বি.এম ডিপো বিস্ফারণে ক্ষতিগ্রস্থ মোঃ আমিরুল ইসলামকে ক্ষতিপূরণ না দিয়ে উল্টো হুমকি
এক্সক্লুসিভ নিউজ, দৈনিক ন্যায়ের আলোঃ
প্রসঙ্গত, গত ৪ জুন ২০২৩ বিএম ডিপো বিস্ফোরণের ১ বছর উপলক্ষ্যে ক্ষতিপূরণ না পাওয়া মানুষদের নিয়ে মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন করে গণসংহতি আন্দোলন, চট্রগ্রাম উত্তর জেলা কমিটি।
এই সংবাদ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করে নিজের দুঃখ-দূর্দশা তুলে ধরার অভিযোগে চট্রগ্রাম বি.এম ডিপো তে বিস্ফারণে ক্ষতিগ্রস্থ মোঃ আমিরুল ইসলামকে ক্ষতিপূরণ না দিয়ে উল্টো হুমকি দিয়েছে মালিকপক্ষ (ডিরেক্টর)। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেয়া শ্রমিকদের পরিবারে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। এমনকি প্রাণনাশের আশঙ্কাও করছেন আহত শ্রমিকরা।
বিএম ডিপো মালিকদের হীন এই কর্মকাণ্ডে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন চট্রগ্রামের বিভিন্ন স্তরের সাধারণ জনগণ ও সচেতন নাগরিক সমাজ। তারা অতিদ্রুত এই সমস্যার সমাধান চান বলে জানিয়েছেন।
এই ঘটনা ধামাচাপা দিতে টাকার বিনিময়ে জাগো নিউজের প্রতিনিধিকে ভাড়া করে নিয়ে নিজেদের প্রমোশনাল ভিডিও বানিয়েছে বিএম কন্টেইনার কর্তৃপক্ষ। আমরা দৈনিক ন্যায়ের আলো পরিবারের পক্ষ থেকে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ ছেড়ে এইরকম বিক্রি হয়ে যাওয়া সস্তা সাংবাধিকতা ও হলুদ সংবাদমাধ্যমকে ঘৃণা ও ধীক্কার জানাই।
এছাড়া গত ৪ জুন ২০২৩ সংবাদ সম্মেলন করার জন্য চট্রগ্রাম প্রেসক্লাব বুকিং করা হলেও বিএম ডিপোর মালিকানাধীন পূর্ব দেশ পত্রিকায় সহ-সম্পাদক পদে কর্মরত চট্টগ্রাম জেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক দেব দুলাল বিশ্বাস মালিকপক্ষের টাকা খেয়ে বুকিং বাতিল করেছেন।সাংবাধিকতার নূন্যতম সৌজন্যতাও তিনি দেখান নি। অর্থের কাছে বিক্রি হয়ে নিরীহ শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণের পথকে রুদ্ধ করেছেন এই হলুদ সাংবাদিক।
সম্পর্কিত তথ্যঃ
বিএম ডিপো বিস্ফোরণ ১ বছরেও ক্ষতিপূরণ পায়নি আহত ও অঙ্গ হারানো ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকরা ; দুর্ঘটনায় ক্ষতিপূরণ প্রদানে আঞ্চলিকতা এবং অনিয়মের অভিযোগে গণসংহতি আন্দোলন চট্রগ্রাম উত্তর জেলা গত ৪ জুন ২০২৩ চট্রগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে সংবাদ সম্মলেন করে।
স্মার্ট গ্রুপের মালিকধীন বিএম কনটেইনার ডিপোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোস্তাফিজুর বাড়ি চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলায়। ফলে ক্ষতিপূরণে দেওয়ার ক্ষেত্রেও আঞ্চলিকতার অভিযোগ তুলছেন ভুক্তভোগীরা।
বিগত-৫/৬/২০২২ইং তারিখে বি এম ডিপো তে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে সংঘটিত হয়। এর প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসকের দারেদারে
গত এক বছর যাবত ঘুরার পড়েও ক্ষতিপূরণ পাইনি নিম্ন ক্ষতিগ্রস্থরা। অগ্নিকাণ্ডের শিকার শ্রমিকরা তাঁদের কারো চোখ, কারো
হাত, কারো পা, কারো মেরুদন্ড, কারো সারা শরীর অগ্নি দগ্ধ হয় করো আবার নাড়িবুড়ি হাত নিয়ে হাঁটতে দেখেছি আমরা।
তাঁদের সকলেই বিএম ডিপোর কেমিক্যালের বিষক্রিয়ায় অধিকাংশই যৌন ক্ষমতা হারিয়েছেন। এমতাবস্থায় বর্তমানে বিএম
ডিপোতেও তাঁদের অবাঞ্চিত করা হয়েছে। ডিপোর গেইটে গেলে তাঁদের ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়া হয়। গত ১টা বছর
মৃত্যু চেয়েও ভয়াবহ মানবতার জীবনযাপন করছে তারা। এখন সাংবাদিকদের মাধ্যমে বিষয়টি সারা বাংলাদেশের মানুষের
কাছে বিশেষত মাননীয় প্রধানমন্ত্রীসহ যথযত কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপের মাধ্যমে ১ জীবনের সমপরিমাণ ক্ষতিপূরণ পরিশোধ ও বিচার দাবি জানান।
নিচে ক্ষতিগ্রস্ত অঙ্গ হারানো শ্রমিকদের তালিকাঃ
নাম:-
মোঃ অলিউল ইসলাম
মোঃ আজিম উদ্দিন
মোঃ নুরুল আফসার
নয়ন বড়ুয়া
মোঃ নুর হোসেন (দিদার)
মোঃ আমিরুল ইসলাম
মোঃ কবির
মোঃ আনোয়ার
মোঃ জাহাঙ্গীর
মোঃ মহি উদ্দিন
মোঃ মিরাজ
মোঃ মামুন
মোঃ তারেক
বিধান দে এবং বিএম ডিপো বিষ্ফোরণে নিখোঁজ সুজনকে পাওয়া গেছে।
সে বিষ্ফোরণে মারাত্মক ভাবে আহত হয়ে ৪ দিন অজ্ঞান হয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেলে ছিল। তার দেশের বাড়ি হবিগঞ্জ। তাকে নিখোঁজ থাকায় তাকেও কোন অর্থ সহায়তা বা ঘোষিত ক্ষতিপূরণ বিএম ডিপো কর্তৃপক্ষ দেয় নি। কিন্তু সে এক চোখ কান ও ১ পা হারিয়েছে। হবিগঞ্জ থেকে তার ভিডিও বার্তা এবং চিকিৎসার তথ্য, মেডিকেল ছাড়পত্র আমাদের হাতে এসেছে। বিস্তারিত পরবর্তী সংবাদে দেওয়া হবে।