বাংলাদেশ

সেপ্টেম্বর থেকে জরায়ু ক্যান্সার রোধে টিকা দেওয়া হবে

জরায়ুমুখের ক্যান্সার প্রতিরোধে ১০ থেকে ১৫ বছর বয়সী মেয়েদের আগামী সেপ্টেম্বর মাস থেকে হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস (এইচপিভি) প্রতিরোধী টিকা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক।
আজ সোমবার দুপুরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে স্বাস্থ্যসেবা সংক্রান্ত সমসাময়িক বিষয় নিয়ে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।

জাহিদ মালেক বলেন, ‘নারীদের জরায়ুমুখের ক্যান্সার বাড়ছে। তাই স্ক্রিনিং বাড়ানোর জন্য পরিকল্পনা রয়েছে। আমাদের দেশের নারীদের হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস (এইচপিভি) প্রতিরোধ করার লক্ষ্যে আগামী সেপ্টেম্বর মাস থেকে টিকা দেওয়ার কথা ভাবছি।’

তিনি বলেন, ‘এটি সরকারি কার্যক্রম। রুটিন অনুযায়ী যে টিকা দেওয়া হয় এটাও সেভাবে দেওয়া হবে। ১০ থেকে ১৫ বছর বয়সীদের দিলে সেটি কার্যকর হবে। এটি খুবই দামি টিকা হলেও বিনামূল্যে দেওয়া হবে।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এই টিকা একটি করে ডোজ দেওয়া হবে। এই টিকা একবার নিলে তারা আজীবন এই রোগ থেকে মুক্ত থাকতে পারবেন। তবে বেশি বয়স হলে এই টিকার কার্যকারিতা কমে যায়। ব্রেস্ট ক্যান্সারেও অনেকে আক্রান্ত হচ্ছে। সেটি যাতে দ্রুত শনাক্ত করা যায়, সেজন্য যন্ত্রগুলো উপজেলা পর্যায়ে নেওয়ার চেষ্টা  করব।

স্বাস্থ্য সুরক্ষা কর্মসূচি ছয় জেলায় বিস্তৃত করা হয়েছে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ জানান, এতে ১৫ লাখ পরিবার বছরে ৫০ হাজার টাকা মূল্যের স্বাস্থ্যসেবা বিনামূল্যে পাবে। মানিকগঞ্জ, বরিশাল, বরগুনা, লক্ষ্মীপুর, কুড়িগ্রাম, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে এ সেবা পাওয়া যাবে। পর্যায়ক্রমে দেশের সব জেলায় এটি নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা আছে। ইউনিভার্সেল হেলথ কাভারেজের আওতায় এটি করা হচ্ছে।

নিপাহ ভাইরাসের সংক্রমণ পরিস্থিতির বিষয়ে জানতে চাইলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, নিপাহ ভাইরাস এখন নিয়ন্ত্রণে আছে। এখানে নতুন কোনো রোগী আমরা সেভাবে পাচ্ছি না। কোনো মৃত্যু হয়নি।
তিনি বলেন, প্রস্তুতি হিসেবে বক্ষব্যাধি হাসপাতালে একটা ইউনিট করে দেওয়া হয়েছে। আইসিইউ তৈরি করা হয়েছে। এখানে নিপাহ বা এ ধরনের কোনো ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী সঠিক চিকিৎসা পেতে পারে। যাতে সংক্রমণ না ছড়ায়, সে জন্য আমরা এ ইউনিটটি করেছি।

সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব ড. মুঃ আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, অতিরিক্ত সচিব (জনস্বাস্থ্য অনুবিভাগ) সৈয়দ মজিবুল হক, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন অনুবিভাগ) মোঃ সাইদুর রহমান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button