নির্বাহী আদেশে আবারো বাড়লো বিদুতের দাম
তামাশার এই সিদ্ধান্তে বাড়বে আওয়ামী সরকার বিরোধী ক্ষোভ
পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে আবারো বাড়লো বিদুতের দাম। নির্বাহী আদেশে দাম বেড়েছে। যা আগামী ১ ফেব্রুয়ারি থেকে কার্যকর হবে।
মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের বিদ্যুৎ বিভাগ থেকে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে উপসচিব এস এম মাজাহারুল ইসলাম স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সরকারের নির্বাহী আদেশে বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়েছে।
খুচরা পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বেড়েছে ৫ শতাংশ, পাইকারি পর্যায়ে বেড়েছে ৮ দশমিক ০৬ শতাংশ। এই নিয়ে দ্বিতীয় বারের মতো নির্বাহী আদেশে বিদ্যুতের দাম নির্ধারণ করল সরকার। এর আগে গত ১২ জানুয়ারি শিল্প প্রতিষ্ঠানের জন্য বিদ্যুতের দাম বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ভর্তুকি সমন্বয়ে বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়েছে। নতুন নির্ধারিত দাম অনুযায়ী শূন্য থেকে ৫০ ইউনিট ব্যবহারকারী লাইফলাইন গ্রাহকদের বিদ্যুতের দাম প্রতি ইউনিট ৩ টাকা ৯৪ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৪ টাকা ১৪ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে।
শূন্য থেকে ৭৫ ইউনিট ব্যবহারকারীদের বিদ্যুতের দাম ৪ টাকা ৪০ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৪ টাকা ৬২ পয়সা করা হয়েছে। আর ৭৬ থেকে ২০০ ইউনিট ব্যবহারকারীদের ৬ টাকা ১ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৬ টাকা ৩১ পয়সা করা হয়েছে।
একই সঙ্গে ২০১ থেকে ৩০০ ইউনিট ব্যবহারকারীদের ৬ টাকা ৩০ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৬ টাকা ৬২ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর ৩০১ থেকে ৪০০ ইউনিট ব্যবহারকারীদের ৬ টাকা ৬৬ পয়সা থেকে ৬ টাকা ৯৯ পয়সা করা হয়েছে, ৪০১ থেকে ৬০০ ইউনিটের জন্য ১০ টাকা ৪৫ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ১২ টাকা ৩ পয়সা করা হয়েছে।
নতুন নির্ধারিত এই দাম কার্যকর করা হবে ফেব্রুয়ারি মাস থেকে। এর আগে গত ১২ জানুয়ারি শিল্প প্রতিষ্ঠানে ব্যবহারকারীদের জন্য বিদ্যুতের দাম ৫ শতাংশ বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে জ্বালানি বিভাগ। যা এরই মধ্যে কার্যকর হয়ে গেছে এবং গ্রাহকরা তা ফেব্রুয়ারি মাসে নতুন বিল দেবেন। আর ফেব্রুয়ারি মাসে যে দাম কার্যকর করা হবে তা দিতে হবে মার্চ মাসে।
বিদ্যুৎ বিভাগ বলছে, নতুন করে বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়নি। গত ১২ জানুয়ারি সরকারের নির্বাহী আদেশে বিদ্যুতের যে দাম বাড়ানো হয়েছে, সেই জারি করা প্রজ্ঞাপন সংশোধন করে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।
দেশের পাইকারি বিদ্যুৎ কিনতে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের-পিডিবি ৪০ হাজার কোটি লোকসান হচ্ছে। এরমধ্যে সরকারের ১৭ হাজার কোটি টাকা। বাকি ২৩ হাজার কোটি টাকা থেকে যাচ্ছে ঘাটতি।