তুরস্ক-সিরিয়া ভূমিকম্পে প্রাণহানী ৩৫ হাজার ছাড়িয়েছে

তুরস্ক এবং সিরিয়ায় ৩৫ হাজারের বেশি মানুষ মারা যাওয়া সোমবার বেঁচে থাকা লোকদের অনুসন্ধান থেকে ভূমিকম্পের কারণে ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় মোকাবেলার দিকে উদ্ধারকারী দলগুলো দৃষ্টি সরিয়ে নিয়েছে।
১২ বছরের গৃহযুদ্ধে জর্জরিত সিরিয়া বিশেষ উদ্বেগের বিষয়। বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলোতে কীভাবে সহায়তা বাড়ানো যায়, তা নিয়ে সোমবার জরুরি বৈঠক করেছে জাতিসংঘ।
বিচ্ছিন্ন এবং পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার অধীন সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ, দেশটিতে অবকাঠামো পুননির্মাণে সহায়তা করার জন্য আন্তর্জাতিক সহায়তার আহ্বান জানিয়েছেন। যেখানে জাতিসংঘ ধারণা করছে ৫০ লাখেরও বেশি গৃহহীন হয়ে পড়েছে।
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, আসাদ তুর্কি থেকে উত্তর-পশ্চিম সিরিয়াপর্যন্ত আরও দুটি সীমান্ত ক্রসিং বাব আল-সালাম এবং আল রাই খুলে দিতে সম্মত হয়েছেন।
গুতেরেস বলেন, এই ক্রসিং পয়েন্টগুলো খুলে দেয়ার পাশাপাশি মানবিক প্রবেশাধিকার সহজতর করা, ভিসা অনুমোদন ত্বরান্বিত করা এবং কেন্দ্রগুলোর মধ্যে ভ্রমণ সহজ করা হলে আরও বেশি সহায়তা দ্রুত প্রবেশ করতে পারবে।
৭.৮ মাত্রার এই ভূমিকম্পের সাত দিন পরও ধ্বংসস্তুপের ভেতর জীবিত মানুষের সন্ধান পাওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে, তবে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে দিয়েছেন যে বেঁচে থাকার আশা ম্লান হয়ে যাচ্ছে।
বার্তা সংস্থা আন্দাদোলু  জানিয়েছে, তুরস্কে একবিংশ শতাব্দীর পঞ্চম ভয়াবহ ভূমিকম্পের ১৮১ ঘণ্টা পর দুই ভাই হারুন (৮) ও ইউফানকে (১৫) উদ্ধার করা হয়েছে।
তুরস্কে ৩১ হাজার ৬৪৩ জন এবং সিরিয়ায় অন্তত ৩ হাজার ৬৮৮ জন মারা গেছেন বলে কর্মকর্তা ও চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *