আইপিএলে হেটমায়ার ঝড় ছাপিয়ে শেষ ওভারে পাঞ্জাবের জয়
সাঞ্জু স্যামসন ২৫ বলে ৪২ রানে থামার পর চাপে পড়েছিল রাজস্থান রয়্যালস। অধিনায়ককে ফেরানোর পর নাথান এলিস তার পরের ওভারে জোড়া আঘাতে রিয়ান পরাগ (২০) ও দেবদূত পাডিক্কালকে (২১) মাঠছাড়া করেন। ১৯৮ রানের লক্ষ্যে নেমে ১৬ ওভারে তাদের স্কোর ৬ উইকেটে ১২৯। ধ্রুব জুরেল ও শিমরন হেটমায়ার পরের তিন ওভারে ঝড় তুলে করলেন ৫৩ রান। শেষ ওভারে ছড়ালো রোমাঞ্চ। দরকার ১৬ রান।
এবারের আইপিএলের সবচেয়ে দামী খেলোয়াড় স্যাম কারানের ওপর পাঞ্জাব কিংসকে জেতানোর দায়িত্ব বর্তালো। নিজের আগের ওওভারে ১৯ রান দেওয়া ইংলিশ পেসার এবার করেন নিয়ন্ত্রিত বোলিং। প্রথম দুই বলে তিন রান দেন ইংলিশ পেসার। পরের বলে হেটমায়ার দ্বিতীয় রান নিতে গিয়ে শাহরুখ খান ও কারানের যোগসাজশে রান আউট। ১৮ বলে ১ চার ও ৩ ছয়ে ৩৬ রানে থামেন উইন্ডিজ ব্যাটার। জুরেল শেষ করে আসতে পারেননি। শেষ বলে চার রান নেন। তার ১৫ বলে ৩ চার ও ২ ছয়ে সাজানো অপরাজিত ৩২ রান বিফলে গেছে। তখনও লক্ষ্য থেকে ৬ রান দূরে রাজস্থান। ৭ উইকেটে তাদের রান ১৯২।
৫ রানে জয়ের আনন্দে ভাসে কলকাতা নাইট রাইডার্সকে হারিয়ে আইপিএল শুরু করা পাঞ্জাব। টুর্নামেন্টের ইতিহাসে এনিয়ে তৃতীয়বার প্রথম দুটি ম্যাচই জিতলো তারা।
এর আগে আর্শদীপ সিং তার প্রথম দুই ওভারে রাজস্থানের দুই ওপেনারকে বিদায় করেন। পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে জস বাটলারকে ফেরান এলিস। ৫৭ রানে ৩ উইকেট হারানোর পরও রাজস্থান স্যামসন, হেটমায়ার ও জুরেল ঝড়ে লড়াই করে। কিন্তু এলিস বল হাতে ছিলেন দুর্দান্ত। প্রথম তিন ওভারে ১৪ রান দিয়ে নেন ৪ উইকেট। যদিও শেষ ওভারে দিয়েছেন ১৬ রান। এই অস্ট্রেলিয়ান মিডিয়াম ফাস্ট বোলার ৪ ওভারে ৩০ রান দিয়ে চার উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরাও হয়েছেন।
এর আগে গুয়াহাটির বর্ষাপাড়া ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ব্যাটিংয়ে নেমেছিল পাঞ্জাব। তাদের দুই ওপেনার করেন হাফ সেঞ্চুরি। প্রভসিমরান সিং ও শিখর ধাওয়ানের ৯০ রানের জুটিতে বড় স্কোরের ভিত গড়ে দল। শেষ পর্যন্ত ৪ উইকেটে ১৯৭ রান করে তারা। ৬ বলে ৯ চার ও ৩ ছয়ে সর্বোচ্চ ৮৬ রান করেন অধিনায়ক ধাওয়ান। ৩৪ বলে ৭ চার ও ৩ ছয়ে ৬০ রান আসে প্রভসিমরানের ব্যাট থেকে। মাঝের দিকে জিতেশ শর্মার ১৬ বলে ২৭ রান গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে।