গুমের শিকার ব্যক্তিদের ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিতে নারায়ণগঞ্জে মানববন্ধন
গুমের শিকার ব্যক্তিদের ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিতে আর্ন্তজাতিক গুম সপ্তাহে নারায়ণগঞ্জে আলোচনা সভা ও মানববন্ধন কর্মসুচি পালন করা হয়েছে।
গুম হওয়া ব্যক্তির স্বজনদের সংগঠন ‘মায়ের ডাক’ ও ‘হিউম্যান রাইটস ডিফেন্ডার্স নেটওয়ার্ক নারায়ণগঞ্জ এর আয়োজনে ‘গুম বন্ধ কর, গুমের শিকার ব্যক্তিদের ফিরিয়ে দাও’ শ্লোগানে শুক্রবার (২৬ মে) সকালে নারায়ণগঞ্জ প্রেসকাবে আলোচনা সভা শেষে প্রেসকাবের সামনে এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।
আলোচনা সভা ও মানববন্ধর কর্মসূচীতে মানবাধিকার কর্মী, শিক্ষক, সাংবাদিক, শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ অংশগ্রহন করেন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, গুমের শিকার ব্যক্তিদের তাঁদের পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেয়ার দাবি জানিয়ে বলেন, নারায়ণগঞ্জের সোনারগায়ের কাচপুর কুতুব পুরের আওয়ামী লীগ নেতা ইসমাইল হোসেনকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে তুলে নেওয়ার ৯ বছরেও পরিবার তার হদিস পায়নি। ইসমাইলের মত আর কোন ব্যক্তি যেন গুমের শিকার না হয় সেজন্য রাষ্ট্রকে জোরালো ভূমিকা রাখার দাবি জানান।
মানববন্ধনে গুমের শিকার ব্যক্তিদের স্মরণে আন্তর্জাতিক সপ্তাহ পালন উপলে ‘মায়ের ডাক’ ও ‘হিউম্যান রাইটস ডিফেন্ডার্স নেটওয়ার্ক ঘোষণাপত্র পাঠ করেন, মানবাধিকার সংগঠন অধিকার কর্মী সিফাত উল্লাহ মাসফি ঘোষণা পত্রে বলা হয়, মে মাসের শেষ সপ্তাহকে আন্তর্জাতিক গুম প্রতিরোধ সপ্তাহ পালন করা হয়। ১৯৮১ সালে ফেডারেশন অব এসোসিয়েশন ফর রিলেটিভস অব দি ডিটেইন্ড ডিসএ্যপিয়ার্ড নামের দক্ষিু আমেরিকার একটি সংগঠন প্রথম পালন করা শুরু করে।
এর পর থেকে গুম হয়ে যাওয়া ব্যক্তিদের স্মরণে বিভিন্ন সংগঠন বিভিন্ন দেশে দিবসটি পালন করে চলেছে। ২০০৬ সালের ২০ ডিসেম্বর গুম হওয়া থেকে সমস্ত ব্যক্তির সুরার জন্য আন্তর্জাতিক সনদ জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে গৃহীত হয়। গুম হওয়া থেকে সমস্ত ব্যক্তির সুরার জন্য আন্তর্জাতিক কনভেনশন-এমন একটি চুক্তি যা অনুস্বার করার েেত্র প্রতিটি রাষ্ট্রের আইনগত বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
২০০৯ সাল থেকে দেশে আশংকাজনক হারে বেড়েছে গুমের ঘটনা। রাষ্ট্রীয় বাহিনীর দ্বারা গুম ও বিচারবহির্ভূতভাবে মানুষ খুন হলো রাষ্ট্রীয় নিপীড়নের চরম বহিঃপ্রকাশ। বাংলাদেশে কর্তৃত্ববাদী শাসন বহাল থাকায় মানবাধিকার চরমভাবে হুমকির সম্মুখিন হচ্ছে।
জনগনের গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা এবং সব ধরনের অন্যায়-অবিচারের প্রতিকার করতে ভিকটিম পরিবারকে সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশের জনগণকে মানবাধিকার লংঘনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো ছাড়া আর কোন বিকল্প নেই।