ডেভিডকে হত্যা করিয়েছে গিয়াস উদ্দিন : শামীম ওসমান

নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের আলোচিত সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান বলেছেন, রোজার পর ঈদে একটু আনন্দ করি। রোজা আর ঈদ যাক। যারা হুমকি দিচ্ছেন যদি খেলতে চান এখানে বসে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ঈদের পর নারায়ণগঞ্জেই থাকবো। কখন খেলবেন, কয়টা বাজে খেলবেন৷ আমরা খেলবো আপনাদের সঙ্গে।

সোমবার (২০ মার্চ) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ সরকারি তোলারাম কলেজের নবীন বরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

শামীম ওসমান বলেন, গিয়াসউদ্দিন সাহেব (বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য) আমার বড় ভাই। আমার মামা শ্বশুর হন সম্পর্কে। তিনি অনেক কিছু করেছেন নারায়ণগঞ্জে। আমাদের দশ বারোজনকে হত্যা করেছেন। আমাদের বিএনপির নেতা তৈমূর ভাইয়ের ছোট ভাই সাব্বিরকে নিষিদ্ধপল্লীর ছেলেদের দিয়ে হত্যা করিয়েছিলেন। তিনি সেই লোক। তিনি মিশনপাড়ার ডেভিডকে হত্যা করিয়েছিলেন তার কন্ট্রোলে ছিল না বলে।

তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জের সাংবাদিক ভাইয়েরা ডেঞ্জারাস। আমি বললাম কী হয়েছে। তারা বলল নারায়ণগঞ্জের একজন বিএনপির নেতা, তিনি গত বারো বছর চুপচাপ ছিলেন তার বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ আছে। তিনি আমার মুরুব্বি, কামেল মানুষ। কিছুদিন আগে তিনি বক্তব্য দিয়েছেন। তিনি আমাকে উদ্দেশ্য করে বলেন আমরা কাউকে ভয় পাই না। আবার বলেন রক্তচক্ষু দেখাবেন না।
শামীম ওসমান বলেন, তিনি (গিয়াস উদ্দিন) বলেন আওয়ামী লীগে ভালো গ্রুপ ও খারাপ গ্রুপ আছে। আওয়ামী লীগের ভালো গ্রুপ নাকি চায় এ সরকার আর যেন ক্ষমতায় না আসে। তিনি ফ্যাসাদ সৃষ্টি করতে চান। যদি তার বিন্দু পরিমাণ ঈমান থাকে তিনি যদি কাপুরুষ না হন, তাহলে তিনি বলবেন আওয়ামী লীগের কোন গ্রুপের সদস্যরা চায় না আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় না আসুক।

তিনি বলেন, দশ বছর মাঠে ছিলেন না। এখন এসে উশৃঙ্খল স্লোগান দিচ্ছেন। তার সঙ্গে সুরে সুর মিলিয়ে অনেকে কথা বলছেন। বলছেন আমার বারোটা বাজিয়ে দেবেন। আপনাদের গোল গোল চোখ দেখলে আমার ভয় হয়।

অনেকের খারাপ লাগে প্রধানমন্ত্রী আমাদের পরিবারের কথা বললে বলেন ওসমানীয় সাম্রাজ্য। আরে ভাই আমরা মানুষের জায়গা দখল করে দেবোত্তর সম্পত্তি দখল করে সাম্রাজ্য করিনি। মানুষের ভালোবাসা দিয়ে করেছি।

এমপি বলেন, আমি নারায়ণগঞ্জকে ফুটফুটে বউয়ের মতো সাজাতে চাই। আমি একা পারবো না। আমি তোমাদের সাহায্য চাই। আমাদের সমাজ ধ্বংস করে দিয়েছে মাদক সন্ত্রাস ভূমিদস্যু। এক তোলারাম কলেজ দিয়ে সামরিক শাসনকে কাঁপিয়ে দিয়েছি। সাতজন মিলে জিয়াউর রহমানের গাড়ি আটকে দিয়েছি। এ অপরাধে আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হয়। আর করবেন না। ছাত্রদের কাছে জিজ্ঞেস করতে চাই যদি কেউ ষড়যন্ত্র করে আমরা কী তাদের বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করবো? এ সময় ছাত্ররা হ্যাঁ বলেন।
সরকারি তোলারাম কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক বিমল চন্দ্র দাসের সভাপতিত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান সালমা ওসমান লিপি, সরকারি তোলারাম কলেজের উপাধ্যক্ষ জীবন কৃষ্ণ মোদক, নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান চন্দনশীল, মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শাহ নিজাম ও সাংগঠনিক সম্পাদক জাকিরুল আলম হেলাল প্রমুখ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button