‘তরুণরা আগামীতে আমাদের পথপ্রদর্শন করবে’- ড. মুহাম্মদ ইউনূস

রূপগঞ্জের পূর্বাচলে ২৯তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার উদ্বোধন করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বুধবার (১ জানুয়ারি) সকালে বাংলাদেশ চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে মাসব্যাপী এ মেলার আয়োজন শুরু হয়। এ মেলা সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলবে। সাপ্তাহিক ছুটির দিন খোলা থাকবে রাত ১০টা পর্যন্ত।

এবার বাণিজ্য মেলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগের সম্মানার্থে তৈরি করা হয়েছে জুলাই চত্বর ও ছত্রিশ চত্বর। তরুণ সমাজকে রপ্তানি বাণিজ্যে উদ্বুদ্ধ করতে তৈরি করা হয়েছে ইয়ুথ প্যাভিলিয়ন। সেই সাথে প্রথম ই-টিকেটিংয়ের ব্যবস্থাও করা হয়েছে। মেলায় ক্রেতা-দর্শনার্থীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে বিআরটিসির নির্ধারিত বাসসেবা থাকবে। পাশাপাশি থাকছে বিশেষ ছাড়ে উবার সেবা।

মেলায় বয়সভিত্তিক দর্শনার্থীদের সুবিধায় তৈরি করা হয়েছে প্রযুক্তি কর্নার, জ্যেষ্ঠ নাগরিকদের জন্য সিটিং কর্নার। শিশুদের নির্মল চিত্তবিনোদনের জন্য মেলায় থাকছে শিশুপার্ক। মা ও শিশুদের জন্য মেলায় থাকবে মা ও শিশুকেন্দ্র। দর্শনার্থীদের বিশ্রামের জন্য আরামদায়ক এবং শোভন চেয়ার ও বেঞ্চ রয়েছে। এবছর মেলার বিভিন্ন ক্যাটাগরির ৩৬১টি প্যাভিলিয়ন, স্টল, রেস্টুরেন্ট দেশীয় উৎপাদক-রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহন করেছে। এছাড়া বিদেশি ৭ দেশের ১১ প্রতিষ্ঠান এবারের মেলায় অংশগ্রহণ করেছে। এক্সিবিশন সেন্টারের দক্ষিণ-পূর্ব পাশে জুলাই চত্বর, দক্ষিণ-পশ্চিম পাশে কালচারাল সেন্টার, প্রযুক্তি কর্নার ও বিনোদন কর্নার রয়েছে। সেন্টারের উত্তর-পূর্ব পাশে শিশুপার্ক এবং উত্তর-পশ্চিম পাশে ছত্রিশ চত্বর ও নামাজঘর স্থাপন করা হয়েছে। মেলার সার্বিক নিরাপত্তা এবং দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে মেলা প্রাঙ্গণে পর্যাপ্তসংখ্যক পুলিশ, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন, র‌্যাব, গোয়েন্দা সংস্থাসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য নিয়োজিত থাকবেন। প্রয়োজানুযায়ী সংখ্যক সিসিটিভি স্থাপন করা হয়েছে।

বাণিজ্যমেলা উদ্বোধনের সময়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, উদ্যোক্তা হওয়ার শক্তি মেলার মাধ্যমে এগিয়ে নিতে ভবিষ্যতের মেলা হবে সারাদেশজুড়ে জায়গায় জায়গায় এবং ঢাকায় হবে কেন্দ্রীয়ভাবে চূড়ান্ত মেলা। তরুণদের জন্য আমরা সুযোগ তৈরি করে দেবো। মেলার প্রস্তুতি সারাবছর ধরে চলবে জেলা ও উপজেলায়। সেখান থেকে বাছাই করা হবে চূড়ান্ত পর্যায়ে মেলায় কারা অংশগ্রহণ করবে। ঢাকার মেলায় একজন আর একজনকে দেখে শিখবে, বুঝবে এবং বুদ্ধি নেবে।

তিনি বলেন, তরুণরা আমাদের পথ প্রদর্শক। তারা জাতিকে পথ প্রদর্শন করবে। দুনিয়াকে পথ প্রদর্শন করবে। একটা সময় আসবে আন্তর্জাতিক তরুণরা বাংলাদেশে তরুণরা কী করছে তা দেখতে আসবে। বাংলাদেশের তরুণদের কাছ থেকে বুদ্ধি নিতে আসবে। জয়েন্টবেঞ্চারে করতে আসবে। ভবিষ্যতে বাণিজ্যমেলায় তরুণদের জন্য একটা পৃথক অংশ থাকবে। এখানে ২৫ বছরের কম বয়সী উদ্যোক্তা যারা আসবে, তারা কে কি করে দেখতে পারবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button