তরিকুল সুজনের উপর হামলায় গণসংহতি আন্দোলনের ক্ষোভ

আজ ৬ জুন, ২০২৩ গণসংহতি আন্দোলন নাঃগঞ্জ জেলার নির্বাহী সমন্বয়কারী অঞ্জন দাস ও সাংগঠনিক সম্পাদক পপি রাণী সরকার এক যৌথ বিবৃত্তিতে, বগুড়ায় গণতন্ত্র মঞ্চের রোড মার্চে আওয়ামীলীগ সন্ত্রাসী কর্তৃক হামলায় দলের জেলা সমন্বয়কারী তরিকুল সুজন সহ মঞ্চের অন্যান কর্মীদের গুরুতর আহত করার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ জানান।

১৪ দফা দাবিতে ঢাকা থেকে রংপুর রোড মার্চ কর্মসূচি পালন করছে গণতন্ত্র মঞ্চ। তার অংশ হিসেবে গতকাল সোমবার দ্বিতীয় দিনে বিকেলে বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার মোকামতলায় সমাবেশ অনুষ্ঠিত করে গণতন্ত্র মঞ্চ। সমাবেশ শেষ করে নেতা-কর্মীদের গাড়িবহর বগুড়া শহরে ফেরার পথে মোকামতলা বাজারে প্রথম দফা হামলার শিকার হন তারা। এসময় ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের কর্মীরা রড, ইট, পাটকেল ছুঁড়তে থাকে তাদের উদ্দেশ্য করে। সেখানে তাৎক্ষণিকভাবে তিনজন রক্তাক্ত হন। এই ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় মঞ্চের নেতারা রাত সাড়ে আটটায় বগুড়া প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন। সংবাদ সম্মেলন শেষে নেতা-কর্মীরা হোটেলে (আবাসিক) বিশ্রামের জন্য গেলে মধ্যরাতে আবারও তাদের উপর রড, স্ট্যাম্প, লাঠিসোটা নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায় ছাত্রলীগ, যুবলীগের সন্ত্রাসীরা। এতে গুরুতরভাবে আহত হন গণসংহতি আন্দোলন নাঃগঞ্জ জেলার সমন্বয়কারী তরিকুল সুজন, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন নাঃগঞ্জ জেলার সাংগঠনিক সম্পাদক সৌরভ সেন সহ আরও কয়েকজন।

নেতৃবৃন্দ বলেন, বর্তমান অনির্বাচিত সরকারের পদত্যাগ সহ অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠন করে বাংলাদেশে ভোটের পরিবেশ ফিরিয়ে আনা তথা দেশে কার্যকর গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম আমরা ধারাবাহিকভাবে করে যাচ্ছি। তার অংশ হিসেবে আমাদের রাজনৈতিক জোট গণতন্ত্র মঞ্চ ৪ দিনব্যাপী রোড মার্চ অনুষ্ঠিত করছে। রোডমার্চের পদে পদে আমরা সরকারদলীয় বাধা লক্ষ্য করছি। তারা প্রথমদিন টাঙ্গাইলে সমাবেশ করতে দেয়নি। সিরাজগঞ্জে রাত্রিযাপনের স্থানে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। নানান জায়গায় যেখানে গণতন্ত্র মঞ্চের সমাবেশ হবার কথা সেখানে শান্তি সমাবেশ করবার নামে স্থান দখল করে রাখছে। এমনকি প্রশাসনের পক্ষ থেকেও বাধা আসছে। রংপুরে আমাদের সমাপ্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত করার অনুমতি প্রশাসন দিচ্ছে না। সবশেষ গতকালকে দুই দফা হামলা হল। তারা আমাদের দলের জেলা সমন্বয়কারীকে স্ট্যাম্প দিয়ে পিটিয়েছে। তার বুকের উপর পা দিয়ে আঘাত করেছে। আমরা সরকারদলীয় গুণ্ডাবাহিনীর এহেন কাণ্ডে ক্ষুব্ধ। এই ঘটনার নিন্দা জানানোর ভাষা আমাদের জানা নেই। এরূপ ঘটনা বারবার ঘটা এটাই প্রমাণ করে, সরকার নার্ভাস। ক্ষমতা হারানোর ভয় তাদের আষ্টেপৃষ্ঠে ধরেছে। রোড মার্চ এখনও দুই দিন বাকি। আমরা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলছি, আর যদি একটি স্থানেও সমাবেশে বাধা দেয়া হয় এবং আমাদের নেতা-কর্মীদের রক্তাক্ত করা হয় এর জবাব জনগণকে সাথে নিয়েই আমরা দিবো। এদেশের বিচারব্যবস্থার উপর আমাদের কোন আস্থা নেই। তাই এই ঘটনার বিচার চেয়েও আপাতত নেই ফায়দা নেই। সরকারের পতনের মধ্য দিয়ে সব হিসেবনিকেশ শেষ করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *