠোর কর্মসূচী হাতে নিতে বাধ্য হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button