সিলেটকে হারিয়ে ফাইনালে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স

রবিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সিলেট স্ট্রাইকার্সকে হারিয়ে টানা ১০ জয় তুলে নিয়েছে ইমরুল কায়েসের দল। মাশরাফিদের ৪ উইকেট হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে তিনবারের চ্যাম্পিয়নরা। তবে সিলেট হারলেও ফাইনালের জন্য তারা আরও একটি সুযোগ পাচ্ছে। আগামী মঙ্গলবার রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ম্যাচ খেলবে সিলেট স্ট্রাইকার্স। ম্যাচে যারা জিতবে তারা কুমিল্লার বিপক্ষে শিরোপার লড়াইয়ে নামবে।

মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে ১২৬ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে সহজেই জিতেছে কুমিল্লা। সিলেটের বোলাররা খুব বেশি প্রভাব বিস্তার করতে পারেনি কুমিল্লার ব্যাটারদের ওপর। রুবেল দুর্দান্ত বোলিং করে তিন উইকেট নিলেও ২০ বল আগে ৬ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় কুমিল্লা। সুনীল নারিন ১৮ বলে সর্বোচ্চ ৩৯ রানের ইনিংস খেলেন। এছাড়া মোসাদ্দেক ২৭, মঈন আলী ২১ রানের ইনিংস খেলেন।

সিলেটের বোলারদের মধ্যে পেসার রুবেল হোসেন ৩৩ রান খরচায় নেন তিনটি উইকেট। তানজিম হাসান সাকিব ও শফিকুল্লাহ গাফরী নেন একটি করে উইকেট।

এর আগে টসে হেরে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ পায় সিলেট স্ট্রাইকার্স। কিন্তু কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বোলারদের তোপের মুখে পড়ে শুরুতেই লন্ডভন্ড হয়ে যায় সিলেটের টপ অর্ডার। ১৬ রানে তিন উইকেট হারানোর পর ক্রিজে নামেন অধিনায়ক মাশরাফি। চতুর্থ উইকেটে নাজমুল হোসেন শান্তকে সঙ্গে নিয়ে ৩৭ বলে ৫৬ রানের জুটি গড়েন মাশরাফি। ১৭ বলে ২ চার ও ২ ছক্কায় ২৬ রানের ইনিংস খেলে আউট হন সিলেটের অধিনায়ক। মাশরাফি আউট হওয়ার পর পরই বিদায় নেন শান্ত। ২৯ বলে ৪ চার ও ১ ছক্কায় দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৮ রানের ইনিংস খেলেন শান্ত।

এরপর মুশফিক ও রায়ান বার্লের দিকে তাকিয়ে ছিল গোটা দল। কিন্তু প্রথম বলেই বার্ল ক্যাচ তুলে বিদায় নেন। এরপর মুশফিক কিছুক্ষণ চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। মুশফিক ২২ বলে ৪ চারে ২৯ রানের ইনিংস খেলেন। সিলেটের চার ব্যাটার রানের খাতা খুলতেই পারেননি। সব মিলিয়ে ব্যাটারদের ব্যর্থতায় ১৭.১ ওভারে সিলেট ১২৫ রান করতে পারে।

কুমিল্লার বোলারদের মধ্যে তানভীর ইসলাম, আন্দ্রে রাসেল ও মোস্তাফিজুর রহিম দুটি করে উইকেট নিয়েছেন। মঈন আলী, সুনীল নারিন ও মুকিদুল ইসলাম একটি করে উইকেট নেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *