যৌথবাহিনীর হেফাজতে যুবদল নেতার মৃত্যু: ছাত্রদলের নিন্দা ও প্রতিবাদ
কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার পাঁচথুবী ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক তৌহিদুল ইসলাম গত বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) গভীর রাতে নিজ বাড়ি থেকে যৌথ বাহিনীর হাতে আটক হন। পরবর্তিতে বাহিনীর হেফাজতে থাকাবস্থায় তার মৃত্যু হয়। নিহত তৌহিদুল ইসলামের শরীরে নির্যাতনের অসংখ্য ক্ষতচিহ্ন রয়েছে। বিষয়টি চিকিৎসক ও তার পরিবারের সদস্যরাও নিশ্চিত করেছেন।
যৌথবাহিনীর হেফাজতে যুবদল নেতা তৌহিদুল ইসলামের মৃত্যুর ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির।
নেতৃদ্বয় বলেন, হত্যাকারীদের অবিলম্বে চাকরি থেকে অব্যাহতি এবং গ্রেফতারপূর্বক আইনের আওতায় আনতে হবে। কোনো খুনি রাষ্ট্রীয় বাহিনীর সদস্য হিসেবে থাকতে পারে না।
তারা আরও বলেন, ফ্যাসিস্ট খুনি হাসিনার আমলে অসংখ্য বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদলের নেতাকর্মীসহ বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হেফাজতে থাকা অবস্থায় নিষ্ঠুর নির্যাতনের শিকার হয়ে মর্মান্তিকভাবে মৃত্যুবরণ করেছে। ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে ফ্যাসিস্টের পতনের পরেও বিএনপি, ছাত্রদল, যুবদলের নেতাকর্মীদের ওপর বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড চলমান রয়েছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বিএনপির নেতাকর্মীদের মৌলিক মানবাধিকারের সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। সরকারকে অতি দ্রুত জনগণ এবং গণতন্ত্রকামী সকল রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
নিহত তৌহিদুল ইসলামের হত্যাকাণ্ডের যথাযথ বিচার এবং তার চার কন্যা সন্তানের আর্থিক নিরাপত্তাসহ সকল ধরনের সুরক্ষার দায়িত্বও রাষ্ট্রকে বহন করতে হবে।