মুশফিকের রেকর্ড সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩৪৯ রান

মুশফিকুর রহিমের দ্রুততম সেঞ্চুরিতে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৫০ ওভারে ৬ উইকেটে ৩৪৯ রানের পাহাড় গড়েছে স্বাগতিক বাংলাদেশ। ছয় নম্বরে নেমে ৬০ বলে অপরাজিত ১০০ রানের ইনিংস খেলেন মুশফিক। ৬০ বলে শতক করে বাংলাদেশের পক্ষে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়েন মুশফিক। এছাড়া নাজমুল হোসেন শান্ত ৭৩ ও লিটন দাস ৭০ রান করেন।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আজও টস হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নামে স্বাগতিক বাংলাদেশ। আঁটসাঁট বোলিংয়ে বাংলাদেশের দুই ওপেনার অধিনায়ক তামিম ইকবাল ও লিটন দাসকে আটকে রেখেছিলেন আয়ারল্যান্ডের দুই পেসার মার্ক অ্যাডায়ার ও গ্রাহাম হুম। প্রথম ৪ ওভারে মাত্র ৫ রান তুলতে পারেনি তামিম ও লিটন। পঞ্চম ওভারে প্রথম বাউন্ডারির দেখা পায় বাংলাদেশ। পাওয়ার-প্লের শেষ বলে দলীয় ৪২ রানে রান আউট হয়ে থামেন তামিম।  ৪টি চারে ৩১ বলে ২৩ রান করেন  তামিম।
এরপর নাজমুল হোসেন শান্তকে দলের রানের চাকা ঘুড়ান লিটন। ২০তম ওভারে ১শ রান পায় বাংলাদেশ। পরের ওভারের প্রথম বলে ছক্কায় ওয়ানডেতে অষ্টম হাফ-সেঞ্চুরি পূরন করেন লিটন।
৫৩ বলে হাফ-সেঞ্চুরি করা লিটন  শেষ পর্যন্ত ৭০ রানে পেসার কার্টিস ক্যাম্পারের বলে বিদায় নেন লিটন। ৭১ বল খেলে ৩টি করে চার-ছয় মারেন লিটন। এই ইনিংসেই ওয়ানডেতে ২ হাজার রান পূর্ণ করেন লিটন। দ্বিতীয় উইকেটে শান্তর সাথে ৯৬ বলে ১০১ রান যোগ করেন লিটন।
লিটনের ফেরার পর উইকেটে এসে ভালো শুরু করেও হুমের প্রথম শিকার হয়ে ব্যক্তিগত ১৭ রানে আউট হন সাকিব আল হাসান। সাকিবের সাথে ৩৯ রানের জুটি গড়ার পথে ৫৯ বলে ওয়ানডেতে তৃতীয় হাফ-সেঞ্চুরি করেন শান্ত।
লিটনের মত ইনিংস করার চেষ্টা করেও ৭৩ রানেই থেমে যান শান্ত। হুমের দ্বিতীয় শিকার হবার আগে ৭৭ বল ৩টি চার ও ২টি ছয়ে নিজের ইনিংস সাজান শান্ত।
৩৪তম ওভারে দলীয় ১৯০ রানে শান্তর আউটে জুটি বাঁধেন তাওহিদ হৃদয় ও মুশফিকুর রহিম। দ্রুত উইকেটে সেট হয়ে মারুমুখী ব্যাট করতে থাকেন তারা। ৪৩তম ওভারে ছক্কায় ৩৪ বলে ওয়ানডেতে ৪৪তম হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন আজও ছয় নম্বরে নামা মুশফিক।
মুশফিক পারলেও অর্ধশতক হাতছাড়া করেন দারুন খেলতে থাকা হৃদয়। অ্যাডায়ারের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ৩৪ বলে ৪টি চার ও ১টি ছয়ে ৪৯ রানে আউট হন হৃদয়। পঞ্চম উইকেটে ৭৮ বলে ১২৮ রানের জুটি গড়ে বাংলাদেশের স্কোর ৩শ পার করেন মুশফিক-হৃদয়।
দলীয় ৩১৮ রানে হৃদয় ফেরার সময় মুশফিকের রান ছিল  ৪৬ বলে ৭৮। সেঞ্চুরি পেতে ইনিংসের শেষ ৪ বলে ৯ রান দরকার পড়ে মুশফিকের। তৃতীয় থেকে পঞ্চম বলে ১টি চারে ৮ রান নেন মুশফিক। শেষ বলে ১ রান নিয়ে ওয়ানডেতে নবম সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন মুশফিক। ৬০ বলে তিন অংকে পা দিয়ে বাংলাদেশের পক্ষে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়েন মুশফিক। ২৪৪ ম্যাচের ওয়ানডে ক্যারিয়ারে এই প্রথম ছয় নম্বরে নেমে সেঞ্চুরি করলেন মুশফিক।
মুশফিকের ৬০ বলে অপরাজিত ১০০ রানের সুবাদে ৫০ ওভারে ৬ উইকেটে ৩৪৯ রানের বিশাল সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ। ওয়ানডেতে এটি সর্বোচ্চ দলীয় রান টাইগারদের। মুশফিকের ইনিংসে ১৪টি চার ও ২টি ছক্কা ছিলো। এই ইনিংস খেলার পথে ৭ হাজার রানও পূর্ণ করেন মুশি। বল হাতে আয়ারল্যান্ডের হুম ৩ উইকেট নেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *