রাজনীতি

যুবদলের ইফতার মাহফিলে বোমা হামলার আশঙ্কা ছিল : শামীম ওসমান

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদলের ঢাকা বিভাগীয় ইফতার মাহফিলে বোমা হামলা হওয়ার আশঙ্কা ছিল বলে মন্তব্য করেছেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান।

১৬ জুন যেভাবে বোমা হামলা হয়েছিল ঠিক একইভাবে ইফতারের আগে এমন একটি ঘটনার চেষ্টা করা হবে এবং এতে বহু লোক হতাহত হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি। আওয়ামী লীগ আর শামীম ওসমানের উপর দোষ চাপানোর লক্ষ্যে তারা এমনটি করবে বলেও বলেন শামীম ওসমান।

বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে ট্যাবলেট (ট্যাব) বিতরণ অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে তিনি এই আশঙ্কার কথা জানান তিনি। 

তিনি বলেন, বিএনপি কিন্তু একটার পর এক প্রোগ্রাম করেছে আমরা কিন্তু বাধা দেইনি। এর আগে চাষাড়ায় করেছে। যিনি বিএনপির খেলোয়াড় তিনি তখন ওমরাতে ছিলেন। খবর এসেছিল হামলা হবে। সে কারণে সংসদ ছেড়ে পাহারা দিতে এসেছিলাম।

আমি হুঁশিয়ারী করছি আপনারা কি করতে চাচ্ছেন কি করবেন এসব খবর কিছু আমর রাখি। বি কেয়ারফুল, আগামীতে আর ছাড় দেওয়া হবে না। মানুষের জীবন নিয়ে খেলাবেন না। নারায়ণগণে একটি বাজে গেম চলছে। আমাদের কেউ কেউ হয়তো এর সঙ্গে জড়িত যারা তাদের সঙ্গে আত্মীয়তা রয়েছে।

তিনি বলেন, বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব মামুন মাহমুদের উপর ছুরিকাঘাতের হামলার ঘটে। তার সঙ্গে আমার দুই একবার কথা হয়েছে । ভদ্রলোক মানুষ শিক্ষিত লোক। সিদ্ধিরগঞ্জ বাড়ি। এলাকার একজন সাবেক এমপি আছেন। ওনি অনেগুলো খুনের সঙ্গে জড়িত। 

ওনার ব্যাপারে আমি বলতে চাই না ওনাকে আমি ফ্যাক্টর মনে করি না। এ সাবেক এমপির প্রতিদ্বন্দ্বি মামুন মাহমুদ। এজন্য এই সাবেক এমপির ছেলে রিফাত সহ আরো কয়েকজন মিলে এক ঢিলে দুই পাখি মারার চেষ্টা করা হয়। তাদের পরিকল্পনায় একজন হেরোইনখোর পল্টনে মামুন মাহমুদকে উপুর্যপরি ছুরিকঘাত করা হয়।

এক প্রতিদ্বন্দ্বিকে সরিয়ে দেওয়া ও আর দ্বিতীয়ত বিএনপির সেক্রেটারী মারা গেলে আমাদের উপর দোষ ফেলা। ওই ঘটনাটি মতিঝিলের পুলিশ কমিশনার বেশ গুরুত্ব সহকারে নেয়। 

ওনি দেখলেন একজন অধ্যাপক মানুষ বিএনপি নেতাকে একজন হেরোইনখোর কেন মারতে যাবে। পরে গ্রেপ্তারকৃতকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পেরেছে এবং আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছে।

এ সময় শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে শামীম ওসমান বলেন, আমরা অনেকগুলো প্রজেক্ট হাতে নিয়েছি। এই প্রোজেক্টগুলো হয়ে গেলে তোমাদের আর ঢাকায় যেতে হবে না। বাংলাদেশের সবচেয়ে সুন্দর রোড হবে এই লিংক রোড। ঈদের পর এই রোডের কাজ শেষ হবে। এই রাস্তার পাশেই বঙ্গবন্ধু প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় হবে।

এই রোডের পাশেই আমরা পাঁচশ শয্যা বিশিষ্ট মেডিক্যাল কলেজ করবো। এর অপর পাশেই আমরা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট করবো। এর পাশেই শেখ কামাল আইটি ইনস্টিটিউট হবে।

নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রিফাত ফেরদৌসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এড. আবুল কালাম আজাদ বিশ্বাস, ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম শওকত আলী, এনায়েতনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আসাদুজ্জামান, আলীরটেক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাকির হোসেনসহ প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button