পাগলা মেরী এন্ডারসন রেস্তোরায় মদ্যপান অবস্থায় শামীম বাহিনীর তান্ডব!

পাগলার ভাসমান রেস্তোরা মেরী এন্ডারসনের বারের  ভিতরে মদ্যপান অবস্থায় মারধর ও ভাংচুরের অভিযোগ উঠছে নামধারী যুবলীগ নেতা ও নানা অপকর্মের মূল হোতা শামীম গংদের বিরুদ্ধে। শনিবার (১৮ মার্চ) রাত সাড়ে ৯ টার সময় ফতুল্লার পাগলা  ভাসমান রেস্তোরা মেরী এন্ডারসন বারের  এ ঘটনা ঘটে।

সূত্রে জানা যায়, নানা অপকর্মের মূল হোতা তক্কার মাঠ এলাকার শামীম ও তার সহযোগী নয়ামাটি এলাকার সাদ্দাম হোসেন তুহিন, পারভেজ, সোহেলসহ অজ্ঞাতনামা কয়েকজন মিলে মেরী এন্ডারসনের বারে  মদ্যপান করে মাতাল অবস্থায় সেখানে থাকা জিনিসপত্র ভাংচুর করে। পরবর্তীতে সেখানে কর্মরতরা  থামানোর চেষ্টা করলে তাদেরকে মারধর করে। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ফতুল্লা মডেল থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে আসে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে শামীম ও তার সহযোগীরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় বলেও জানা যায়।

নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি জানান, প্রায় সময় শামীম ও সাদ্দাম বারে এসে হুমকি ধামকি দিতেন। তারাও নাকি এলাকায় মদ বিক্রি করে। এমন কথাও প্রায় তাদের মুখে শুনা যায়। হঠাৎ শামীম ও তার সহযোগী কয়েকজন বারে মদ খেতে আসলে মদ্যপান অবস্থায় এখানে আসা কাস্টমারদের সাথে খারাপ ব্যবহার করে। এবং এখানে কর্মরত কয়েজ জনকে মারধর করে ভিতরে থাকা চেয়ার টেবিল ও কাচের গ্লাস ভাংচুর করে।

এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, তক্কার মাঠ এলাকার শামীমের বিরুদ্ধে একাধিক মামলাও রয়েছে। সে দীর্ঘদিন স্থানীয় সাংসদের পুত্রের আস্থাভাজন ও  যুবলীগ নেতা জুয়েলের ভাতিজা পরিচয়ে বিভিন্ন অপকর্ম করে যাচ্ছে। তক্কার মাঠ, শিয়াচর এলাকার মানুষ শামীমের অত্যাচারে অতিষ্ঠ।

তার সহযোগীদের মধ্যে নয়ামাটি এলাকার নামধারী যুবলীগ নেতা সাদ্দাম হোসেন তুহিন, পারভেজ ও সোহেল তারাও বিভিন্ন অপকর্মের সাথে জড়িত। তাদের বিরুদ্ধেও রয়েছে একাধিক অপরাধের অভিযোগ। এখন থেকে তাদের এমন অপকর্মের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ না করলে আগামীতে তারা আরো বড় ধরনের অপরাধের জন্ম দিবে বলেও জানা যায়।

এ বিষয়ে মেরী এন্ডারসন বারের ম্যানেজার রাসেল জানান, শামীম ও তার সহযোগী কয়েকজন মদ্যপান অবস্থায় পাশের টেবিলের কয়েক জনের সাথে কথাকাটা-কাটি হয়। পরবর্তীতে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শাহাদাত হোসেন জানান, আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম, মদ্যপান অবস্থায় শামীমের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। আমাদের উপস্থিতি টের পেয়ে শামীম ও তার সহযোগীরা পালিয়ে যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button