মসলা ও কাঁচামরিচের বাজারে আগুন
নারায়ণগঞ্জ: আর মাত্র কয়েকদিন পরেই পবিত্র ঈদুল আজহা অর্থাৎ কোরবানির ঈদ। আর ঈদকে সামনে রেখে হটাৎ করেই বৃদ্ধি পেয়েছে কাঁচামরিচ ও মসলার দাম। বিক্রেতারা বলছে, ‘কেনা বেশি তাই দাম বেশি’। অপর দিকে ক্রেতাদের দাবি, ‘এখানে রয়েছে সিন্ডিকেটের হাত’।
রোববার নগরীর দিগুবাবুর বাজার ধুরে দেখা গেলো এমন চিত্র। কাচাঁমরিচ কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ২০০-২৫০ টাকা দামে। তীব্র গরমের কারণে মরিচের ফুল নষ্ট হয়ে যাওয়ায় উৎপাদন কমেছে। সেই সঙ্গে সরবরাহ কমের অজুহাতে সপ্তাহের ব্যবধানে কাচাঁমরিচের কেজিতে বেড়েছে ৭০-৮০ টাকা। আর একই কাঁচামরিচ এলাকার দোকান গুলোতে বিক্রি হচ্ছে ২৮০-৩০০ টাকা কেজি অব্দি।
দিগুবাবুর বাজারের ব্যবসাযী জলিল মিয়া বলেন, ‘গত সপ্তাহের শুরুর দিকেও ১৫০টাকা কেজি দরে কিনছিলাম। কিন্তু এখন বেশি দামে কিনতে হচ্ছে, তাই বিক্রিও বেশি দামে করছি।’ বাজারে সরবরাহ বৃদ্ধি পেলে আবারও দাম কমে যাবে বলেও জানান ব্যবসায়ীরা।
কোরবানির ঈদে সবসময়ই মশলার চাহিদা একটু বেশিই থাকে। আর তাই, এবার মসলার দামও বেড়েছ বাজারে। দেশী ও আমদানি করা আদা বিক্রি করা হচ্ছে ৩৫০ টাকা পর্যন্ত, যা গত এক সপ্তাহ আগে ২৫০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। এই বাজারে ধনিয়া, লবঙ্গ, দারুচিনিসহ দাম বেড়েছে বেশ কিছু মসলার।
এলাচ কেজি প্রতি দুই হাজার ৫০০ থেকে দুই হাজার ৭০০ টাকা ও জিরা কেজি প্রতি ৯৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। শুকনা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩৪০ টাকা কেজি দরে। ধনিয়া ১৬৫ থেকে ২২০ টাকায়, লবঙ্গ ১ হাজার ৫০০ থেকে ১ হাজার ৬০০ টাকায় এবং দারুচিনি ৪১০ থেকে ৪৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কাঁচাবাদাম বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকা কেজি দরে। টক দই ৬০ টাকা কেজি।
ব্যবসায়ীরা বলছে, ‘সরবরাহ কম হওয়ায় বেশি দামে কিনেছি, তাই বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।’