সুদানে সেনাবাহিনী ও আরএসএফ বাহিনীর সংঘর্ষে নিহত ১৮৫
সুদানে সেনাবাহিনী ও আধাসামরিক বাহিনী আরএসএফ-এর সংঘর্ষ চতুর্থ দিনে গড়িয়েছে। এতে এ পর্যন্ত ১৮৫ জন সামরিক ও বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছেন। এ পর্যন্ত আহত হয়েছেন কমপক্ষে ১৮০০ মানুষ।
এদিকে সুদানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি কূটনৈতিক বহর হামলার শিকার হয়েছে। তবে এতে কেউ হতাহত হননি। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্তোনি ব্লিনকেন এ তথ্য জানিয়েছেন। এছাড়া সুদানে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত আইদান ও’হারার বাড়িতে হামলা হয়েছে।
বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, সুদানের রাজধানী খারতুমে বিমান হামলা, কামানের গুলা ও ভারী গুলিবর্ষণ চলছে। দুই পক্ষই ভারী অস্ত্র ব্যবহার করছে।
সেনাবাহিনী ও আধাসামরিক বাহিনী (আরএসএফ) উভয়ই দাবি করছে, তারা রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলো দখল করেছে। দুই পক্ষের লড়াই রাজধানী ছাড়িয়ে গোটা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে।
২০২১ সাল থেকে ক্ষমতার দ্বন্দ্বে মুখোমুখি সুদানের সেনাবাহিনী ও আধাসামরিক বাহিনী। ওই বছর সামরিক অভ্যুত্থানের পর একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের আলোচনা চলছিল। সুদানের সেনাবাহিনীর নেতৃত্ব দিচ্ছেন জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহান। আর আধাসামরিক বাহিনীর নেতৃত্বে জেনারেল মোহাম্মদ দাগালো। আলোচনার মধ্যে আধাসামরিক বাহিনীকে কীভাবে সশস্ত্র বাহিনীতে একীভূত করা উচিত এবং কোন কর্তৃপক্ষের সেই প্রক্রিয়ার তত্ত্বাবধান করা উচিত তা নিয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।
সর্বশেষ সংঘর্ষ শুরু হয়, যখন সুদানে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ফেরার একটি প্রস্তাব নিয়ে উত্তেজনা শুরু হয়। সেনাবাহিনী ও তাদের প্রতিপক্ষ আধাসামরিক বাহিনী (আরএসএফ) শনিবার ভোর থেকে তুমুল লড়াইয়ে লিপ্ত হয়।