ভাসানী পাঠাগার ও ছাত্র ফেডারেশনের উদ্যোগে কুইজ প্রতিযোগিতার পুরষ্কার বিতরণ
আজ ২২ মার্চ,২০২৩ (বুধবার) মওলানা ভাসানী পাঠাগার ও বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন নারায়ণগঞ্জ জেলার যৌথ উদ্যোগে স্বাধীনতা দিবসকে কেন্দ্র করে আয়োজিত কুইজ প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের ‘পুরষ্কার বিতরণী ও সংবর্ধনা’ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
মওলানা ভাসানী পাঠাগারের সংগঠক ফারহানা মুনার সভাপতিত্বে পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মওলানা ভাসানী পাঠাগারের প্রতিষ্ঠাতা সংগঠক এবং বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সংগ্রামী সভাপতি ছাত্রনেতা মশিউর রহমান খান রিচার্ড।
কুইজ কমিটির সংঠকদের পরিচিতির মধ্যদিয়ে অনুষ্ঠান শুরু করে সংগঠক এবং অংশগ্রহণকারীদের অভিজ্ঞতা বিনিময় হয়। পরবর্তীতে প্রধান অতিথি বক্তব্য রাখেন। এরপরই কুইজ প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের পুরষ্কার বিতরণ এবং অংশগ্রহণকারী প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে সম্মাননা সনদ প্রদান করা হয়। পরিশেষে সভাপতির বক্তব্যের মধ্যদিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়।
প্রধান অতিথি বর্তমান জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থা এবং উচ্চশিক্ষার দুরবস্থার চিত্র তুলে ধরে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রণকারী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য করে বলেন, মানুষকে সৃষ্টির সেরা বলা হয় কারণ মানুষের বিবেচনাবোধ কাজ করে। আর এই বিবেচনাবোধ তৈরি হয় তার শিক্ষা থেকে। কিন্তু আমরা এমন এক শিক্ষাব্যবস্থার মধ্য দিয়ে শিক্ষা অর্জন করছি যার প্রধান উদ্দেশ্য ‘জ্বি হুযুর’ জাতি তৈরি করা। কিন্তু শিক্ষার্থীরা এই অপচেষ্টা প্রতিহত করতে জানে। কালে কালে যত শাসক যতভাবে শিক্ষাকে ধ্বংস করতে চেয়েছে শিক্ষার্থীরা তা প্রতিহত করেছে। এ লড়াই এখনো অব্যাহত। এসময়ের ছাত্ররাও তাদের পূর্বসূরি যোদ্ধাদের ধারাবাহিকতায় শিক্ষা-সমাজ-রাষ্ট্র রক্ষার লড়াইয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করবে এবং সকল সৃষ্টির হক রক্ষাকে জীবনের পাথেয় হিসেবে নির্ধারণ করতে পারবে বলে প্রত্যাশা রাখি।”
সভাপতি ফারহানা মুনা বলেন, মওলানা ভাসানী পাঠাগার শিক্ষার্থীদের চিন্তা ও মননের বিকাশের লক্ষ্যে কাজ করছে। আমরা বিশ্বাস করি, শিক্ষা মানুষকে তৈরি করে। শুধুমাত্র জিপিএ ৫ ই শিক্ষার লক্ষ্য না। শিক্ষার কাজ অতীত এবং ভবিষ্যতের মেলবন্ধন তৈরির যোগ্য করে গড়ে তোলা। বিশ্বব্যাপি যে ধ্বংসের শিক্ষার বিস্তার চলছে তার বিপরীতে রক্ষার শিক্ষার বিস্তারের কাজে মওলানা ভাসানী পাঠাগার কাজ করছে এবং সর্বদা তার তৎপরতা জারি রাখবে। আমরা বিশ্বাস করি, নারায়ণগঞ্জের শিক্ষার্থী-অভিবাবক-শিক্ষকরা শিক্ষা বিস্তারের এই লড়াইয়ে মওলানা ভাসানী পাঠাগারের সাথে সর্বদা সহায়ক থাকবেন।